আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)

আসসালামু আলাইকুম। স্কুলে পড়া অবস্থায় ফাইনের টাকা আদায় করার দায়িত্বে ছিলাম। জমাকৃত ফাইনের টাকা থেকে কিছু টাকা আমি সরিয়ে নিয়েছিলাম। কত টাকা সরিয়েছি সেটা আমার মনে নেই।

এখন এই পাপ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো? 

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/83776/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যেহাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যার যার সাথে এরকম ব্যবহার করেছেন, জুলুম করেছেন, প্রত্যেকের কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করতে হবে।

 এই দুই কাজ করলে আপনি দুনিয়ার শাস্তি ও আখিরাতের শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে হক নষ্টকারী মাফ চাওয়ার পরও তাঁকে যদি মাফ না করা হয়, তাহলে এর বদলা তাকে হাশরের মাঠে দিতে হবে কি নাসেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে যিনি মাফ করবেন না, উনাকেও আল্লাহ মাফ করবেন না। এমনটাই হাদীসের ভাষ্য থেকে বুঝা যায়।

যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে বা তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো সুযোগই যদি না থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং মাল সম্পদ সম্পর্কীয় হক হলে তা সদকাহ করে দিতে হবে।  যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তার গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা শর্ত নয়, তবে কেউ করলে তা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে। হ্যা, সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যদি কারো সম্পদ আত্নসাৎ করার পর তার নিকট ক্ষমা চাইতে বিব্রতবোধ করে তাহলে এমন কোনো পন্থা অন্বেষণ করতে অসুবিধা নেই যার দ্বারা এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে বাঁচা যায়। যেমনহয়তো অন্য কোনো লোকের মাধ্যমে তাদের কাছে তাদের প্রাপ্য ফেরত পাঠানো এবং নাম উল্লেখ করতে নিষেধ করে দেওয়া অথবা কৌশল অবলম্বন করে বলা যে আপনার এসব হক এক ব্যক্তির কাছে ছিল কিন্তু সে তার নাম উল্লেখ করতে চায়নি। মূল কথা হচ্ছে, প্রাপকের কাছে তার অধিকার ফেরত দিতে হবে।

যার ঘরে চুরি করা হয়েছে বা যার সম্পদ অন্যায়ভাবে নেওয়া হয়েছে তাকে পাওয়া না যায়, তাহলে যথাসাধ্য তাদের ঠিকানা তালাশ করে যেতে হবে। যদি পেয়ে যান তাহলে তাদের প্রাপ্য ফেরত দেবেন। আর যদি মালিক মারা গিয়ে থাকে তাহলে তার ওয়ারিশদের ফেরত দেবে। চেষ্টা করেও যদি তাদের পাওয়া না যায়, তাহলে এসব সম্পদ তাদের নিয়তে দান করে দিতে হবে। তাদের জন্য নিয়ত করতে হবে, যদিও কেউ কাফের হয়ে থাকে।

সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপনি অনুমান করে ঐ পরিমাণ টাকা যা আপনি সরিয়ে নিয়েছিলেন আপনার ঐ স্কুলের তহবিলে যেকোন ভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন এবং খালেস অন্তরে বিগত কাজের জন্য ইস্তিগফার করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...