আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার মা সোনালী ব্যাংকে ৫ বছরের জন্য ডি.পি.এস করেছিলো। ৫ বছর পুর্ন হইছে। প্রত্যেক মাসে ৩ হাজার করে টাকা জমা দিত।তাহলে ৫ বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা হওয়ার কথা।কিন্তু ব্যাংকে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা জমা হয়।কয়েক মাস পরে ব্যাংকে গিয়ে দেখে টাকা আছে ২ লক্ষ ১৩ হাজার।বাকি টাকা ব্যাংক থেকে কেটে নিছে।আমরা শুধু মাত্র আসল টাকাটা নিতে চাই।সুদ দান করে দিতে চাই।
১।যেই টাকা কেটে নিছে ওইটা কি সুদ ধরে মাইনাস করা যাবে?২।ব্যাংকে টোটাল ২লক্ষ ১৩ হাজার আছে।এই টাকা থেকে যাকাত দেয়া যাবে?কারন সুদের টাকা সুবিধামত সময়ে দান করে দিব,যাদের দিবো এখন দেয়া পসিবল না।

1 Answer

0 votes
ago by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

في الشامية:
والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদের টাকাকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।সার্ভিস চার্জ পৃথক জিনিষ এবং সুদও পৃথক একটা জিনিষ। সুদের টাকার একমাত্র রাস্তা হল সদকাহ করা। সার্ভিস চার্জ যেহেতু বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিপরীতে দেয়া হয়ে থাকে, তাই গ্রাহক সার্ভিস চার্জের টাকা নিজ পকেট থেকেই দিবে।সুদের টাকা দিয়ে দিলে হবে না। এবং সুদের টাকা দিয়ে যাকাতও আদায় হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...