জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
"ঈসালে ছওয়াব" এর আভিধানিক অর্থ হল সওয়াব পৌঁছানো। পরিভাষায় ঈসালে সওয়াব হল কোনো নেক আমল করে এর সওয়াব মৃত ব্যক্তিকে দান করা।
,
শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حدثنا حفص بن غياث، عن المجالد، عن الشعبي، قال: كانت الأنصار يقرؤون عند الميت بسورة البقرة.
শাবী থেকে বর্ণিত, আনসার (সাহাবীগণ) মাইয়িতের কাছে সূরা বাকারা তিলাওয়াত করতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১০৯৫৩)
حدثنا وكيع، عن حسان بن إبراهيم، عن أمية الأزدي، عن جابر بن زيد، أنه كان يقرأ عند الميت سورة الرعد.
আবু উমায়্যা আযদী থেকে বর্ণিত, জাবির ইবনে যায়েদ রাহ. মাইয়িতের কাছে সূরা রা‘দ তিলাওয়াত করতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১০৯৫৭)
বিস্তারিত জানুনঃ-
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এটিকে আবশ্যকীয় মনে করে করা হলে,নিয়ম বানিয়ে করা হলে,দ্বীনের অংশ মনে করে করা হলে বিদ'আত হবে।
(০২)
হ্যাঁ, এভাবে আপনি দরুদ পাঠ করতে পারেন,তাদের জন্য ইস্তেগফার পাঠ করতে পারেন।
সকলের জন্য একসাথে পাঠ করতে পারবেন।
প্রত্যেকের জন্য আলাদা ভাবে পাঠ করতে হবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ, পারবেন।
(০৪)
হ্যাঁ, আপনার নিয়ত ঠিক আছে।
(০৫)
সেই সময় যদি আপনার নানা বেহুশ অবস্থায় থাকেন,সেক্ষেত্রে নামাজ গুলির ফিদইয়াহ আদায় করতে হবেনা।
আর যদি সেই সময় আপনার নানা বেহুশ অবস্থায় না থাকেন,সেক্ষেত্রে নামাজ গুলির ফিদইয়াহ আদায় করতে হবে।
বিতরসহ প্রতি ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা অথবা এর বাজার মূল্য গরীব মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দান করে দিতে হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন গরীবকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে। যা সদকায়ে ফিতির এর টাকা পরিমাণ হয়। (ফতাওয়া শামী-২/৭২)
সহজ কথায়, প্রতিটি নামাযের জন্য সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা গরীবকে দান করে দিতে হবে।
১১৫ টাকা করে সদকায় ফিতর ধরা হলে বিতরসহ একদিনের প্রতি ওয়াক্ত নামায হিসেব করে ১১৫×৬=৬৯০ টাকা হয়।
এভাবে ৫ দিনের হিসাব হবে, ৬৯০×৫=৩৪৫০ টাকা।
(০৬)
হ্যাঁ, তাদের আমলনামায় সাওয়াব পৌছিবে।
(০৭)
নফল যেকোনো আমল করতে পারেন।
চাই নফল নামায/ নফল রোজা/নফল সদকা/কোরআন তেলাওয়াত/যিকির/তাওয়াফ/নফল হজ্ব/উমরা বা অন্য কিছুই হোকনা কেন।
যেকোনো নফল আমল করে ছওয়াব পৌছাতে পারেন।