আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
রুকইয়া তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে রাকিরা অনেক সময় বেশ জোরে,অনেকটা চিৎকারের মতো আজাব হারক সংক্রান্ত আয়াত গুলো তিলাওয়াত করেন।   আমি জানি এই ব্যাপার টা বৈধ।  কিন্তু আমার বাবার প্রশ্ন আছে এভাবে তিলাওয়াত করা হাদিসে আছে কিনা?   এই ব্যাপার টার উত্তর কিভাবে দেব?

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

“ আর যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা চুপ থাকো ও মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করো যেন তোমরা রহমত প্রাপ্ত হও।” (সূরা আ’রাফ: ২০৪)

কিন্তু এভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা হলে কি আল্লাহর এ নির্দেশ পালন করা হচ্ছে? অবশ্যই নয়। তাহলে এতে কি প্রকারান্তরে কুরআনের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে না?

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।

(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।)


শরহুল মুনতাহা কিতাবে বলা হয়েছে:

لا يجوز رفع الصوت بالقرآن في الأسواق مع اشتغال أهلها بتجارتهم وعدم استماعهم له، لما فيه من الامتهان (شرح المنتهى)

“বাজারের মধ্যে মানুষ যখন ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকে এবং কুরআনে মনোযোগ সহকারে শুনতে পারে না তখন সেখানে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই। কেননা এতে কুরআনের প্রতি অবমানা হয়।”

ইমাম বাইহাকী এই মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন:

فصل في رفع الصوت بالقرآن إذا لم يتأذ به أصحابه، أو كان وحده، أو كانوا يستمعون له
البيهقي في الشعب)

“অনুচ্ছেদ: যখন সঙ্গী-সাথীদেরকে কষ্ট না দেওয়া হবে অথবা যখন একাকী থাকবে এবং অন্যান্য লোকজন মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করবে তখন কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে আওয়াজ উঁচু করা।” (বাইহাকী, শুআবুল ঈমান)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে যদি বিকট আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়,সেক্ষেত্রে আদবের খেলাফ হওয়ায় তাহা জায়েজ হবেনা।

অথবা যদি এমন স্থানে বা এমন পরিস্থিতিতে সেখানে জোড়ে আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়,যেখানে কেহই কুরআনে মনোযোগ সহকারে শুনবেনা তখন সেখানে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই।
কুরআনের অবমাননা হয়।

হ্যাঁ যদি স্বাভাবিক আওয়াজে তিলাওয়াত করা হয়,বিকট আওয়াজে না হয়,এবং যারা শুনবে,তারা যদি মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে,সেক্ষেত্রে এটি জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...