ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/106347/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ
রয়েছে যে,
আলহামদুলিল্লাহ!
يشترط
بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره
ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية،
(الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব
থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।
যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে
না। কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না। বরং শিক্ষা বা
কাহিনী বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া
আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)
আরোও উল্লেখ রয়েছে-
لو
كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح
القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
যদি স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাস'আলা মাসাঈলকে
বারংবার বলা হয়, যেমন স্বামী বলল, তুমি তালাক,এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীকের তালাকের উদ্দেশ্য নেই, তাহলে
স্ত্রী তালাক হবে না। (ফাতহুল কাদির-৪/৪)
উদ্দেশ্যহীনভাবে তালাক শব্দ লিখলে, তালাক শব্দ
উচ্ছারণ করলে তালাক হবে না। এখানে যেহেতু স্ত্রীকে তালাক প্রদান উদ্দেশ্য নয়, তাই তালাক
হবে না।
الدر
المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 248)
“لا
يلزم كون الإضافة صريحة في كلامه؛ لما في البحر لو قال: طالق فقيل له من عنيت؟
فقال امرأتي طلقت امرأته… ويؤيده ما في البحر لو قال: امرأة طالق أو قال طلقت
امرأة ثلاثا وقال لم أعن امرأتي يصدق اهـ ويفهم منه أنه لو لم يقل ذلك تطلق
امرأته، لأن العادة أن من له امرأة إنما يحلف بطلاقها لا بطلاق غيرها”
الدر
المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 294)
“وفي
الخانية: قالت له طلقني ثلاثا فقال فعلت، أو قال طلقت وقعن…أن طلقني أمر بالتطليق،
وقوله طلقت تطليق فصح جوابا والجواب يتضمن إعادة ما في السؤال”
البقرۃ
آیۃ۲۲۹/۲۳۰
“الطَّلَاقُ
مَرَّتَانِ
(الی قوله) فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ بَعْدُ
حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ”
امداد
الفتاوی۲/۴۴۸
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. শুধু এতটুকু বলার দ্বারা
তালাক হবে না। তবে ভবিষ্যতে এমন এহেন কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এটা গোনাহের কথা।
এমন কথা বলা জায়েজ নয়।
উল্লেখ্য যে, প্রশ্নটি
আরো বিস্তারিত বললে আরোও ভালো হতো। স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলো কি না বা এই কথা বলার
পরে সে ঐ ব্যক্তির স্ত্রীকে উঠিয়ে ছিলো কি না।
২. না, এতে কোনো সমস্যা হবে না।
৩. না, এতে কোনো সমস্যা হবে না।