১) মাস্তুরাতসহ-জামাত এর তরতীব কি মাওলানা ইলিয়াস সাহেব রহঃ এর জমানা থেকেই চালু হয়েছিল ? নাকি মাওলানা ইউসুফ সাহেব রহঃ এর সময়ে ?
কোনো এক বয়ানে শুনেছিলাম, ঐ সময়ে এই ধরণের জামাত এর ব্যাপারে প্রথমে মুফতী কিফায়াতুল্লাহ সাহেব রহঃ এর আপত্তি ছিল, কিন্তু যখন মাওলানা ইলিয়াস সাহেব রহঃ এর পক্ষ থেকে উনাকে পরিষ্কার করে বুঝানো হয়েছে যে, এই এই শর্ত-স্বাপেক্ষেই মহিলারা এমন জামাতে মাহরাম পুরুষের সাথে বের হবে, তারপরেই নাকি মুফতী কিফায়াতুল্লাহ রহঃ এই ধরণের জামাতের অনুমতি/সমর্থন দেন। এই কথাগুলো কি সত্য ?
২) আমাদের দেশের প্রখ্যাত আলেম/মুফতী, যেমন মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব দা:বা:, হাটহাজারীর মুফতী কিফায়াতুল্লাহ দা:বা:, যাত্রাবাড়ীর মাওলানা মাহমুদুল হাসান দা:বা:, মুফতী দেলোয়ার হোসেন দা:বা:, মুফতী মনসুরুল হক দা:বা: - ইনাদের মন্তব্য কি মাস্তুরাতসহ জামাত এর ব্যাপারে ? উনারা কি এই ধরণের জামাতের ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেন, নাকি শর্ত-স্বাপেক্ষে জায়েজ ও উপকারী বলেন নাকি কঠোরভাবে নিষেধ করেন ?
৩) মাস্তুরাতসহ জামাতের সংশ্লিষ্ট সাথী ভাইয়েরা এই বলে উৎসাহ প্রদান করেন, যে, যদি শারীরিক ও সাংসারিক প্রয়োজনে মহিলারা ঘরের বাহিরে যেতে পারেন, যেমন ডাক্তার এর চেম্বার, হাসপাতাল, বিভিন্ন আত্মীয়ের বাসায়, তাহলে দ্বীন শিক্ষার জন্য, দ্বীনি পরিবেশ থেকে ফায়দা হাসিল এর জন্য কোনো এক বাসায় নিরাপদ পরিবেশে কোনো পুরুষের অনুপস্থিতিতে শুধু মহিলাদের পরিবেশেই থেকে অবস্থান করাকে অনেকেই আপত্তির চোখে দেখেন, সেইটা কাম্য নয়। এইটা না বুঝার ও না জানার কারণেই হয়ে থাকে। অনেক মহিলা, যারা দ্বীন এর ব্যাপারে গাফেল, বেপর্দা চলাফেরা করেন, তাদের মধ্যে অনেকেই মাস্তুরাত এর জামাতের বাসায় তালীম শুনে, বয়ান (পুরুষের পক্ষ থেকে) শুনেই মুগ্ধ ও প্রভাবিত হয়ে দ্বীনের পথে চলে আসেন, এমন হাজারো উদাহরণ আছে।
সংক্ষেপে উনাদের কিছু কথা উল্লেখ করলাম। এইগুলোতে কোনো আপত্তি আছে ?