আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

আমার একটা সার্জারী হয়েছিল।সার্জারীর আগে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকা অবস্থায় হাতে সেলাই লাগানো ছিল।সেলাইন লাগানোর কারণে যেন হাতে টান না লাগে তাই বেডে বসে ইশারায় এশার সালাত পড়েছিলাম।হাতও কবজি থেকে ২/৩ আঙ্গুল উন্মুক্ত ছিল ক্যানলা করার কারণে।
একদিন বিতরের সালাত আদায় করছিলাম।যেই সালাম ফিরিয়ে দেখি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।যেমন ফজরের ওয়াক্ত যদি শুরু হয়, ৪:৪০ এ তাহলে আমি সালাম ফিরিয়ে দেখি ৪০/৪১ বাজে।সালাত কি হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

জবাব,

শরীয়তের বিধান হলো যদি ফজরের নামাজ পড়তে পড়তে সূর্য উদিত হয়ে যায়, তাহলে সেই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে,পরবর্তীতে  আবার কাজা আদায় করতে হবে।      

ইশরাক নামাজের ওয়াক্তেও তার কাজা আদায় করতে পারবে যদিও শেষ বৈঠক চলাকালীন সূর্য উদিত হোক,তারপরেও তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।   

(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৩১ আপকে মাসায়েল  আওর  উনকা  হল  ২/২৪৬)

হাদীস শরীফে এসেছে   

عن عقبۃ بن عامر الجہني رضي اللّٰہ عنہ یقول: کان رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم نہانا أن نصلي حین تطلع الشمس بازغۃ حتی ترتفع۔ (صحیح مسلم، الصلاۃ / باب الأوقات التي نہی عن الصلاۃ فیہا ۱؍۲۷۶ رقم: ۸۳۱)

যার সারমর্ম হলো রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদেরকে  সূর্য উদিত হওয়ার সময় থেকে নিয়ে সূর্য উঁচু হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন।

(এ সময় যেকোনো নামাজ পড়া হারাম)


ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   

قولہ: بخلاف الفجر أي فإنہ لا یؤدي فجر یومہ وقت الطلوع لأن وقت الفجر کلہا کامل فوجبت کاملۃ فتبطل بطرو الطلوع الذي ہو وقت الفساد۔ (شامي ۱؍۳۷۳ کراچی، شامي، کتاب الصلاۃ ۲؍۳۳ زکریا، البحر الرائق ۱؍۲۵۱، بدائع الصنائع ۱؍۳۲۷ کراچی)

যার সারমর্ম হলো সূর্য উদিত হওয়ার সময় ফজর নামাজ পড়া নিষেধ। 

      

বাদাইউস সানায়ে' গ্রন্থে এসেছে   

ولا یتصور أداء الفجر مع طلوع الشمس عندنا، حتی لو طلعت الشمس وہو في خلال الصلاۃ تفسد صلاتہ عندنا۔ (بدائع الصنائع، الصلاۃ / بیان الوقت المکروہ ۱؍۳۲۹ زکریا)

অনুবাদঃ

আমাদের নিকটে সূর্য উদিত হওয়ার সময় ফজর নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। 

যদি ফজরের নামাজ পড়াকালীন সূর্য উদিত হয়ে যায়,তাহলে আমাদের নিকটে তার নামাজ ফাসেদ (বাতিল) হয়ে যাবে।


★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কিছু আলেমের মতামত হলো যে, এক মিনিট বা ৩০ সেকেন্ড বিলম্ব হলে তা মার্জনীয়।  সেই নামাজ আবার আদায় করতে হবে না। অন্যথায় বিলম্ব হলে পূনরায় কাযা আদায় করতে হবে।   

★★ঈমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ফরজ নামাজ চালাকালিন সময়ে সূর্য উদিত হলে সেই নামাজ আদায় হয়ে যায়।

সুতরাং তাদের মতানুসারীদের জন্য সেই মত অবলম্বন করার সুযোগ আছে।)        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...