আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।


ফাতওয়া জিজ্ঞাসা:


আমার আহলিয়াকে নিয়ে আমি তার মামাতো বোনের বাড়ি বেড়াতে যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমার আহলিয়া তার ৯ অথবা ১০ বছর বয়সের ভাতিজাকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকেন (শারীরিকভাবেও তার ভাতিজা অনেক বাচ্চা বাচ্চা)।

বিষয়টা আমার ভালো লাগেনি কারণ আমি নিজেও মেয়ে বাচ্চাদের বয়স ৫ বছরের বেশি হলে কখনোই স্পর্শ করিনা এবং সম্ভব হলে চোখের পর্দা করি (যদিও তারা বাচ্চা)।

এখন এইসব বাচ্চাদের ক্ষেত্রে পর্দার বিধান কি?


নোট:

১. আমার স্ত্রী জেনারেল লাইনে পড়াশোনা, কিন্তু সে এখন পরিপূর্ণ পর্দা করে।
২. জেনারেল লাইনে হওয়ার কারণে আমাদের মধ্যে ইলমী যোগ্যতা মাদ্রাসা লাইনের থেকে কম।

৩. আমদের জায়েজ নাজায়েযের উপর একটা মাসআলা দিবেন এবং তাকওয়া এর উপর থাকতে হলে কি করতে হবে সেটাও বলে দিবেন।

৪. আমার কাছে মনে হয় বর্তমান টেকনোলজির কারণে বাচ্চারা এখন অনেক কিছু বুঝে। তাই তাদের থেকে (বিশেষ করে মেয়ে বাচ্চাদের) আমি দূরে থাকা পছন্দ করি। আবার এইদিকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বাচ্চাদেরকে অনেক আদর করতেন। সেক্ষেত্রে আমি আমার সীমারেখা কিভাবে নির্ধারণ করবো।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাফসীরে জ্বালালাইনে বলা হয়,
ﺃَﻭْ اﻟﻄِّﻔْﻞ} ﺑِﻤَﻌْﻨَﻰ اﻷَْﻃْﻔَﺎﻝ {اﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﻢْ ﻳَﻈْﻬَﺮُﻭا} ﻳَﻄَّﻠِﻌُﻮا {ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻮْﺭَاﺕ اﻟﻨِّﺴَﺎء} ﻟِﻠْﺠِﻤَﺎﻉِ ﻓَﻴَﺠُﻮﺯ ﺃَﻥْ ﻳُﺒْﺪِﻳﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﻋَﺪَا ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦ اﻟﺴُّﺮَّﺓ ﻭَاﻟﺮُّﻛْﺒَﺔ 
যে সমস্ত বালকরা নাবালক,এবং স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে জ্ঞাত নয়,তাদের সামনে হাটু থেকে নাভী পর্যন্ত ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রকাশ করা নাজায়েয নয়।তবে যারা নাবালক হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী সহবাস বুঝে,তারা সাবালক পুরুষের মতই।সাবালক পুরুষের সামনে যেভাবে পর্দা করতে হয়,ঠিক তেমনি তাদের সামনেও পর্দা করতে হবে।( সূরা নূর-৩১ এর তাফসীর)

যেহেতু সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যেই ফিতনা সংগঠিত হয়ে থাকে।তাই শরীয়ত বালিগ ও বালিগা পুরুষ-নারীর জন্য পর্দার বিধান আরোপ করা হয়েছে।যেহেতু ফিতনাই মূল বিবেচ্য বিষয়,তাই মুরাহিক/মুরাহিকা তথা এমন বালক/বালিকা যে,এখনও বালিগ হয়নি,তবে দেখতে বালিগ বালিগার মতই। তার সামনেও পর্দা করা ফরয হয়ে যায়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2542


وفي امداد الفتاوی :
"السؤال:۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔اور نابالغ لڑکوں اغیار سے پردہ کس عمر کے لڑکے سے چاہیے؟
الجواب:۔۔۔۔۔۔نابالغ لڑکے تین قسم کے ہیں،ایک تو بالکل نادان جن کو بالکل کسی چیز کی تمییز نہیں،اُن کے رُوبرو تو برہنہ ہونا بھی جائز ہے،وہ مثلِ جمادات کے ہیں۔

دوسرا ذرا ہوشیار کہ تمییز تو رکھتا ہے،مگر حدِ شہوت کو نہیں پہنچا،اُس کے رُوبرو ناف سے زانو تک کھولنا جائز نہیں،باقی جائز ہے۔
تیسرا وہ جو قریب بلوغ کے پہنچ گیا ہو،اس کا حکم مثلِ بالغین کے ہے،تمام ستر ڈھاکنا اس سے فرض ہے۔

قال الله تعالى:أو الطفل الذين لم يظهروا على عورات النساء......فان الطفل ان كان مميزا لكنه لم يبلغ حد الشهوة جاز للنساء الانكشاف عنده الا من السرة الى الركبة- ولا يجوز لها بحضرته كشف ما تحت السرة كما يدل عليه قوله تعالى ليستأذنكم الذين ملكت أيمانكم والذين لم يبلغوا الحلم منكم ثلاث مرات- وان كان طفلا غير مميز بالكلية فهو كالجمادات والبهائم لا بأس لو كشفت عنده ما تحت الإزار ايضا- وان كان مراهقا يشتهى فحكمه حكم الرجال لانه استعد للظهور على عوراتهن-(التفسير المظهري)(امداد الفتاوی جدید مطول حاشیہ، ج:9، ص: 234، ط: رشیدیہ)

وفي احسن  الفتاوی:
مذکورہ بالا روایات حدیث وفقہ سے یہ امر متحقق ہوگیا کہ نو سال کی لڑکی اور دس سال کالڑکا احکام حجاب کے مکلف ہیں، اگر وہ خود کوتا ہی کریں تو ان کے اولیاء پر فرض ہے کہ وہ ان سے ان احکام پر عمل کروائیں ۔
نشو ءنما اور ماحول کے پیش ِنظر  لڑکے اور لڑکی کے لیے پردہ کی عمر مذکور میں کچھ کمی بیشی بھی ہوسکتی ہے۔والله سبحانه وتعالى اعلم۔" (احسن الفتاوی،کتاب الحظر والاباحہ، پردہ ودیگر مسائل، ج:8، ص:37 /38 /39، ط: سعید)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বর্তমান টিভি ইন্টারনেটের যুগ, ৭/৮ বছরের বাচ্ছারাও নারী পুরুষের দৈহিক পার্থক্য সম্পর্কে অবগত হয়ে যায়, তাই তাদের সামনে পর্দা করা ফরযের সমতুল্য এমনকি ফরয। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...