আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
604 views
in সালাত(Prayer) by (24 points)
edited by
মসজিদের জামায়াতে নয়, কিছু লোক এক জায়গায় মাগরিবের সলাতের জামায়াত করেছে। জামায়াতে ইমাম সূরা নাবা তিলওয়াত করার সময় ৩য় আয়াতে "আল্লাযি হুম ফীহি মুখতালিফুন " পড়ার বদলে "আল্লাযিনা হুম ইউ'মিনুনা বিল গইবি ওয়া ইউকিমুনাস সলাত" পড়ে ফেলেছে। এরপর রুকুতে চলে গিয়েছে। সম্ভবত ভুলে গিয়েছে আয়াত টা এবং পরের আয়াতটা।পরবর্তীতে সাহু সিজদা করেনি। পরবর্তীতে ইমাম ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং আস্তাগফিরুল্লাহ বলে তওবা করেছেন।
এই ক্ষেত্রে,
(১) ইমাম সাহেবের করনীয় কি?
(২) মুক্তাদির করনীয় কি?
(৩) ইমাম সাহেব আর মুক্তাদির কি মাগরিবের সলাত আবার পড়তে হবে? নাকি শুধু ইমাম সাহেবকে পড়তে হবে?
(৪) ইমাম সাহেবকে কি কোন কাফফারা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। 
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। বিশিষ্ট ফকিহ আল্লামা রশিদ আহমদ রাহ,বলেন, হুরুফে মুতাশাবিহাত তথা সামঞ্জস্যশীল হরফ যেমন, ظ. ض ذ .ز س.ص.ث. ط. ت. এর মধ্যকার উচ্ছারণ পার্থক্য জানা ও আদায় করা ফরয।তাছাড়া অন্যান্য কায়েদা যেমন এজহারের কায়দা,এখফার কায়েদা জানা ও সে অনুযায়ী আ'মল করা মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৫) 

 প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত পড়লে যদি অর্থ পরবির্তন হয়ে যায়,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।নতুবা নামায ফাসিদ হবে না।তবে ইচ্ছাকৃত এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত পড়া মাকরুহ। 
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণমতে যদি ইমাম সাহেব ৩য় আয়াতের পূর্বে ওয়াক্ফ করে থাকেন,তাহলে নামায হয়ে যাবে।আর যদি ওয়াকফ না করে থাকেন, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা ওয়াকফ না করলে তখন অর্থ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/২৬১) (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/২৬১ ,আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৪৪)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...