আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। আমরা চাচাতো ভাইদের সাথে এক বাড়িতেই থাকি। চাচাতো ভাইদের ছেলেরাও বালেগ। আমি বাবাকে বলেছিলাম বাড়ির মধ্যে প্রাচীর নির্মাণ করে দিতে কিন্তু চাচাতো ভাইদের কথা চিন্তা করে প্রাচীর দেননি।

এভাবে এক বাড়িতে চলাফেরা করতে আমার খুব অসুবিধা হয়। প্রায় সব সময়ই আমি ঘরে মধ্যে থাকি। জরুরত ছাড়া আঙ্গিনায় বের হই না কিন্তু মা এটা সেটা কাজের জন্য বাড়ির বাহিরে যেতে বললে আমি যাই না গাইরে মাহরামের ভয়ে। এজন্য আম্মু যা ইচ্ছে তাই বলে গালিগালাজ করে। এখন আমি কি করবো?? কি ভাবে চলবো?? আমাকে পরামর্শ দিন।

এছাড়া আইওএমের পড়াশোনা নিয়েও আমার মা বকাবকি করে। এখানে মেইন ক্লাস থাকে, প্র্যাক্টিস গুলোতে সময় দেওয়া লাগে, নিজেকে পড়তে কিন্তু আমার মা এগুলো দেখতে পারে না। বকাবকি করে। বাড়িতে আমার ভাবী আছেন , উনি মোটামুটি সব কাজ করে। আমি টুক টাক একটু কাজ করি , তেমন সময় থাকে না হাতে।

আমাকে পরামর্শ দিন কি ভাবে চলবো আমি!!

1 Answer

0 votes
ago by (58,830 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম 

জবাব,

https://ifatwa.info/72576/?show=72576#q72576   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, 

মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।

(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।

(২) যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।

(৩) যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,

ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا 

গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার মা/বাবা যদি আপনাকে বেপর্দা চলাফেরা করতে বলেন , তবে আপনার জন্য সেই হুকুম পালন করা জায়েয হবে না। বরং  তাদেরকে হেকমতের সাথে পর্দা, হালাল হারামের বিষয়টা বুঝানোর জন্য চরো চেষ্টা করবেন।  প্রয়োজনে তাদেরকে বুঝাতে দ্বীনদার আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতা নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ। 


দ্বীন পালনের অর্থ শুধু ঘরে বসে থাকা নয়। বরং পর্দার সাথে বিভিন্ন কাজে মাকে সাহায্য করাও একটি ইবাদত। প্রয়োজনে আপনি ঢিলেঢালা হিজাব পরিধান করে বাড়ির কাজ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ। তারা বাধা দিলে আপনি দোয়া ও সবরের সাথে চেষ্টা করে যাবেন ইনশাআল্লাহ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...