আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
হজের বিধান পালনে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে যে দম আবশ্যক হয় তার গোশত খাওয়া কি জায়েজ?

তামাত্তু ও কিরান হজ পালনকারী যে কোরবানি বা দম দিয়ে থাকেন অর্থাৎ  দমে শোকর এর গোশত খাওয়া কি জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হজের বিধান পালনে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে যে দম আবশ্যক হয়, তার গোশত শুধুমাত্র ফকির মিসকিনকেই দিতে হবে।নিজে ভক্ষণ করা যাবে না।বা কোনো ধনী ব্যক্তি ভক্ষণ করতে পারবে না।

তবে তামাত্তু ও কিরান হজ পালনকারী যে কোরবানি বা দম দিয়ে থাকে, অর্থাৎ দমে শোকর এর গোশত নিজে  খাওয়া জায়েয হবে। এবং আত্মীয় স্বজন বা ধনীদেরকেও খাওয়ানো যাবে।এটা কুরবানির গোশতের মতই।

لما في الفتاوی الشامية:
"(وذبح للقران) وهو دم شكر فيأكل منه
(قوله وهو دم شكر) أي لما وفقه الله تعالى للجمع بين النسكين في أشهر الحج بسفر واحد لباب (قوله فيأكل منه) أي بخلاف دم الجناية كما سيأتي".(کتاب الحج، باب القران، ج: 2، ص: 532، ط: سعید)

وفيه أيضاّ:
"(ويجوز أكله) بل يندب كالأضحية (من هدي التطوع) إذا بلغ الحرم (والمتعة والقران فقط) ولو أكل من غيرها ضمن ما أكل
(قوله ولو أكل من غيرها) أي غير هذه الثلاثة من بقية الهدايا كدماء الكفارات كلها والنذور وهدي الإحصار والتطوع الذي لم يبلغ الحرم، وكذا لو أطعم غنيا، أفاده في البحر".(کتاب الحج، باب الهدي،ج: 2، ص: 616، ط: سعید)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...