আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (63 points)

১. আমার  বউ একটি কাজা রোজা রেখেছিলো, এতে সে কিছু ক্লান্ত ছিলো সন্ধ্যায় যখন সে শুয়ে ছিলো তখন আমি তার সাথে একটু ঘনিষ্ঠ হই, কিন্তু সে ক্লান্ত থাকায় আমার কাজে বিরক্ত হয়ে সরানোর জন্য বলে " আর রাখবোনা রোজা বাল"। তারপর বলি তারপর তাকে বলি এমনটি বলেছো কেনো বলে কষ্ট লাগায় বলেছে। তারপর বললাম তাই রোজা নিয়ে এসব বলবে? তখন আর কিছু বলে নাই।

কিচ্ছুক্ষন পর একজনের পরামর্শে কুফর হয়েছে এমন সন্দেহে তাকে এই সম্পর্কে আবার জিগ্যেস করলে বলে,""আমি তো শরিয়ত নিয়ে ঠাট্টা করে এমনটি বলি নাই"  

মুলত, আমি টায়ার্ড ছিলাম আর তোমার উপর রাগ করে এমনটি বলেছি তোমাকে সরানোর জন্য। ( আসলে আমি তখন তার সাথে সহবাস ছাড়া কিছু টা ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিলাম, এবং সে শুয়ে ছিলো)। এবং সে বলেছে "রোজাকে গালি দেওয়ার নিয়ত ছিলো না"  মূলত, বাল শব্দি রোজাকে উদ্দেশ্য করে বলে নি।।  আসলে রাগ উঠলে এই শব্দ টি সে প্রায়ই বাক্যে ব্যবহার করে। 

তাই হঠাৎ  রাগ দেখানোর জন্য  "আর রাখবোনা রোজা বাল" এভাবে বলে ফেলে।

বিস্তারিত বর্ননা কি বলে, তাকে ইমান ও বিবাহ নবায়ন করতে হবে? তার আমল সব বাতিল? হজ করা থাকলে তা ও দোহরাতে হবে?

২.  বিবাহ নবায়নের ক্ষেত্রে একজন আলেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন স্ত্রীকে নিয়ে এই ঠিকানায় আসেন, যাওয়ার পরে, বিবাহ নবায়নের কাজ শুরুর আগে তিনি স্ত্রীকে কলিমা শাহাদত পড়ান এবং বলান যে সে এই ধরনের কুফরি কথা বলবো না।পরে তিনি স্ত্রী কে বলেন "আপনি আমাকে উকিল বানান" স্ত্রী জবাব দিলো "আচ্ছা "।  পরে তিনি স্বামীকে বললেন " অমুককে পুরাতন ৫ লাখ টাকা কাবিনে আপনার নিকট বিবাহ নবায়ন, আকদ দিলাম" তার পর স্বামী চুপ থাকয় উনি বললেন কবুল বলেন, স্বামী বললো "কবুল"

 এই বিবাহ দুহরানো সঠিক হয়েছে?(২ সাক্ষী ছিলো)

পরে উনাকে বললাম মেয়েকে তো আমার বর্ননা দিয়ে বললেন না সে রাজি কি না, উকিল বানানোর সময় ও বিবাহের উকিল এমন কিছু বললেন না, উনি বললেন এখানো তো বিয়ের আলোচনাই ছিলো, (তাছাড়া বিয়ের জন্যই তাকে নিয়ে গেছি) আর এটাতো বিবাহ নবায়ন এইগুলো সমস্যা না, চিন্তা করবেন না।

৩. এভাবে সতকর্তা মূলক কুফরী হয়েগেছে ভেবে। ইমান এবং বিবাহ দোহরানোতে গুনাহ নেই তো??

1 Answer

0 votes
by (592,110 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}(শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7200

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
" আর রাখবোনা রোজা বাল"
একথা দ্বারা কুফরি হবে না। এবং ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না। সুতরাং ঈমান দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

"الدر المختار " (4/ 224):
"(وشرائط صحتها العقل) والصحو (والطوع) فلا تصح ردة مجنون، ومعتوه وموسوس، وصبي لايعقل وسكران ومكره عليها، وأما البلوغ والذكورة فليسا بشرط بدائع".
قال ابن عابدین رحمه الله:
" قال في البحر والحاصل: أن من تكلم بكلمة للكفر هازلاً أو لاعبًا كفر عند الكل ولا اعتبار باعتقاده، كما صرح به في الخانية. ومن تكلم بها مخطئًا أو مكرهًا لايكفر عند الكل، ومن تكلم بها عامدًا عالمًا كفر عند الكل، ومن تكلم بها اختيارًا جاهلاً بأنها كفر ففيه اختلاف. اهـ".


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...