আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।  আমি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করি। সেখানে জাহাজে চাকুরি করলে প্রতিদিন এক প্যাকেট করে সিগারেট দেওয়া হয়৷ বলা হয় যে লোহার তৈরি জাহাজের ভিতরে থাকলে এবং সমুদ্রে অবস্থান করলে শরীরে নিকোটিন যতটুকু থাকা দরকার তার থেকে ও কমে যায়। এজন্য সিগারেট দেওয়া হয়।
১. আমি কি এই সিগারেট গ্রহণ করে তা বিক্রি করে সেই টাকা নিতে পারবো?

২. ভর্তুকি মুল্যে যেহেতু দেওয়া হয় শুধু এই প্রতিষ্ঠানে চাকুরির সুবিধায় সেক্ষেত্রে এই সুবিধা গ্রহণ করে তা নিয়ে বিক্রি করে দিতে পারবো কিনা?

৩. এখানে যদি বলা হয় যারা সিগারেট খায় তাদের লিস্ট এ নাম দিয়ে সিগারেট নিতে হবে। যেহেতু আমি সিগারেট খাই না আমি কি এই লিস্ট এ নাম দিয়ে তা গ্রহণ করতে পারবো কিনা?

1 Answer

0 votes
ago by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সিগারেট খাওয়া মাকরুহে তাহরিমি। 
তবে অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে হারাম।
হাদিসে নবীজী ﷺ বলেছেন,

مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ

যে ব্যক্তি পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজী খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে, কেননা; মানুষ যে খারাপ গন্ধ দ্বারা কষ্ট পায়, ফিরিস্তারাও তদ্রূপ কষ্ট পায়। (সহীহ মুসলিম ১/৩৯৫)

আর বলা বাহুল্য যে, সিগারেটের দুর্গন্ধ কাঁচা পেঁয়াজ ও রসুনের চেয়েও অধিক দুর্গন্ধ। 

قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم: من أکل من ھذہ الشجرة فلا یقربن مسجدنا، وفی روایة فإن الملائکة تتأذی مما یتأذی منہ الإنس (مسلم شریف: ج۱ ص۲۰۹) 

রাসুল সাঃ বলেছেন যে যারা এসব জিনিস খায়,তারা যেনো মসজিদের নিকটবর্তী না হয়,অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে যে ফেরেশতারা এতে কষ্ট পায়। 

আরো জানুনঃ 
,
★বিড়ি সিগারেট বিক্রয় করা জায়েজ আছে। 
তবে এটি অনুত্তম কাজ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَأَى حُلَّةً سِيَرَاءَ تُبَاعُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ ابْتَعْتَهَا تَلْبَسُهَا لِلْوَفْدِ إِذَا أَتَوْكَ وَالجُمُعَةِ؟ قَالَ: «إِنَّمَا يَلْبَسُ هَذِهِ مَنْ لاَ خَلاَقَ لَهُ» وَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ حُلَّةً سِيَرَاءَ حَرِيرٍ كَسَاهَا إِيَّاهُ، فَقَالَ عُمَرُ: كَسَوْتَنِيهَا، وَقَدْ سَمِعْتُكَ تَقُولُ فِيهَا مَا قُلْتَ؟ فَقَالَ: «إِنَّمَا بَعَثْتُ إِلَيْكَ لِتَبِيعَهَا، أَوْ تَكْسُوَهَا»

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে। (সহীহ বুখারী-২/৮৬৮, হাদীস নং-৫৮৪১, ইফাবা-৫৪২৩)

وصحہ بیع غیر الخمر ومفادہ صحۃ بیع الحشیشہ والا فیون الخ۔
(شامی ج ۲، ص ۴۵۴)"
সারমর্মঃ
মদ ব্যাতিত অন্যান্য জিনিস আফিমের বিক্রয় জায়েজ আছে।  

আরো জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি উক্ত সিগারেট গ্রহণ করে তা বিক্রি করে সেই টাকা নিতে পারবেন। এটি অনুত্তম কাজ হলেও নাজায়েজ বা হারাম নয়। 

(০২)
হ্যাঁ, পারবেনা।
তবে এটি অনুত্তম। 

(০৩)
এক্ষেত্রে সেই লিস্টে নাম দেয়া মানে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। আর মিথ্যা বলা যেহেতু জায়েজ নেই,তাই সেই লিস্টে নাম দেয়াও জায়েজ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...