ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فَإِنْ كَانَ الْأَكْثَرُ صَحِيحًا وَالْأَقَلُّ جَرِيحًا يُغْسَلُ الصَّحِيحُ وَيُمْسَحُ عَلَى الْجَرِيحِ إنْ أَمْكَنَهُ وَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ الْمَسْحُ يَمْسَحُ عَلَى الْجَبَائِرِ أَوْ فَوْقَ الْخِرْقَةِ وَلَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ.
যদি শরীরের বা অজুর অঙ্গ সমূহের অধিকাংশ অংশ সুস্থ থাকে,এবং সামান্য অংশ যখমি থাকে,তাহলে সুস্থ অঙ্গ সমূহকে পানি দ্বারা ধৌত করা হবে,এবং যখমি স্থানকে মাসেহ করা হবে।যদি মাসেহ করাও সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা হবে।তারপরও ধৌতকরণ এবং তায়াম্মুমকে একসাথে একই অজু বা গোসলে জমা করা যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতদিন চোখে পানি লাগানো নিষেধ থাকবে, ততদিন ফরয গোসলের জন্য গলা ও ঘাড়সহ নিচের দিকে পুরো শরীর ধৌত করা হবে। এবং চেহারা ও কানসহ পুরো মাথাকে ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করা হবে।
তাছাড়া অযুর সময় পুরো চেহারা ভেজা হাত দ্বারা মাসাহ করা হবে। এবং বাকি অযু যথানিয়মে করা হবে। তথা হাত, পা ধৌত করা হবে এবং মাথাকে মাসেহ করা হবে।
বিঃদ্রঃ
এ ধরনের রোগীর জন্য ভেজা হাত দ্বারা ব্যান্ডেজের উপর বা চোখের অংশে মাসাহ করাটাও যদি ক্ষতিকর হয় তবে সেক্ষেত্রে ঐ অংশ মাসাহ না করলেও চলবে।
(আলবাহরুর রায়েক ১/১১৬; মারাকিল ফালাহ প্র. ৬৮)