بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/83776/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে, হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي
هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ
مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ
قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ
أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ
مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে,
সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন
আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না
থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার
প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক
প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যার যার সাথে এরকম ব্যবহার করেছেন, জুলুম করেছেন, প্রত্যেকের কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে নিতে হবে।
পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করতে হবে।
এই দুই
কাজ করলে আপনি দুনিয়ার শাস্তি ও আখিরাতের শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে
হক নষ্টকারী মাফ চাওয়ার পরও তাঁকে যদি মাফ না করা হয়, তাহলে
এর বদলা তাকে হাশরের মাঠে দিতে হবে কি না?
সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। তবে যিনি মাফ করবেন না, উনাকেও আল্লাহ মাফ করবেন না। এমনটাই হাদীসের ভাষ্য থেকে বুঝা যায়।
যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলে বা তার কাছে
ক্ষমা চাওয়ার কোনো সুযোগই যদি না থাকে তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং মাল
সম্পদ সম্পর্কীয় হক হলে তা সদকাহ করে দিতে হবে।
যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তার গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা শর্ত নয়, তবে কেউ করলে তা অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে। হ্যা, সর্বদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো সম্পদ আত্নসাৎ
করার পর তার নিকট ক্ষমা চাইতে বিব্রতবোধ করে তাহলে এমন কোনো পন্থা অন্বেষণ করতে অসুবিধা
নেই যার দ্বারা এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে বাঁচা যায়। যেমন—হয়তো অন্য কোনো লোকের
মাধ্যমে তাদের কাছে তাদের প্রাপ্য ফেরত পাঠানো এবং নাম উল্লেখ করতে নিষেধ করে দেওয়া
অথবা কৌশল অবলম্বন করে বলা যে আপনার এসব হক এক ব্যক্তির কাছে ছিল কিন্তু সে তার নাম
উল্লেখ করতে চায়নি। মূল কথা হচ্ছে,
প্রাপকের কাছে তার অধিকার
ফেরত দিতে হবে।
যার ঘরে চুরি করা হয়েছে
বা যার সম্পদ অন্যায়ভাবে নেওয়া হয়েছে তাকে পাওয়া না যায়, তাহলে যথাসাধ্য তাদের ঠিকানা তালাশ করে যেতে হবে। যদি পেয়ে যান
তাহলে তাদের প্রাপ্য ফেরত দেবেন। আর যদি মালিক মারা গিয়ে থাকে তাহলে তার ওয়ারিশদের
ফেরত দেবে। চেষ্টা করেও যদি তাদের পাওয়া না যায়,
তাহলে এসব সম্পদ তাদের
নিয়তে দান করে দিতে হবে। তাদের জন্য নিয়ত করতে হবে,
যদিও কেউ কাফের হয়ে থাকে।
সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত
ছুরতে আপনি অনুমান করে
ঐ পরিমাণ টাকা যা আপনি সরিয়ে নিয়েছিলেন আপনার ঐ স্কুলের তহবিলে যেকোন ভাবে পৌঁছানোর
চেষ্টা করবেন এবং খালেস অন্তরে বিগত কাজের জন্য ইস্তিগফার করবেন।