আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (5 points)

আসসালামু আলাইকুম 

 

আমি বর্তমানে আলিয়া মাদ্রাসায় ফাজিল অনার্স ১ম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমি যে মাদ্রাসায় পড়ি সেটা অনেক নামি-দামি বড় মাদ্রাসা। এখানে ছেলে মেয়েদের আলাদা বিল্ডিং আলাদা ক্লাস টিচার ও আলাদা। আমার আব্বুর আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। তাই আম্মু আব্বু চাচ্ছেন আমি চাকরি করি। সেজন্য আমাদের মাদ্রাসায় চাকরি নিতে বলেছেন। সেখানে যেহেতু মহিলারা মহিলাদের পড়াবে সহশিক্ষা নাই। কিন্তু আমি চাকরি করতে চাই না। আমি হেদায়েত পাওয়ার পরই আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছিলাম ইসলামের বাইরে কখনো যাবো না। আমি ঘরে থাকলে তেমন কোনো গুনাহ ই হয় না। কিন্তু মাদ্রাসায় গেলে না চাইতেও অনেক পুরুষের দিকে চোখ পড়ে যায়। মাদ্রাসায় যদি চাকরি করি তবে বাসা থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার রাস্তায় ও তো পুরুষ থাকবে তখন ১০০% অন্য পুরুষের দিকে আমার চোখ না চাইলেও যাবেই, আমি কতদিন নিজেকে কন্ট্রোল করবো? এতে তো গুনাহ হবে। আম্মু আব্বু চাইছে আমি উনাদের সাহায্য করি। 

 

আমি অনলাইনে নারীদের পড়াই। এখানে প্রতি মাসে ৪/৫ হাজার টাকা আসে। আরও ২/৩ মাস পড়ে ম্যাম্বার বাড়লে মাসে ১০০০০ হাজারও আসতে পারে। আমি আম্মু আব্বু কে বলছি একটু সবর করতে আরও কতক মাস পড়ে তো এমনিতেই ৮/১০ হাজার টাকা ফেলতে পারবে কিন্তু উনারা মানছেন না। উক্ত পরিস্থিতিতে আমার কি করা উচিত 

 

১/ আমি বাইরে গিয়ে ছেলেদের মতো চাকরি করলে ইসলাম থেকে আমার মন কিছুটা হলেও দূরে যাবে কিন্তু আমি এমনটা চাইনা। উনারা আমাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করছেন। বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ হলে কি মেয়েদের বাইরে গিয়ে চাকরি করতেই হবে, যদি সেটা মহিলা মাদ্রাসা হয়। ইসলাম  এতে কি বলে? 

 

২/ যদি বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ হয় তবে কি মেয়েকে বাইরে গিয়ে চাকরি করতে বাধ্য করতে পারবে? যেহেতু আমি প্রতি মাসে ৩/৪ হাজার টাকা দিচ্ছি পরিবারে। একজন মেয়ের জন্য কি একটুকু সাহায্য যথেষ্ট নয়? ইসলাম এতে কি বলে?

 

৩/ উপরোক্ত পরিস্থিতিতে৷ আমাকে একটু বলুন উক্ত মহিলা মাদ্রাসায় চাকরি করা কি আমার জন্য হালাল হবে? আর টাকাটাও কি আমার জন্য হালাল হবে? প্লিজ এটা আমাকে একটু বলুন। 

 

যদি আল্লাহর আদেশের অমান্য হয় এখানে চাকরি করতে গিয়ে তবে আমি চাকরি করবো না, মরে গেলে তো আমার মা-বাবা আমাকে আর সাহায্য করবে না, আমার গুনাহের ভাগ আমাকেই নিতে হবে। আমি কারও জন্য আল্লাহর আদেশের বাইরে যাবো না। এর আগে পর্দা নিয়েও আমার সমস্যা হয়েছিল। পর্দা করতাম বলে অভিশাপও পেতে হয়েছে। কিন্তু আমি সবার আগে আল্লাহর আদেশ এই সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম যে কারণে আল্লাহ তায়ালা পরবর্তীতে পরিস্থিতি সহজ করেছেন। আমি যদি এখনো আল্লাহ কেই প্রাধান্য দেই তবে আমি ১০০% সিউর আল্লাহ তায়ালা আমাকে সাহায্য করবেন৷ হয়তো আল্লাহ দেখতে চাচ্ছেন আমি আমার সিদ্ধান্তে কতটুকু দৃঢ়। 

