আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
اسلم عليكم و رحمةلله ؤ بركةه

আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী।আমি এসএসসির পর সহশিক্ষা ছেড়ে দিবো, ইনশাআল্লাহ।আমি এসএসসির পর সহশিক্ষা ছাড়ার ডিসিশন নিয়েছিলাম কারণ আমাদের টেস্টের পরে আর কোনো ক্লাস থাকেনা।তাই সহশিক্ষার ঝামেলাও থাকার কথা না। কিন্তু আমাদের স্কুলে এবার প্রত্যেকের জন্য প্রত্যের শনিবার স্কুলে গিয়ে এক্সাম দেওয়া ও ক্লাস করা বাধ্যতামূলক করেছে(ছেলে, মেয়ে একসাথে) ।আমি সহশিক্ষার গুনাহ হতে পারে ভাবে একদিন আমি না যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু যাইনি দেখে স্যার বাসায় আম্মুর কাছে ফোন দিয়ে আমাকে স্কুলে নেওয়ায়। স্যার বলে কোনো অজুহাত চলবে না। যেতেইই হবে। পরে ক্লাসের মাঝখানে আমাকে নেওয়ায়।আমার বাসায় কিন্তু আমাকে সহশিক্ষা ছাড়তে দেওয়ার জন্য রাজি না। আমাকে যুদ্ধ করেই ছাড়তে হবে,ইনশাআল্লাহ। এখন যদি আমি হুট করে বলি যে আমি আর স্কুলে যাবনা কিন্তু এসএসসি দিবো তাহলে তাদেরকে (আমার আব্বা আম্মা) অনেক পেরেশানি তে পড়তে হবে ক্লাস না করার জন্য।এতে আমার সহশিক্ষা ছাড়তে গিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধের পরিস্থিতি আমার জন্য আরও কঠিন হবে।আর এসএসসি না দিলেও পরিস্থিতি কঠিন হওয়ার সম্ভাবনা আছে আমার জন্য,ইনশাআল্লাহ। আর এমনিতে নরমাল কোনো অযুহাত যেমন :এসব ক্লাস ভাল্লাগেনা,এখানে সময় নষ্ট হয়,এখন এসএসসির আগে বাসায় পড়াটাই ভালো ইত্যাদি বলে আমি এসব ক্লাস ত্যাগ করতে পারবো না, ইনশাআল্লাহ। আমার ফ্যামিলিকে বুঝানোর জন্য আর একটা সমঝোতায় আসার জন্য আমার কিছু সময় দরকার।এখন যেহেতু শুধু মাত্র সপ্তাহে একদিন সে হিসেবে কি আমি এই কয়েকদিন এসএসসির আগ পর্যন্ত ক্লাস গুলো করতে পারবো,ইনশাআল্লাহ?
দয়া করে এককথায় যেতে পারবো কি পারবো না সেটা বলে দিয়েন।কোনো শর্ত দিলেও আমাকে সরাসরি বলে দিয়েন যে যেতে পারবো কি না।হ্যা বা না তে উত্তর দিয়েন,ইনশাআল্লাহ।
বি,দ্র:ইতোপূর্বে একবার এসব কথা তোলায় বাসায় ঝামেলা হয়েছিলো। সেসব মনে পড়লে আমার এখনো ভয় লাগে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে, শরীয়তের বিধান সম্পর্কে মোটামুটি কিছুটা আপনার জানা রয়েছে, তাই আপনাকে বলবো যে, আপনি নিজেই আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা আপনার রয়েছে বলে আবাস মিলছে। কাজেই পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিবেন। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...