আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
السلام عليكم ورحمه الله وبركاته

সম্মানিত উস্তায, আমি UK প্রবাসী। আমার আম্মু আব্বুর ২য় স্ত্রী। আমি চাই আম্মুকে উমরাহ করাতে। কিন্তু আমি এবং আমার স্বামী প্রায় ৬১ লাখ টাকা ঋণ। আমি জানি, ঋণগ্রস্থ অবস্থায় আমি হজ্ব করতে পারব না। আমার প্রশ্ন–

১। ঋণগ্রস্থ অবস্থায় কি শুধু আম্মুকে উমরাহ করাতে পারব?
২। আম্মুকে উমরাহ করালে কি সাথে আব্বুকেও উমরাহ করাতে হবে?
৩। বর্তমান সময়ে একজন বাংলাদেশীর উমরাহ খরচ কতো হতে পারে?

.جزاكم الله خيرا بالدنيا والاخره

1 Answer

0 votes
ago by (59,040 points)
edited ago by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

হজ আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। এ ইবাদতকারীর জন্য আগে ঋণ পরিশোধ করা জরুরি। সামর্থ্য থাকলে ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা নিষেধ। এটিকে জুলুমের সঙ্গে তুলনা করেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিন্তু কেউ যদি ঋণ পরিশোধ করা ছাড়া হজ আদায় করে তবে তার হজ হবে কি?

হ্যাঁ, কেউ যদি ঋণ পরিশোধ না করে হজ আদায় করে তবে তার ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে। এই হজ দ্বিতীয়বার করার প্রয়োজন হবে না। তবে হজের জন্য শর্ত হলো-

وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا ؕ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ عَنِ الۡعٰلَمِیۡنَ

মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বাইতুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে, তাহলে জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন। (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৯৭)

ইসলামিক স্কলারদের মতে, ঋণের সঙ্গে হজ হওয়া-না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যে ব্যক্তি ঋণগ্রন্ত তার উচিত, হজ না করা। কারণ সে যে অর্থ দিয়ে হজ করবে সে অর্থ দিয়ে ঋণ আদায় করা উত্তম।

এরপরও যদি কেউ ঋণগ্রস্ত থেকে হজ আদায় করে তবে তার বিধান সম্পর্কেও ইসলামিক স্কলাররা বলেন, হজ আদায় হয়ে যাবে যদি হজের রোকন ও শর্তগুলো সে পরিপূর্ণভাবে আদায় করে। এই হজ দ্বিতীয়বার করার প্রয়োজন হবে না। তবে এভাবে হজ করাকে কোনো কোনো আলেম মাকরূহ বলেছেন। (ফাতাওয়া কাজিখান : ১/৩১৩)

যদি কোনো ব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয়, তাহলে ঋণ পরিশোধ করেই হজে যাওয়া উত্তম। কেননা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা নিষেধ। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) গড়িমসি করা জুলুম। (বুখারি, হাদিস : ২৪০০) তবে ঋণ পরিশোধ না করে হজ আদায় করলেও ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে। এই হজ দ্বিতীয়বার করার প্রয়োজন হবে না।

তবে এভাবে হজ করাকে কোনো কোনো ফকিহ মাকরুহ বলেছেন। (ফাতাওয়া কাজিখান : ১/৩১৩) আর আপনার ওপর হজ ফরজ না হলে ঋণ করে যাওয়া তো জরুরি নয়।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. জায়েয আছে। তবে উত্তম হলো আগে ঋণ পরিশোধ করা।

২. সাথে মাহরাম থাকা আবশ্যক। আপনার বাবা, ভাই, মামা, আপরিসহ যেকোন একজন মাহরাম সাথে যাওয়া আবশ্যক। আপনার বাবাকেই যেতে হবে বিষয়টি এমন নয়।

৩. এজেন্সির সাথে কথা বলে সঠিক পরিমাণ জানতে পারবেন। সাধারণত এটি নির্ভর করে দিন ও সুযোগ সবিধার উপর অর্থাৎ আপনি কেমন প্যাকেজে যাচ্ছেন। বর্তমানে মধ্যম মানের প্যাকেজ এক লক্ষ ৪০-৫০ হাজারের মধ্যে পাওয়া যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...