আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।
কসমেটিকস এর পণ্য যেমন গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করা হালাল হবে কি না কিভাবে বুঝতে পারব?

মুরগীর মাংস মুসলিম দোকান্দার থেকে কিনে খাওয়া যাবে কি? যদিও জানি না মুরগি জবাই হালাল হয়েছে কিনা এবং যদিও মুরগী জবাইকারী মুসলিম হয়।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

জবাব,

পবিত্রতা (অযু/গোসল) ব্যতীত নামাজ কবুল হবে নাঃ

 عَنْ اَبِى الْمَلِيْحِ عَنْ اَبِيْهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: لَا يَقْبَلُ اللهُ صَلَاةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ وَلَا صَدَقَةً مِنْ غُلُوْلٍ

অর্থঃ হযরত আবূ মালিহ তাঁর পিতা (উসামা রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:- আল্লাহ্ তা’আলা পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করবেন না এবং অবৈধ সম্পদের সাদকাও কবুল করবেন না। (সুনানে নাসাঈ হাদীস নং-০৬)

অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক। যদি কোনো অংশ না ভিজে, তাহলে অযু, গোসল হবেনা।

আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে, তাহলে দেখতে হবে যদি উক্ত তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাঁধা ও আবরণবিশিষ্ট হয়, তাহলে পবিত্রতা অর্জনের পূর্বে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাঁধা অবস্থায় থেকে যায়, তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে করে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না।

কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না।’ (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা : ১৭৪)

প্রশ্নকারী সম্মানিত দ্বীনি ভাই / বোন!

১.   প্রশ্নে  উল্লেখিত ছুরতে গ্লিসারিন, সাধারন তৈল, যেখানে শরীরে আবরন পড়েনা, এগুলো লাগানোর ছুরতে অযু, গোসল হয়ে যাবে। তবে এই  অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় যথাসম্ভব হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দেওয়া উচিত। যেন যথাস্থানে পানি পৌঁছতে সন্দেহ না থাকে। আর বডি বাটার, লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করে, শরীরে আবরন না পড়ে,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।

তবে যদি শরীরে আবরন পড়ে,তাহলে এগুলো লাগানোর ছুরতে অযু,গোসল হবেনা। তবে এই অবস্থায় অজু বা গোসলের সময় হাত দিয়ে অজুর স্থানগুলো ও শরীরের বিভিন্ন স্থান ভালো করে ঘষে দিতে হবে। যেন যথাস্থানে সঠিক ভাবে পানি পৌঁছতে পারে।

বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/6089

২. সচরাচর মুসলিম দোকানগুলো থেকে গুরু, খাসি বা মুরগির মাংস কিনে খেতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি কোনো দোকানের ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, সেখানে বিসমিল্লাহ ব্যতীত জন্তু জবাই করা হয়, তাহলে সেখানকার মাংস খাওয়া কোনোক্রমেই বৈধ হবে না। (রাদ্দুল মুহতার: ৬/২৯৯); ফাতাওয়া তাতার খানিয়া: ১৭/৪০১; আহসানুল ফাতাওয়া: ৮/১০৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...