আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
“ আর যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা চুপ থাকো ও মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করো যেন তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।” (সূরা আ’রাফ: ২০৪)
কিন্তু এভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা হলে কি আল্লাহর এ নির্দেশ পালন করা হচ্ছে? অবশ্যই নয়। তাহলে এতে কি প্রকারান্তরে কুরআনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে না?
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ
উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।)
শরহুল মুনতাহা কিতাবে বলা হয়েছে:
لا يجوز رفع الصوت بالقرآن في الأسواق مع اشتغال أهلها بتجارتهم وعدم استماعهم له، لما فيه من الامتهان (شرح المنتهى)
“বাজারের মধ্যে মানুষ যখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকে এবং কুরআনে মনোযোগ সহকারে শুনতে পারে না তখন সেখানে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই। কেননা এতে কুরআনের প্রতি অবমানা হয়।”
ইমাম বাইহাকী এই মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন:
فصل في رفع الصوت بالقرآن إذا لم يتأذ به أصحابه، أو كان وحده، أو كانوا يستمعون له
البيهقي في الشعب)
“অনুচ্ছেদ: যখন সঙ্গী-সাথীদেরকে কষ্ট না দেওয়া হবে অথবা যখন একাকী থাকবে এবং অন্যান্য লোকজন মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করবে তখন কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে আওয়াজ উঁচু করা।” (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান)
এক্ষেত্রে যদি বিকট আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়,সেক্ষেত্রে আদবের খেলাফ হওয়ায় তাহা জায়েজ হবেনা।
অথবা যদি এমন স্থানে বা এমন পরিস্থিতিতে সেখানে জোড়ে আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়,যেখানে কেহই কুরআনে মনোযোগ সহকারে শুনবেনা তখন সেখানে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই।
হ্যাঁ যদি স্বাভাবিক আওয়াজে তিলাওয়াত করা হয়,বিকট আওয়াজে না হয়,এবং যারা শুনবে,তারা যদি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ হবে।