আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আমি চার বছর আগে একজনকে ভাই বানিয়েছিলাম এবং আমাদের সম্পর্ক ভাই বোনের মতোই ছিলো।

অনেক বারই অনেক কারোনে কষ্ট দিয়েছে আর বার বারই আল্লাহর নাম করে চলে গেছে আবার ফিরেও এসেছে।
এই পাতানো ভাই আমাকে অনেক ওয়াদা করেছিলো মিথ্যা আস্বাস দিয়েছিলো সে জানতো যে আমরা ভাই বোন হলেও আমাদের সম্পর্কটা হারাম তাও সে এগুলো করেছিলো কিন্তু ওয়াদা রাখেনি এবং আবারো হারাম এর নাম করে চলে গিয়েছে,  আল্লাহ কি তাকে শাস্তি দিবে না?
আমি প্রায় ২ মাস হলো আল্লাহর কাছে তাহাজ্জদ পড়ছি দোওয়া করছি যেন ওই ভাইকে এমন একটা শাস্তি দেয় আমার প্রত্যেকটা কান্নার ফোটার হিসাব আল্লাহ নিক  যাতে সে অনুতপ্ত হয়ে আমার কাছে কান্না  করে ক্ষমা চায় আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো, কিন্তু আমি তার সাথে কথা বলবো না শুধু চাই আমাদের ভাই বোনের সম্পর্ক টা ঠিক হয়ে যাক ওই ভাই আমাকে নিজের ভাই এর মতো ভালোবাসুক আর তার মায়ের সাথেও আমার সম্পর্ক টা সুন্দর হয়ে যাক, কিন্তু যেহুতু কথা বলা হারাম তাই দরকার ছাড়া ওই ভাইএর সাথে কথা বলবনা


এই দোওয়া করা কি জায়েজ হবে? আল্লাহ কি আমার এই দোওয়া কবুল করবে?আমি তো অনেক আসা নিয়ে চেয়েছি কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে তো চাইনি যেভাবে যেভাবে দোওয়া করলে আল্লাহ দোওয়া কবুল করে সব তো করেছি তাও হচ্ছেনা তাহলে কি করব?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।

দ্বীনী বা বৈধ কোন জরুরী বিষয় থাকলে পর্দার আড়ালে থেকে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
মহিলা হয়ে কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষকে এভাবে ভাই বানানো শরীয়তে জায়েজ নেই। স্পষ্ট হারাম।

উক্ত ছেলেকে ভাই বানানো, তার সামনে দেখা দেয়া,তার সাথে ফোনে কথা বলা কোনোটিই জায়েজ নেই,স্পষ্ট হারাম।

সুতরাং আপনি যে দোয়া করেছেন,সেটি নাজায়েজ দোয়া।
এই দোয়া কবুল হবেনা।
এই দোয়া করাই জায়েজ হয়নি।

তার সামনে পর্দা করা ফরজ।
তার সাথে কথা বলা নাজায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি চাই তার মিথ্যা ওয়াদা মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জন্য সে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাক আর আল্লাহ তাকে শাস্তি দিক যাতে সে বুঝতে পারে সে আমাকে কেমন কষ্ট দিয়েছে এইটুকুই তার সাথে কথা বলতে চাইনা। 

আমি শাস্তি এর জন্য চাইনা যে সে চলে গিয়েছে বরং এর জন্য চাই যে আমি বিশ্বাস না করা সত্তেও বার বার আমাকে মিথ্যা ওয়াদা মিথ্যা আস্বাস দিয়ে বিশ্বাস করিয়েছে যখন আমি বিশ্বাস করলাম আমাকে আবারও ধোকা দিয়েছে। 

আমি চাই আমাকে ও যেভাবে কষ্ট দিয়েছে আল্লাহ ওকে শাস্তি দিক যাতে দাদা অনুতপ্ত হয়ে যায়।

যদি দাদা তওবা করে নেয় আল্লাহ কি ক্ষমা করে দিবে? সে যে আমাকে কষ্ট দিলো
আল্লাহ কি তাকে শাস্তি দিবে না? 
by (574,050 points)
আপনি যেহেতু মাজলুম,সেক্ষেত্রে শাস্তির দোয়া করতে পারবেন।
তবে এভাবে বদ দুয়া না করাই ভালো।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...