আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
প্লিজ একটু দ্রুত উত্তর দিয়েন। নামাজ গুলো যদি কাযা হয়ে যায়। আমার সব সময়ই অনিয়মিত হায়েজ।সন্তান হয় না প্রায় ৬ বছর চলের।এখন এই নভেম্বর মাসের ৪ তারিখ সন্ধ্যায় হালকা ব্লিডিং দেখা যায়। এরপর প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত হালকা হালকা করে থেমে থেমে ব্লিডিং হয়।একটা প্যাডও ইউজ করতে হয় নি এমন হালকা।আমি ১৪ তারিখ দুপুর থেকে নামাজ পড়া শুরু করেছিলাম।

এখন আজ মানে ২৩ নভেম্বর দুপুর থেকে হালকা আবারও রক্তস্রাব দেখি।হায়েজের মতোই। আমি কি এটাকে ইস্তেহাযা ধরবো? মানে দুই হায়েজের মধ্যবর্তী পবিত্রতার মধ্যে ১৫ দিন গ্যাপ থাকা লাগে জানি।কিন্তু এটা বুঝতে পারছি না যে,হায়েজ যেদিন শুরু হয়েছে সেই দিন থেকে ১৫ দিন নাকি যেসময় শেষ হয়েছ তখন থেকে?
এখন এটা কি আমার হায়েজ নাকি ইস্তেহাযা? ব্লিডিং নরমাল হায়েজের মতো হলেও সেটা ইস্তেহাযা হবে? আসলে প্রথমে যে হায়েজ হয়েছে সেটা ফ্লো নরমাল হায়েজের মতো হয় নি।খুবই কম কম করে হয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
,
★ উভয় হায়েজের মাঝে কমপক্ষে পনেরো দিন পবিত্রতা ধরতে হবে।
হায়েজ শেষ হওয়ার পরদিন থেকে পনেরো দিন গণনা করা হবে।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটাকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরতে হবে।
নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

পনেরো দিন থেকে বেশি পবিত্রতা হলে তো হায়েজের দিন গুলো চিনতে কোনো  সমস্যাই নেই।
,
আরো জানুনঃ   

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি ১৪ তারিখ দুপুর থেকে নামাজ পড়া শুরু করেছিলেন,তার মানে ১৪ তারিখে আপনার হায়েজ শেষ হয়েছে।

তাই আপনি ১৪ তারিখ হতে পবিত্রতার ১৫ দিন গণণা করবেন।
অর্থাৎ ২৮ শে নভেম্বর পর্যন্ত ব্লিডিং হলে সেটাকে হায়েজ ধরা যাবেনা।
সেটা ইস্তেহাজা। 

এমতাবস্থায় নামাজ চালিয়ে যেতে হবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  ২৩ নভেম্বর দুপুর থেকে যে হালকা রক্তস্রাব আসছে,এটি ইস্তেহাজা।
,
এটি হায়েজ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...