আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

আমার কয়েকটা প্রশ্ন ছিল-

  1. আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন তো উনি ১.৫ বছর পর দেশে এসেছিলেন,সেদিনই আমার হয়েজ শুরু হয়। আমি অনেক বাধা দেয়ার পরওআমাদের শারীরিক সম্পর্কটা হয়ে যায়। ৭ দিন থাকে হায়েজ ৩/৪ দিন হয়েছিল শারীরিক সম্পর্কটা । মারসুস উস্তাদ বলেছিন একটা ক্লাসেযে স্বামি স্ত্রী যখন কোনো পাপ করে সেটার জন্য তাদের মধ্যে দূরুত্ব সৃষ্টি হয়। আমার কাগজটাও গত ৩ বছের ধরে আটকে আছে।বিদেশের জন্য ভিসা হচ্ছে না। এখন আমরা কাফফারা দিতে চাই। কাফফারা দিলে কি পাপ থেকে মুক্তি মিলবে? আর কাফফারা কিভাবেদিব এটার। একটু বিস্তারিত জানাবেন মিন ফাদ্বলিক। 
  2. মাশকে ও তামরিনে কয়েকদিন আমি দেখে পড়া দিয়েছি এটেন্ডেন্সের জন্য। আমি কি বাকিদের হক নষ্ট করেছি। সবার কাছ থেকেই কিক্ষমা চাইতে হবে?
  3. আমার চাচি বদনজর লাগলে লবন পড়ে দেন। মানে উনি পড়ে বুঝতে পারেন বদনজর কি না। শুধু খাবারের ক্ষেত্রে বদনজর লাগলে ঐটাসাড়াতে পারেন। লবনটা পানিতে মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা কমে। এটা কি ঠিক নাকি শিরক হবে।
  4. স্বামী দূরে থাকেন সে জন্য অনেক সময় আমার কাছে গোপনাঙ্গের ভিডিও বা ছবি চান। এটা দেয়া কি জায়েজ হবে? যদি আমি না দেইউনি রাগ করেন। সেক্ষেত্রে আমার কি করনীয়। দিব নাকি দিব না।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হায়েজ অবস্থায় (পিরিয়ড চালাকালিন সময়)  স্ত্রী সহবাস করা হারাম।

পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ সময়ে সহবাস করতে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা আসছেঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ ۖ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ ۖ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىٰ يَطْهُرْنَ ۖ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢]

আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও,এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না,যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে,তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সূরা বাকারা-২২২]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ أَتَى حَائِضًا، أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا، أَوْ كَاهِنًا، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ.

 হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ঋতুবতীর সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎদ্বারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকটে যায়, নিশ্চয়ই সে মুহাম্মাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করে’। [তিরমিযী, হাদীস নং-১৩৫, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৯২৯০]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এর দরুন মারাত্মক গুনাহ হয়েছে। লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে এর জন্য খালেস দিলে তওবা করতে হবে,এবং ভবিষ্যতে আর এহেন গুনাহ করবেনা মর্মে মহান আল্লাহর কাছে ওয়াদা বদ্ধ হতে হবে।

হানাফি মাযহাব মোতাবেক এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

খালেস দিলে তওবা করলেই উক্ত গুনাহ হতে মুক্তি মিলবে।

(০২)
আপনি বাকিদের হক নষ্ট করেননি।
তবে ধোকামূলক কাজ করেছেন।
তাই আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিবেন।

(০৩)
বদনজরে আক্রান্ত হলে করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- https://ifatwa.info/96526/

বদনজর থেকে বাঁচতে সুরা ফালাক ও সুরা নাস বেশি বেশি করে পাঠ করার পরামর্শ থাকবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার চাচি যদি কুরআনের আয়াত পড়ে সেই লবনে ফু দেয়,সেক্ষেত্রে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে সেই লবন খাওয়া যাবে,সমস্যা নেই 

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...