১. আমার বউ একটি কাজা রোজা রেখেছিলো, এতে সে কিছু ক্লান্ত ছিলো সন্ধ্যায় যখন সে শুয়ে ছিলো তখন আমি তার সাথে একটু ঘনিষ্ঠ হই, কিন্তু সে ক্লান্ত থাকায় আমার কাজে বিরক্ত হয়ে সরানোর জন্য বলে " আর রাখবোনা রোজা বাল"। তারপর বলি তারপর তাকে বলি এমনটি বলেছো কেনো বলে কষ্ট লাগায় বলেছে। তারপর বললাম তাই রোজা নিয়ে এসব বলবে? তখন আর কিছু বলে নাই।
কিচ্ছুক্ষন পর একজনের পরামর্শে কুফর হয়েছে এমন সন্দেহে তাকে এই সম্পর্কে আবার জিগ্যেস করলে বলে,""আমি তো শরিয়ত নিয়ে ঠাট্টা করে এমনটি বলি নাই"
মুলত, আমি টায়ার্ড ছিলাম আর তোমার উপর রাগ করে এমনটি বলেছি তোমাকে সরানোর জন্য। ( আসলে আমি তখন তার সাথে সহবাস ছাড়া কিছু টা ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলাম, এবং সে শুয়ে ছিলো)। এবং সে বলেছে "রোজাকে গালি দেওয়ার নিয়ত ছিলো না" মূলত, বাল শব্দি রোজাকে উদ্দেশ্য করে বলে নি।। আসলে রাগ উঠলে এই শব্দ টি সে প্রায়ই বাক্যে ব্যবহার করে।
তাই হঠাৎ রাগ দেখানোর জন্য "আর রাখবোনা রোজা বাল" এভাবে বলে ফেলে।
বিস্তারিত বর্ননা কি বলে, তাকে ইমান ও বিবাহ নবায়ন করতে হবে? তার আমল সব বাতিল? হজ করা থাকলে তা ও দোহরাতে হবে?
২. বিবাহ নবায়নের ক্ষেত্রে একজন আলেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন স্ত্রীকে নিয়ে এই ঠিকানায় আসেন, যাওয়ার পরে, বিবাহ নবায়নের কাজ শুরুর আগে তিনি স্ত্রীকে কলিমা শাহাদত পড়ান এবং বলান যে সে এই ধরনের কুফরি কথা বলবো না।পরে তিনি স্ত্রী কে বলেন "আপনি আমাকে উকিল বানান" স্ত্রী জবাব দিলো "আচ্ছা "। পরে তিনি স্বামীকে বললেন " অমুককে পুরাতন ৫ লাখ টাকা কাবিনে আপনার নিকট বিবাহ নবায়ন, আকদ দিলাম" তার পর স্বামী চুপ থাকয় উনি বললেন কবুল বলেন, স্বামী বললো "কবুল"
এই বিবাহ দুহরানো সঠিক হয়েছে?(২ সাক্ষী ছিলো)
পরে উনাকে বললাম মেয়েকে তো আমার বর্ননা দিয়ে বললেন না সে রাজি কি না, উকিল বানানোর সময় ও বিবাহের উকিল এমন কিছু বললেন না, উনি বললেন এখানো তো বিয়ের আলোচনাই ছিলো, (তাছাড়া বিয়ের জন্যই তাকে নিয়ে গেছি) আর এটাতো বিবাহ নবায়ন এইগুলো সমস্যা না, চিন্তা করবেন না।
৩. এভাবে সতকর্তা মূলক কুফরী হয়েগেছে ভেবে। ইমান এবং বিবাহ দোহরানোতে গুনাহ নেই তো??