আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
প্রিয় মুহতারাম, আমাদের এলাকায় আমাদের একটি ফাউন্ডেশন আছে দ্বীনী প্রতিষ্ঠান। আমরা কয়েকজন মিলে এই প্রতিষ্ঠান চালাই। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের একজন সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে যেমন তিনি বাইরে দাওয়াতে কাজে সফরে থাকা অবস্থায় অন্যান্য সাথীরা তাকে এক সাথী ভাইয়ের সাথে একই চাদরের নিচে অবস্থান করতে দেখেছেন, তাদের কাছে তা আপত্তিকর বলে মনে হয়েছে। এরকম অভিযোগ আরো দুই একজনের পক্ষ থেকেও পাওয়া গেছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা অস্বীকার করেন।তবে একথা স্পষ্ট যে যেই ছেলেটার  সাথে এই অভিযোগ উঠে, তিনি এই ছেলের সাথে খুবই আন্তরিক এবং ঘনিষ্ঠ মেলামেশা করে অন্যান্য সাথীদের তুলনায়।
এমতা অবস্থায় অল্প কয়েকজনের মধ্যে মাশোয়ারা করে এই সিদ্ধান্ত হয় যে তারা আর একসাথে মিলেমিশে করে চলতে পারবে না। কিন্তু তারা ওই আদেশও এখনো মানতেছে না।

এমতাবস্থায় ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্য তাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতেছে তবে এ কথা অন্বেষীকার্য যে   অভিযুক্ত  ভাই দ্বীনের মেহনত করে, দ্বীনের ফিকির আছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের কোন নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই শুধুমাত্র কয়েকজনের সাক্ষী আছে তাও স্পষ্ট সমকামিতা নয় শুধুমাত্র এক কাঠার নিচে জড়াজড়ি অবস্থার বর্ণনা দেন। এখন আমরা কি করতে পারি?? আমরা কি তাদের আলাদা করে রাখবো না ওই ভাইকে ফাউন্ডেশন থেকে দূরে রাখবো না তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের জন্য প্রচেষ্টা চালাবো?? কেননা এটা আমাদের দ্বীনের  সাথে সংশ্লিষ্ট এটা বেশি জানাজানি হয়ে গেলে দ্বীনের  ক্ষতি হবে, ফাউন্ডেশন এর ক্ষতি হবে জামাতের ক্ষতি হবে।
তাই মহতারাম আপনার কাছে বিশেষ আবেদন আমাদের একটি সুন্দর পরামর্শ দান করবেন যাতে সবার কল্যাণ হয় ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (592,110 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কারো সম্পর্কে যে সব ধারণা করা হয়ে থাকে, এর মধ্যে কিছু ধারণা গোনাহ।এবং কিছু ধারণা গোনাহ নয়।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।(সূরা হুজুরাত-১২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে বর্ণিত বিষয়কে নেগেটিভ আকা়রে দেখা কখনো উচিৎ হবে না। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা  প্রচেষ্টা চালাবেন। তারপর যদি নেগেটিভ কিছু মনে হয়, তাহলে তাকে পরিত্যাগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...