আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি ফেইজবুকের একগ্রুপে একটি মাসালা জানার জন্য পোস্ট করেছিলাম।তা হলো

অনেকদিন আগে আমি আর আমার স্বামী ফোনে কথা বলছিলাম সে খুবই আড্ডাপ্রিয় মানুষ। তোহ ঝগড়ার সময় আমি তাকে বলি হয় আমাদের বাদ দিবা /ছেড়ে দিবা নাহয় আড্ডা বাদ দিবা ছেড়ে দিবা।আমার স্পষ্ট মনে নাই আমি বাদ বলেছি নাকি ছেড়ে দিবা  বলেছি। আমাদের বলতে আমি আমার আর আমার ছেলের কথা বলছি। যাতে তালাকের নিয়ত না হয় তাই ছেলেকে ও যুক্ত করছি।আমার স্বামী কি বলেছে আমার সঠিক মনে নাই।সব বাদ দিবো/ দিলাম। নাকি ছেড়ে দিবো /দিলাম আমার স্পষ্ট মনে নাই। অই মুফতি আমাকে জিগ্যেস করলো আপনার মন কোন দিকে ঝুকে। আমি বলছি আমার মনে নাই।উনি বললো ধরলাম ছেড়ে দিলাম বলছে।আপনার উপর এক রজয়ী তালাক পতিত হয়েছে।অই মুহুর্তে আমি তার কথাই মেনে নিয়েছিলাম।তারপর এই খান থেকে জানতে পারলাম যে সন্দেহ এর উপর কোন তালাক হয়না।তালাকের জন্য সন্দেহমুক্ত স্পষ্ট ঘটনা মনে থাকতে হবে।
১)এখন আমি যে প্রথমে তার ফতোয়া মেনে নিয়েছিলাম। এতে কি আমাদের তালাক হয়ে যাবে?ধরে নিয়ে কি কোন ফতোয়া দেয়া যায়? আমার এখন মনে হচ্ছে হয়তো বাদ দিলাম/ দিবো বলেছিল।

২)একদিন আমি রাগ করে বাবার বাড়ি যেতে চাই।আমার স্বামী আমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছে গেলে সম্পর্ক একেবারে শেষ যাবা।সে সম্পুর্ন তালাকের নিয়ত ছাড়া আমাকে আটকানোর জন্য বলেছে। আমি ও তাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছি আচ্ছা গেলে আর আসবোনা সে বলছে যাও যাও।যাও কেন।কিন্তু সে আমাকে যেতে দেয়নি আর আমিও যাইনি। এতে কি আমাদের মধ্যে তা*** হয়েছে?

৩)স্ত্রী যদি রাগ করে বলে তোমার সাথে থাকবোনা।সংসার করবোনা।স্বামী যদি বলে থাইকোনা। সংসার না করলে নাই।তালাকের নিয়ত ছাড়া। কারন আমারা কেউই জানতাম না যে এসব কথায় কেনায়া তালাক হয়।এতে কি তালাক হবে?স্ত্রী কিন্তু তালাকের আবেদন করে নাই।এমনিতেই বলছে।

প্লিজ জানাবেন।জাযাকাল্লাহ খায়ের।

1 Answer

0 votes
by (574,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে আপনাদের তালাক হয়ে যাবেনা।

(০২)
তালাক হয়নি। 

(০৩)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
জাযাকাল্লাহ খায়ের।শায়েখ মহান আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক। 
আমি এই ওয়াসওয়াসার কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারছিনা।অনেকদিন যাবত ট্রাই করছি।পারছিনা।এটা কি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ আছে?প্লিজ জানাবেন।
by (574,140 points)
https://courses.iom.edu.bd/?attachment_id=7995

এখানে নাম,কমেন্ট ইত্যাদি লিখে পোস্ট কমেন্ট করুন।

সমস্যা হলে IOM এর হটলাইলে ফোন দিন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...