আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)

#হুজুর কেউ যদি অজু না করে নামাজ পড়ে বা পড়ে ফেলে এবং যদি কুরআন ও পড়ে বা পড়ে ফেলে কয়েকবারি এর জন্য কি ওই ব্যক্তির ইমানে কোন সমস্যা তো হবে না শুধু গুনাহ হবে তাইনা এর জন্য যদি ওই ব্যক্তি তওবা করে তাহলেই তো হবে নাকি ইমানে ও কোন সমস্যা হবে❓

# আমি একটা ভিডিও এর পোস্ট দেখি facebook এ তো পোস্ট টার ক্যাপশনে এইটা লেখা : (তা''লাকপ্রাপ্ত ব''উয়ের থেকে বি''দায় নিয়ে গ্রাম ছাড়লো স্বা''মী !) আমি কপি করে এইখানে দিলাম। আমি ক্যাপশন টা দেখার পরে শেষ এর কিছু কথা দেখার জন্য বা বাকি কথা দেখার জন্য বা যেই কারনেই হোক আমি ক্যাপশন টার মধ্যে তালা'''প্রাপ্ত বাক্য টার উপরে প্রথমে একবার ক্লিক করি এর পরে আমি আবার কয়েকবারি কথা গুলার উপরে ক্লিক করি এতে কোন সমস্যা নাই তো হুজুর বিবাহিত সম্পর্কে?? আমি মুখ দিয়ে কিছু বলিনাই বা লেখি ও নাই। জানিনা উত্তর দিবেন কিনা কিন্ত ছোট উত্তর আশা করি দিবেন।প্রশ্নটা প্রায় এক মাস হবে আমি মুস্লিম বাংলায় করি উত্তর ও পেয়েছি তাও হঠাৎ করে আবারও প্রশ্ন বা সমস্যা টা চিন্তায় গুরপাক খাওয়া শুরু হয় তাই অইখান থেকে কপি করে এনে এইখানে প্রশ্ন টা করলাম আমার প্রিয় হুজুর রা আমাকে উত্তর দিয়ে শেষ বার চিন্তা মুক্ত করবেন আশা করি।

জাযাকাল্লাহ খায়ের। heart

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/103624/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায় এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না

আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন - https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।


এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।


রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)


ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!


১. ভুলে যদি হয় তাহলে ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে যদি ইচ্ছা করে অযু ছাড়া নামাজ পড়ে এবং তার পদ্ধতিটা বিস্তারিত উল্লেখ করলে তখন আরো বিস্তারিত উত্তর দেওয়া যেতো। তিনি কেন এভাবে পড়েছেন?


২. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। তবে আপনি সব রকম ওয়াসওয়াসা পরিহার করে চলবেন। কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (11 points)
হুজুর ভুলে বলতে বিষয়টা অনেক বছর আগের বা কয়েক বছর আগের যখন ইসলাম নিয়ে তেমন গভীরতা বা knowledge এর কমতি ছিলো আর আমি ওসিডি রোগি যার জন্য এখন পুরাতন এত আগের বিষয় নিয়ে আমার সন্দেহ চিন্তা হওয়ায় আমি জিজ্ঞাসা করলাম আমাকে প্লিস বলবেন আমার এতে কোন ইমানে আর আমি তো এখন বিবাহিত আমার বিবাহিত সম্পর্কে কোন সমস্যা তো হবে না যেহেতু বিষয় টা অনেক আগের আনুমানিক কত বছর বলা মুস্কিল ২ বছর হতে পারে ৩/৪/৫ বছর ও হতে পারে বা তারো কম সঠিক টা বলা বা সঠিক তারিখ বা বছর বলা এখন পুরোপুরো নিশ্চিত হবে না বললে কিন্ত এখন বা এই বছর বা সোজা কথায় আমি বিবাহিত হওয়ার আগে থেকে বা বিবাহিত মানে বিয়ে হওয়ার পর থেকে এমন করিনাই বিষয় টা অনেক আগের আশা করি বুজাতে পারলাম সমাধান দিবেন❓❓

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...