আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
১. গতোকাল রাতে স্বপ্ন দেখি আমি মা এবং আপু আমাদের বাড়িতে আছি। সেখানে দুজন মেয়ে আমাদের অনুসরণ করছে।একদিন আমার মায় টাকা গুনতেছিল তখন মেয়ে দুইজন আসে এবং টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে তখন আমি বাধা দেই তারা চলে যায়।পরেরদিনও আমার মা টাকা বা মুল্যবান কিছু হাতে নিয়ে জানালার পাশে দাড়িয়ে আছে এমন সময় ঐ মেয়ে দুজন আসে,দটজায় দাঁড়িয়ে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে।আমি বুঝতে পেরেছিলাম ওরা টাকা নিয়ে নিবে এজন্য এরকম করতেছে।আমি দ্রুত জানালা বন্ধ করে দিলাম এবং পিছুনের রুমের জানালাও বন্ধ করে দিলাম এবং আমার মাকে একটু বকা দিলাম যে টাকা নিয়ে দাড়িয়ে থাকার কী আছে,লোকদেট কেন দেখাতে হবে?দেখতে পাচ্ছেন না মানুষ কীভাবে লালসার দিকে তাকাচ্ছে! স্বপ্নে আমি ভয় পাচ্ছিলাম।ঘুম ভেঙে যায় তখন রাত ১২.৪৮ বাজে,,এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা আছে কী কোনো?এরপর আরও দেখেছি মনে নেই

২. আজকে স্বপ্ন দেখি কোনো একটা রুমে আমরা(আমি মা ভাইয়া আপু) কিছু একটা করতেছি,স্পষ্ট মনে নেই।এরপর সেখান থেকে আমি আমার বান্ধবীর বাসায় যাই।বান্ধবীর বাসা সুপ্রিম কোর্টেের নিচতলায় সেখানে ওরা ভাড়া থাকে এমন কিছু দেখেছি। এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট তখন সামনে ভাসছিল।

এরপর মনে হলো জায়গাটা পূরোনো নবী রসূল সঃ রা থাকতেন।আমি ওদের বাসায় যাই যেয়ে দেখি ওর ৩-৫ জন ছেলে মেয়ে,ওদের একাই একটা বাড়ি বাকি সব ফাকা,বিষয়টা এমন যে ওদেরকে থাকতে দিয়েছে তবে ওখানের কোনো কিছু ধরতে বা নষ্ট করতে পারবে না।এবং আমি ওদের বলি যে,এত্তো সুন্দর এরিয়া আমাকে জায়গাটা ঘুরে দেখা।এরপর ও আমাকে দেখানো শুরু করে,আর আমার মনে হতে থাকলো এটা এই নবীর বাসস্থান ছিল ঐটা অন্য নবীর..নবীদের নামগুলো এখন মনে পড়ছে না।আমরা একটা পুকুরের পাড় দিয়ে যাচ্ছিলাম,পাড়ে পুরোনো অনেক কিছু দেখে ভাবছিলাম নবীদের ব্যবহৃত বিষয়াদি এখানে সেখানে পড়ে আছে।এবং চারদিকে তাকাচ্ছিলাম কোনো কূল কিনারা খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না এতো বড়ো এড়িয়া!এবং দূরে আরও অনেক বিষয় দেখতে পাচ্ছিলাম দেখে কিউরিওসিটি তৈরি হয় সেসব সম্পর্কে জানতে এবং দেখতে।এরপর আমরা একটা গর্ত পার হতে যাচ্ছিলাম সেটা ইজিলি পার হয়েছি এরপরই আমার স্বপ্ন ভেঙে যায় তখন রাত ৪.৪০ সম্ভবত ।
স্বপ্নে খুব সুকুন পাচ্ছিলাম।আমার সে বান্ধবীর ১ জন মেয়ে।বর্তমানে সে সন্তান সম্ভবা।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

     

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/52645/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে,

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে 

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!

১. প্রথম স্বপ্নটির মধ্যে ভালো কোন আলামত পাওয়া যাচ্ছে না। উক্ত স্বপ্নের খারাপি থেকে আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করুন এবং আপনার আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে, পবিত্র হালতে থাকতে হবে, অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার, ফরজসহ নফল নামাজ পড়তে হবে। স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা। উল্লেখিত আমলগুলো করলে কোন সমস্যা থাকবে না কোন ক্ষতি হবে না ইনশাআল্লাহ।

 ২. ২য় স্বপ্নটির মধ্যে আপনি অচিরেই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ কল্যাণ ও বারাকাহ লাভ করবেন মর্মে আলামত পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে কোন নবীর বাসস্থান ও তার স্মৃতি বিজড়িত দৃশ্য দেখা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়।

বি.দ্র. স্বপ্নে কাউকে ভালো দেখার ব্যাখ্যা হলো যে, আল্লাহ তায়ালা তার সাথে উত্তম মুআমালা করেছেন এবং স্বপ্নে কাউকে মন্দ অবস্থায় দেখার অর্থ হলো যে, তিনি কষ্টে আছেন। এজন্য তার জন্য দান সদাকা করার পাশাপাশি ঈসালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে অন্যান্য আমলগুলো করার চেষ্টা করা। যিনি স্বপ্ন দেখেছেন তার আমল বাড়িয়ে দিতে হবে, দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে, পবিত্র হালতে থাকতে হবে, অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে। দান ছদকাহ করতে হবে। স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...