আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
আমি শুনেছি ব্যবসায় করার সময় মিথ্যা কথা বললে নাকি সেটা হারাম।

এ সম্পর্কে দুইটা প্রশ্ন

প্রশ্ন১। কেও যদি বৈধ জিনিস(ফ্রিজ,রড সিমেন্ট ইত্যাদির) এর ব্যবসা করে এবং মাঝে মাঝে একটু মিথ্যা কথা বলে ফেলে যেমন- কেনা দামেই আপনাকে দিয়ে দিচ্ছি,এরকম মাল আর পাবেন না।মাত্র ৫ টাকা লাভ করতেছি, এটা সুন্দর বেশি ইত্যাদি । এরকম বললে কি ব্যবসায়ের পুরো টাকা হারাম হয়ে যায়?

নাকি ব্যবসা হালাল আর মিথ্যা বলার জন্য আলাদা গুনাহ হবে?
প্রশ্ন ২। এক জায়গায় শুনেছি উপরের ক্ষেত্রে হালাল হয়, শুধু মিথ্যা কথা বলার জন্য নাকি গুনাহ হয়।

ব্যবসা নাকি তখন হারাম যদি ব্যবসায়ের উৎস হারাম হয় যেমন চুরি, ডাকাতি বা অন্য অবৈধ জিনিস মিথ্যা বলে বিক্রি করলে।


একেক জায়গায় একেক রকম দেখতেছি। এখন কোনটা হারাম হবে আর কোনটা হালাল নাকি দুটোই হারাম একটু বুঝিয়ে বলুন প্লীজ
by
আসসালামু আলাইকুম 
একদিন পার হয়ে গেছে এখনো উত্তর পাচ্ছি না। দয়া করে দ্রুত উত্তর দিবেন প্লীজ 

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/38772/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ব্যবসার ক্ষেত্রে মৌলিকভাবে ইসলামের দু’টি মূলনীতি রয়েছে।

এক. ব্যবসায়িক পণ্য, উপাদান ও কায়কারবারগুলো বৈধ হতে হবে। অবৈধ পণ্যের ব্যবসা ও অবৈধ কায়কারবারকে ইসলাম বৈধতা দেয় না। যেমন, মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ ইত্যাদির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়া ইসলামে অনুমোদন নেই। কারণ, এসব বিষয়কে ইসলামে মৌলিকভাবেই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। সুতরাং আপনার ব্যবসার সাথে এসবের সংমিশ্রণ আপনার ব্যবসাকে কলুষিত করে।


দুই. ব্যবসা-বাণিজ্য সকল অবস্থায় বৈধ পন্থায় হতে হবে। অর্থাৎ সেখানে কোনো ধরনের ধোঁকাবাজি, ভেজাল ও ফাঁক-ফোকর থাকতে পারবে না। কোনো ধরনের মিথ্যার আশ্রয় থাকতে পারবে না।


কারো ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিদ্ধান্ত দেন যে,

«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَضَى أَنْ لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ».

নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং অন্যের ক্ষতি করা কোনোটিই উচিত নয়”। ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২৩৪১


ধোঁকা, প্রতারণা ও ফাঁকিবাজি করা যাবে না।

মন্দ জিনিস ভালো বলে চালিয়ে দেওয়া, ভালোর সঙ্গে মন্দের মিশ্রণ ঘটিয়ে ধোঁকা দেওয়া ইত্যাদি সম্পূর্ণ হারাম। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ عَلَى صُبْرَةِ طَعَامٍ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِيهَا، فَنَالَتْ أَصَابِعُهُ بَلَلًا فَقَالَ: «مَا هَذَا يَا صَاحِبَ الطَّعَامِ؟» قَالَ أَصَابَتْهُ السَّمَاءُ يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: «أَفَلَا جَعَلْتَهُ فَوْقَ الطَّعَامِ كَيْ يَرَاهُ النَّاسُ، مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي».

একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারে গিয়ে একজন খাদ্য বিক্রেতার পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তিনি খাদ্যের ভিতরে হাত প্রবেশ করে দেখলেন ভিতরের খাদ্যগুলো ভিজা বা নিম্নমান। এ অবস্থা দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে খাবারের পন্যের মালিক এটা কী? লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি সেটাকে খাবারের উপরে রাখলে না কেন; যাতে লোকেরা দেখতে পেত? “যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়”। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি কোনো পণ্য ধোঁকা, প্রতারণা মূলক বিক্রয় বা চুরিকৃত ও ডাকাতি করা পণ্য বিক্রয় করা না হয়ে থাকে বরং পণ্যটি হালাল হয়। তাহলে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তার ইনকাম হালাল হবে তবে মিথ্যা বলার কারণে তার গোনাহ হবে। এমন মিথ্যা বলা জায়েজ নয়।


২. জ্বী হ্যাঁ, চুরিকৃত ও ডাকাতি করা পণ্য বিক্রয় করা জায়েজ নয়। করলে গোনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
উস্তাদ তাহলে মিথ্যা বলে ব্যবসা করলে কি ইনকাম হালাল ধরে নিব?
by
কমেন্টের উত্তর দিন প্লীজ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...