 

৪/ এই চাকরি করলে আল্লাহর আদেশের কতটুকু অমান্য হবে? এতে কি আমার গুনাহ হবে? আমি এখানে চোখের হেফাজত করতে পারবো না। আর চোখের হেফাজত করতে না পারলে ইবাদাতের সাদ পাইনা মনে অনেক অশন্তি  কাজ করে।

 

৫/ যদি চাকরি টা হারাম হয় তবে আম্মু আব্বুর আদেশ অমান্য করায় আমার কোনো গুনাহ হবে কিনা?

 

৬/ মা-বাবা মেয়েকে বাইরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাকরি করতে বললে তাদের গুনাহ হবে কিনা? উনারা আমায় মহিলা মাদ্রাসায় চাকরি করতে বলছেন। 

 

৭/ আমার আম্মু আব্বু পশ্চিমা চিন্তাভাবনাই ধারণ করেন। পশ্চিমাদের মতো মেয়েরা এই সেই দুনিয়াবি ডিগ্রি লাগাবে ছেলেদের মতো বাইরে গিয়ে চাকরি করবে। দুনিয়াটা আর কয়দিনের? অনেকে ৬০/৭০ বছর বাঁচে কিন্তু আমার সবসময় মনে হয় আমি ৩০/৪০ বছরের মধ্যেই মারা যাবো [এটা শুধু মনে হয়, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমার মন সবসময় যা বলে সেটা বাস্তবে হয়ে যায়। সত্যি বলতে আমিও মনে মনে এরকমই চাই। ] কিন্তু সামান্য সময়ের জন্য আখেরাত কেন নষ্ট করবো? এটা মনে হলেই আমার জান বের হয়ে যায়। আম্মু আব্বু এটা বুঝতে পারছেন না আগের সাহাবীরাও তো অনেক গরিব ছিলেন তাই বলে কি উনাদের ঘরের মেয়েদের বাইরে কাজ করতে বের করেছেন। আল্লাহ তায়ালা কি উনাদের রিজিকের ব্যবস্থা করেননি? উনাদের বুঝাতেই পারছি না যদি আল্লাহ কে ভয় করে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহ তায়ালাই করে দিবেন। আমি নিজেই তার প্রমাণ, কারণ আমার ফ্রেন্ড একবার একটা শিশু ইস্কুলে চাকরির জন্য আবেদন করতে বলেছিল উকানে আবেদন করলে চাকরি টা হয়ে যেত কিন্তু আল্লাহর ভয়ে সেটা করিনি, তার ফল উখানের বেতর ৪/৫ হাজার ছিল কিন্তু এখন আমি ঘরে বসেই হালাল ভাবে মাসে ৩/৪/৫ হাজার ইনকাম করছি। আমার আম্মু আব্বু কে কিভাবে বুঝাবো একটু নসিহা দিন প্লিজ, আমি বাইরে গিয়ে একদমই চাকরি করতে চাইনা সেটা মহিলা মাদ্রাসা হলেও। তাছারা আর কতক মাস পড়ে আমিও ঘরে বসেই হালালভাবে ৮-১০ হাজার ইনকাম করতে পারবো। একজন মেয়ের জন্য কি এতটুকু যথেষ্ট নয়? যতই ইনকাম করি চাহিদা শুধু আরও বাড়ে।

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/5112/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
প্রয়োজন, অপরাগতা কিংবা ঠেকায় পড়ার পরিস্থিতি ছাড়া সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

