আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমার একটি জরুরি প্রশ্ন ছিলো।
আমাদের বিয়ে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ ৪ বছর।আমি বা আমার স্বামী কেউই আগে কেনায়া বাক্য সম্পর্কে ততটা জানতাম না। এই চার বছরে আমাদের মধ্যে প্রচুর ঝামেলা হতো। আমার স্বামী প্রায়ই কেনায়া বাক্য বলতো। কারন সে এ সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।আমি অনেকদিন আগে কেনায়া বাক্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি। সেদিন থেকে আমি ভিতরে ভিতরে শেষ হয়ে যাচ্ছি। তেমন কোন ঘটনা স্পষ্ট মনে নাই যেহেতু অনেক আগের ঘটনা। যা মনে পরে সব অস্পষ্ট। একবার মনে হয় হয়তো এমন কথোপকথন হয়েছিল আবার মনে হয় হয়নি।মানে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই।আমি আমার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে বলে সে কখনো অই নিয়তে বলে নাই।হঠাৎ হঠাৎ একেকটা মনে পড়ে আর তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বারবার বলে তাকে অই বিষয় এ প্রশ্ন না করতে তার কখনো অই নিয়ত ছিলোনা।সে রাগ হয় বার বার এসব প্রশ্ন করাতে। সে নিজেও ভয় পায় যে তার মধ্যেও ওয়াসওয়াসা ঢুকে যায় নাকি।তাই সে আমাকে রিকুয়েষ্ট করে যেন এসব প্রশ্ন না করি। কিন্তু আমি আমার মনকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছি না আমি ঘুমাতে পারতেছিনা।স্বপ্ন এসব দেখি।
১)কিছুদিন আগের একটা ঘটনা আমার মনে আছে আমি রাগ করে বাবার বাড়ি যেতে চাই। সে আমাকে যেতে দিতে চায়না।আর বলে গেলে একেবারে যাবা/ সম্পর্ক শেষ করে যাবা।আমি বলি আচ্ছা একেবারে যাবো আর আসবোনা(আমি এই কথা তাকে ভয় দেখানোর জন্য বলেছি)।পরে বলে যাও যাও। যাওনা কেন।তারপর সে আমাকে যেতে দেয়নি আমিও যাইনি। কিছুদিন আগে তাকে এই বিষয় এ প্রশ্ন করলে বলে তার এসব কোন নিয়ত ছিলোনা। সে আমাকে আটকানোর জন্য বলছে। বারবার প্রশ্ন করলে সে একই উত্তর দেয়।যে আল্লাহ আমার নিয়ত জানে।আমি অই উদ্দেশ্য নিয়ে বলিনাই। এই ঘটনায় কি আমাদের সম্পর্কে কোন ঝামেলা হয়েছে। প্লিজ জানাবেন।আগেও হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে।সে কখনো সরীহ কোন বাক্য বলে নাই আলহামদুলিল্লাহ।
২)অনেকদিন আগে সে কি বলেছিল আমার মনে নাই।কিন্তু আমি তালাক হয়েছে ভেবে কান্নাকাটি করেছিলাম।অইসময় আমি জানতাম পিরিয়ড হলে তালাক হয়না।অই সময় আমার পিরিয়ড চলছিল তাই আর এই বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাইনি।কিন্তু কি বলেছে আমার এখন ঘুনাক্ষরে মনে নাই।সে কখনোই কোন সরীহ বাক্য বলেনাই আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু অইদিন কি বলেছে আমার মনে নাই।এক্ষেত্রে করণীয় কি?
৩)এখন আমার প্রশ্ন হলো আল্লাহ না করুক যদি কোন কেনায়া বাক্যের কারণে আমাদের সম্পর্কে কোন ঝামেলা হয় তাহলে তোহ এক তালাকে বাইন হবে। এর পর তো আর নতুন করে কোন বাইন তালাক পতিত হবে না যতক্ষন না আমরা বিয়ে করি। যদি আমরা বিয়ে করে নেই সন্দেহ দূর করার জন্য তাহলে পরবর্তীতে আমার স্বামী কয়টি তালাকের মালিক থাকবে?
৪) যেহেতু সে বলে তার নিয়ত ই ছিলোনা তাহলে কি বিয়ে না করলে কি  কোন সমস্যা হবে?
৫) আর যদি নিয়ত ভূলে যায় তাহলে কি তারা গুনাহগার হবে?
৬) একেকদিন একেকটা ঘটনা মনে পড়লে তাকে আলাদা ভাবে জিজ্ঞেস না করলে কি আমার গুনাহ হবে? যেহেতু সে বলেছে তাকে এই বিষয় এ প্রশ্ন না করতে তার কখনো অই নিয়ত ছিলোনা।
প্লিজ উত্তর দিবেন আমি খুবই চিন্তিত।আমি নিজের  ব্রেইনকে খুব প্রেশার দিতেছি এসব মনে করার কিন্তু পারছিনা।আমি না চাইলেও এসব মনে আসতে থাকে। একটা সেকেন্ড এর জন্য এসব মাথা থেকে বের করতে পারছিনা।আমি ঘুমাইতে পারছিনা।আমি অনেক হতাশ হয়ে পরেছি।প্লিজ উত্তর দিবেন।
by (4 points)
১) উপরোক্ত ১নং ঘটনায় আমাদের কারোর ই তালাকের কোন উদ্দেশ্যে ছিলোনা।সে শুধুমাত্র আমাকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে আমি না যাই তাই বলছে।বা আমি  কখনোই তার কাছে তালাক  চাইনি।এটা কি তালাকের মজলিস হিসেবে গন্য হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন। https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
আমিতো ওয়াসওয়াসার কোর্স এ ভর্তি হতে পারছিনা।প্লিজ ভর্তি হওয়ার নিয়ম টা বলেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...