আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। প্রিয় শায়েখ আশা করি, আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। অনেক দিন পর একটি বিষয়ে লিখতে বসলাম। সম্প্রতি আমি একটা বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তা করেছি। তবে এই বিষয় আমাদের আরেক প্রিয় মানুষ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকি কুয়াকাটা আলোচনা করেছেন। যে মহিলাদের ওয়াজের সময় অবাধ চলাফেরা। তাদের জন্য মাহফিলে আলাদা জায়গা করা। ছেলেরা মাহফিলের প্যান্ডেলের ভিতর থাকার চেয়ে মেয়েদের দিকেই আকর্ষণ বেশি দেখা যায়। তাছাড়া মাহফিলগুলো কেন্দ্র করে অনেক মেলার মতো পুতুল, খেলনা , খাবারের দোকান বসে। সেই দোকানগুলোতে ছেলে মেয়ে অবাধে হাত ধরে ঘুরছে, যাদের বিয়েই হয় নাই। এক জায়গায় ওয়াজ হচ্ছে , সেখান থেকে দূরে ছেলে মেয়ে বসে গল্প করছে। মাহফিলেও বোরকা পরিধান করে ওনেকেই আসে না। কেউ আসলেও চেহারা খুলে আসে। যে মেয়ে গুলো বাসায় থাকতো , তারা  ওয়াজ শোনার নামে বাইরে বের হয়ে নস্টামী করছে। সাহাবায়ে কেরাম রাঃ গণ যেখানে মহিলাদের মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে নিশেধ করেছেন। নবীজি সাঃ মহিলাদের ঘরের কোনে ইবাদত করতে বলেছেন। যেখানে ফরজ নামাজ আদায় করতে মহিলাদের বাড়ির বাইরে আসার জন্য নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে রাতের বেলা এভাবে বাইরে আসা তো জরুরী না। মেয়েরা যেন বাড়িতে থেকে শুনতে পায়, সেই জন্যই দূরে দূরে মাইক ব্যবহার করা হয়। সেখানে তাদের এই জমানাই বাইরে আসা কি খুব জরুরী যেখানে নবীজি সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরাম রাঃ গণ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা আমাদের মেয়েদের বাড়ি থেকে বের করে কি এখানে নবীজি সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরাম রাঃ গণের বিরুদ্ধে কাজ করছি না ??? আপনার মতামত জানতে চাইছি। ভালো থাকবেন, দোয়া চাই। আচ্ছালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
ago by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা সারখাসী রাহ লিখেন,
وليس على النساء خروج في العيدين وقد كان يرخص لهن في ذلك فأما اليوم فإني أكره ذلك يعني للشواب منهن فقد أمرن بالقرار في البيوت ونهين عن الخروج لما فيه من الفتنة
ঈদের নামাযে মহিলারা ঈদগাহে যেতে পারবে না।পূর্বে তাদের অনুমতি ছিলো,কিন্তু বর্তমান ফিতনার জামানায় মহিলাদের জন্য ঈদগাহে যেয়ে ঈদের নামায অপছন্দনীয়।এখন তাদেরকে ঘরে অবস্থানের আদেশ দেয়া হবে।ঘরের বাহিরে যেতে নিষেধ করা হবে।কেননা ঘরের বাহিরে ফিতনা রয়েছে।(মাবসুত-সারখাসী-২/৪১)
শুধুমাত্র মহিলারা কি জুমুআহ এর নামায পড়তে পারবে?উত্তরে বলা যায় যে,পুরুষ ব্যতীত শুধুমাত্র মহিলাগণ জুমু'আহ এবং ঈদের নামায পড়তে পারবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া, ৪/১৫৩) (শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5331

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' বা পরবর্তী যুগে নারীরা কখনো দ্বীন প্রচারের জন্য এভাবে ঘর থেকে বের হতেন না। সুতরাং এরকম দ্বীন প্রচারে  নিমিত্বে ঘর থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ নারীদের জন্য নাই বললেও চলে। বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষ কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/59150

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হাফিজুর রহমান কুয়াকাটা হুজুর সঠিক জিনিষটাই উপস্থাপন করেছেন। পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...