নারী চাকরির খাতিরে ঘর থেকে বের হতে পারবে। তবে এর জন্য কিছু নিয়ম ও শর্ত রয়েছে। নিয়ম ও শর্তগুলো মেনে চললে নারীর জন্য ঘর থেকে বের হওয়া জায়েয হবে; অন্যথায় নয়। 
যেমন,
– যদি সত্যিকারে তার চাকরি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে।
– চাকরিটা তার দৈহিক, মানসিক স্বভাব ও রুচির সঙ্গে সামন্জস্যশীল হতে হবে। যেমন, ডাক্তারি, নার্সিং, শিক্ষা, সেলাই কিংবা এ জাতীয় পেশা হতে হবে।
– কর্মক্ষেত্রে পর্দার পরিপূর্ণ পরিবেশ থাকতে হবে। অন্যথায় জায়েয হবে না।
– চাকরির কারণে যাতে পরপুরুষের সঙ্গে সফর করতে না হয়।
– কর্মক্ষেত্রে আসা-যাওয়ার পথে যাতে কোন হারাম কাজ করতে না হয়। যেমন, ড্রাইভারের সঙ্গে একাকী যাওয়া, পারফিউম ব্যবহার করা ইত্যাদি।
– নারীর প্রধান কাজ ও দায়িত্ব হচ্ছে স্বামীর খেদমত করা, তার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা ও মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। যদি চাকরি করতে গিয়ে এসব দায়িত্ব পালনে ব্যাপক অসুবিধা হয় তাহলে তার জন্য চাকরি করা জায়েয হবে না। (ফাতাওয়াল মারআতিল মুসলিমাহ ২/৯৮১ ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)

মহিলাদের জন্য পর্দা রক্ষা করে ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে যেন পর্দা লঙ্ঘণ না হয়, সেই সাথে শরয়ী অন্য কোন বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
হ্যাঁ, যদি উপার্জনক্ষম কোন মাহরাম আত্মীয় থাকে, বা অভিভাবক থাকে, তাহলে মহিলাদের জন্য ব্যবসা ও চাকরীর জন্য বাহিরে যাওয়া উচিত নয়।

শরয়ী পর্দা ও বিধান অনুসরণ করে মহিলাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করাতে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। তা’ই শরয়ী কোন কারণ ছাড়া মহিলাদের ব্যবসা করা ও চাকুরী করাকে হারাম বলার সুযোগ নেই।

-তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১১৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৫; আলবাহরুর রায়েক ১/২০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮, ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯

তবে যদি পর্দা লঙ্ঘণ হয়, পুরুষদের মিলে একসাথে কাজ করতে হয়, সেই সাথে ফিতনার আশংকা হয়, তাহলে জায়েজ নেই।

ولها ان تقوم بالتدريس والبيع والشراء والصناعة من نسيج وصيغ وغزل وخياطة ونحو ذلك إذا لم يفض إلى مالا يجوز شرعا من خلوتها بأجنبى، أو اختلاطها برجال غير محارم اختلاطا تحدث منه فتنة أو يؤدى إلى فوات ما يجب عليها نحو اسرتها دون أن تقيم مقامها من يقوم بالواجب عنها ودون رضاهم (فقه النوازل-3/359

যার সারমর্ম হলো শরয়ী সীমারেখার থেকে প্রয়োজনে মহিলাদের জন্য শিক্ষাদান,ব্যবসা বানিজ্য,,,,ইত্যাদি করা জায়েজ আছে। 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে চাকরি করা আপনার জন্য জায়েজ হলেও আপনি চাকরি করতে বাধ্য নন।

টাকা কামাই করা শরীয়ত নারীদের উপর আবশ্যক করে দেয়নি।
বিবাহের আগ পর্যন্ত তার ভরনপোষণ এর দায়িত্ব তার বাবার উপর থাকবে,আর বিবাহের পর তার স্বামীর উপর এ দায়িত্ব বর্তাবে।

(০২)
না,তারা বাধ্য করতে পারেবেননা।

(৩.৪)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে মহিলা মাদ্রাসায় গিয়ে চাকরি করা আপনার জায়েজ হবে।
বেতনও হালাল হবে।

এক্ষেত্রে রাস্তায় চলতে ফিরতে চোখের গুনাহ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে আপনি গুনাহগার হবেন।
তবে এর দরুন চাকরি বা তার ইনকাম হারাম হয়ে যাবেনা।

(০৫)
চাকরিটা হারাম নয়।
তবে উক্ত আদেশ পালন না করলে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
এর দরুন আপনি আপনার বাবা মার অবাধ্য হয়ে যাবেননা।

(০৬)
তাদের গুনাহ হবেনা।
মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে জোরপূর্বক পাঠালে তাদের গুনাহ হবে।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
جزاك الله خيرا في الدنيا والأخرة৷ উত্তর গুলো দেওয়ার জন্য।  আল্লাহ তায়ালা সবার দ্বীন পালন সহজ করে দিক। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...