আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,

আমার বিয়ের কাবিন নামায় ১৮ নাম্বার কালামে হ্যাঁ লেখা থাকায়,আমি ভেবেছি আমাকে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে,আমি মনে করতাম, তালাকের অধিকার স্বামী চাইলে ফেরত নিতে পারে,তাই আমি আমার স্বামীকে বলেছি,আপনি আমার থেকে আপনার তালাকের ক্ষমতা ফেরত নিয়ে নিন।তখন আমার স্বামী বলেছে,"আমি কাবিনে তোমাকে যে তালাকের ক্ষমতা দিয়েছি,সেই তালাকের ক্ষমতা ফেরত নিলাম।" কিন্তু পরে জানতে পারি,কাবিনে সাইন করার সময় আমার স্বামী ১৮ নাম্বার কলাম সম্পর্কে কিছু না জেনে সাইন করেছে।অর্থাৎ ১৮ নাম্বার কলামে যে মহিলাদের তালাকের অধিকার দেওয়ার যায়,সেটা কিছুদিন আগে আমার থেকে জেনেছে।আগে এসব কিছুই তিনি জানতেননা এবং আমিও জানতামনা।তাই কাবিনে আমি তালাকের অধিকার পাইনি।

প্রশ্ন 1,আমাকে আমার স্বামী কাবিনে তালাকের ক্ষমতা যে দেয়নাই ,বিষয়টি না বুঝতে পারার কারনে,না জানার কারনে,কিছুদিন আগে তালাকের ক্ষমতা আমার থেকে ফেরত নেওয়ার সময় বলেছে,"কাবিনে তোমাকে যে তালাকের ক্ষমতা দিয়েছি,সেই ক্ষমতা ফেরত নিলাম।"এখন উনার আমার থেকে ক্ষমতা ফেরত নেওয়ার সময় এমন ভুল কথা বলার দ্বারা অর্থাৎ কাবিনে ক্ষমতা না দিয়েও এমন ভুল কথা বলে ফেলার দ্বারা যেমন-"কাবিনে তোমাকে যে তালাকের ক্ষমতা দিয়েছি," এমন ভুল কথা বলে ফেলার কারনে কি আমার কাছে নতুন করে তালাকের ক্ষমতা চলে আসবে?অথচ তিনি তো অধিকার দেওয়ার নিয়তে কথাটি বলেননি,বরং অধিকার ফেরত নেওয়ার নিয়তে কথাটি বলেছেন।

প্রশ্ন 2:তিন চারদিন এভাবে না জেনে তালাকের ক্ষমতা আমার  থেকে ফেরত নেওয়ার সময় এমন ভুল কথা বলে ফেলার দ্বারা, তিন চারবার কি আমার কাছে নতুন করে ক্ষমতা চলে আসবে?

দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)


উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু ঐ ভাইয়ের নতুনকরে তালাক প্রদানের কোনো নিয়ত ছিল না, তাই নতুনকরে তালাকের অধিকার দেওয়া বুঝাবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
উপরোক্ত হাদিস কি তালাক দেয়ার ব্যাপারে ও প্রযোজ্য? 
যেমন একজন তালাক এর লিখিত নোটিস পাঠিয়ে তালাক দিয়েছে। তিন বার তালাক নোটিস পাঠানোর পর যখন তালাক রেজিস্ট্রি করতে গেছে, তখন কাজী সাহেব বললেন আপনি বলেন ১ তালাক, ২ তালাক, ৩ তালাক এবং বায়েন তালাক। 
হাসবেন্ড জিজ্ঞেস করলো যে, তখন কাজি সাহেব বললেন যে এইটা বলা লাগবে। তখন হাসবেন্ড এভাবে বলে। কিন্তু হাসবেন্ড এর নিয়ত ছিল এক তালাক দিয়ে যেহেতু বাচ্চা আছে যদি ভবিষ্যতে শুধরে আসে তাহলে পুনরায় বিয়ে করবেন। 
পরে হাসবেন্ড জানতে পারে যে এখানে একসাথে তিন তালাক বায়েন হয়ে গেছে তাই আর ফেরানোর সুযোগ নাই।

এদিকে আবার মেয়ে পক্ষ খুব রিকোয়েস্ট করতেছে, যে এইগুলা ঠিক করা যায়, মেয়ে নিজেকে শুধরে নিয়েছে, তাই যদি আবার মেলানো যায়। তার এটা বুঝতেই চায় না যে আর সুযোগ নাই। 

কতটুকু শুধরেছে, সেটা তো পরের ব্যাপার কিন্তু ইসলামে তো সুযোগ নাই। 

দয়া করে ডিটেইলস বলবেন। 

জাজাকাল্লাহু খাইরান।


by (597,330 points)
প্রশ্নের বিবরণমতে তিন তালাক হয়ে গেছে। এখন আর সংসার করার কোনো সুযোগ নাই। হ্যা, অন্যত্র বিয়ে হওয়ার পর যদি সেখানে তালাক হয়ে যায়, তাহলে পূনরায় আবার বিয়ে করে সংসার করা যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...