আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in পবিত্রতা (Purity) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম,
শাইখ আমার সব প্রেগনেন্সিতেই নিফাসেরপর ইস্তিহাজা হয়ে থাকে। ইস্তিহাজা এমন হয় যে ২/৩ দিন পরপর ব্লিডিং হয় অল্প অল্প করে এমন।

তো শাইখ, থার্ড প্রেগনেন্সিতে ১৩ তারিখে অর্থাৎ ৪১ তম দিন থেকে নামাজ পড়ছি। এমন ভাবে দুই তিন দিন পরপর অল্প অল্প করে ব্লিডিং হয় আবার ৪ /৫ দিন হয়না এমন। তো, ৪১তম দিন হতে ২৮ তারিখে তো আমার ১৫ দিন হয়। ১৫ দিনের পরের ১০ দিন তো হায়েজ কাউন্ট করতে হবেনা?
তাহলে....
(১) ২৮ তারিখ থেকে কি আমার হায়েজের টাইম কাউন্ট হবে? ২৮ তারিখের ৩দিন আগে থেকে আজকে ১ তারিখ পর্যন্ত আমার ব্লিডিং হয়নি। আজকে ১ তারিখে এশার পরে অল্প ব্লিডিং হল, এখন এটা কি আমি হায়েজের সময় হিসেবে কাউন্ট করব ১ তারিখ থেকে পরবর্তী ১০ দিন? নাকি ২৮ তারিখ থেকে পরবর্তী ১০ দিন? কারন, ২৮ তারিখে ১৫ দিন পূর্ন হলেও যেহেতু ব্লিডিং ১ তারিখে হয়েছে।
(২) এই ১০ দিনের ভিতরে যদি প্রথম দুই দিন ব্লিডিং হয় পরে ৪ দিন পরে একটু হয় পরে যদি ১০ দিনের বাইরের দিনে হয়। তহলে হায়েজের টাইম ওই ১০ দিনের সময় টুকুই কাউন্ট করব? আর বাকি ১১ তম দিন থেকে ইস্তিহাজার টাইম কাউন্ট করব শাইখ? একটু কষ্ট করে বলবেন ইনশা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
,
আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
২৮ তারিখে ব্লিডিং হলে তাহা যদি সর্বনিম্ন ৩ দিন ৩ রাত ধরে আসে,বা ৩ দিন পূর্ণ না হলেও ১০ দিনের মাথায় আবারো ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে ২৮ তারিখ হতে হায়েজ ধরবেন। 
ব্লিডিং বন্ধ হলে গোসল করে নামাজ শুরু করে দিবেন।

যদি ২৮ তারিখে ব্লিডিং না হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ আদায় করবেন।

★প্রশ্নের বিবরণ মতে ২৮ তারিখের ৩দিন আগে থেকে ১ তারিখ পর্যন্ত আপনার ব্লিডিং হয়নি। 
১ তারিখে ঈশার পরে অল্প ব্লিডিং হয়েছে,সুতরাং এটা যদি সর্বনিম্ন ৩ দিন ৩ রাত ধরে আসে,বা ৩ দিন পূর্ণ না হলেও ১০ দিনের মাথায় আবারো ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে ১ তারিখ ঈশার ওয়াক্ত হতে হায়েজ ধরবেন। 
ব্লিডিং বন্ধ হলে গোসল করে নামাজ শুরু করে দিবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে চার দিন পর যে একটি ব্লিডিং হয়েছে,সে সময় পর্যন্ত হায়েজ ধরবেন।
তারপর গোসল করে নামাজ শুরু করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...