আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,

স্ত্রী ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে ৩০-৬০ মিনিট একা হাঁটতে বের হতে চায়। স্বামী সহ যাওয়া সম্ভব নয়। দুই বাচ্চার এক জন অথবা উভয়জনকেই বাবার দেখে রাখতে হয়। স্ত্রী ছোট বাচ্চাকে নিয়ে অথবা ঘুম পাড়িয়ে রেখে হাঁটতে বের হতে চায়। এক্ষেত্রে জেলা শহরের রাস্তায় রাত ৯ টার মধ্যে একা হাঁটা জায়েজ হবে কি না। এমন অবস্থায় মুখে ঢেকে রাখার বিধান কি হবে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, স্ত্রী আমার বাবা মা এর সাথে থাকতে আগ্রহী না। বাবা মার বয়স ৬২ ও ৫২। মোটামুটি সক্ষম কাজে কর্মে। বাবা মা স্ত্রীকে দিয়েই ঘরের সব কাজ করাতে চায়। মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে নিজেদের কাজ উদ্ধারের স্বভাব। উনারা ছোট বাচ্চাদের রাখতে পারে যাদের বয়স ৮ মাস ও ৪ বছর। কিন্তু আমার মা সর্বদাই ৪ বছরের মেয়ের নামে নালিশ করতে থাকে। এমনভাবে নালিশ করবে প্রতিনিয়ত যে উনি চান দুষ্টামির জন্য তাকে শাস্তি দিই। স্ত্রীকে কাজে সাহায্য করতে আগ্রহী না।
এমন অবস্থায় আমি স্ত্রীকে আলাদা রেখেছি। তার কথা ছিল আমি নিজের ঘরে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সব কাজ করতে রাজি আছি। তিন কাজের জন্য কাজের লোক রাখার টাকা বরাদ্দ রেখেছি যা সে কাজের লোক না রেখে নিজে কাজ করে টাকা নিজের জন্য রেখে দিচ্ছে। বর্তমানে আমার সেই সামর্থ নেই যে সংসার চালানোর পর স্ত্রীকে মাসিক কিছু টাকা হাতে দিই, কিন্তু সংসারের প্রয়োজন গুলো যেভাবেই হোক ম্যানেজ করে রাখি।

আমি অফিস থেকে এসে ঘরের কাজে কোন সাহায্য করি না, যদি না আমাকে বলে এটা করে দাও। আমি ছোট বাচ্চাদের রাখি। বিশেষ করে ৮ মাসের বাচ্চা। আমি রাখলেই স্ত্রী কাজ কর্ম করে। আমি বাচ্চাকে রাখার সময় মোবাইল দেখি কেন, এতে বাচ্চাকে ১০০% দিয়ে আমি রাখি না এই বলে সে হঠাৎ করে চেচামেচি করা শুরু করে। আবার তার অন্য কাজ করে দিই না কেন যেমন কাথা গুছানো ইত্যাদি তা নিয়ে চেচামেচি করে। আমার বক্তব্য হল আমি ঘরের কাজ তোমার নিয়মে এতো ঝামেলা নিয়ে করতাম না। আমি একা থাকলে আমার একটা সিস্টেমে আমি শর্টকাটে আমার কাজ করে ফেলতাম। তোমার সংসারের এসব দায়িত্ব তুমি সামাল দিবে। তুমি যদি বলো আমার খাবার ব্যবস্থা করে দিবে না তাতেও আমি রাজি। আমি তোমার মতো ঝামেলা করে কাজ করব না। বাচ্চাকে রাখি এটাও আমি তোমাকে সাহায্য করতেছি। আমার বাবা মা খুশি মনেই তাদের রাখত। সে জায়গায় আমি একে তো রাখি তা নিয়ে কোন খোচাখুচি শুনতে পারব না। তার বক্তব্য হল বাচ্চা তোমারো। তুমি রাখবা। ঘরের সব দায়িত্বও তোমারও। আমার প্রশ্ন এখানে আমার কি ভুল? আমি ঘরের কাজ করতে পারি না করতে চাইও না। আমি ৫০ কেজি ভার বইতে পারব। একা থাকলে ভাত ডিম দিয়ে চালাইতে পারব। কিন্তু আরেকজন তার মতো করে আমাকে চাপায়ে দিবে তার সিস্টেমের কাজ এটা আমি চাই না। এতে আমার মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফিৎনার আশংকা না থাকলে সফরের দূরত্বের চেয়ে কম (অর্থাৎ তিনদিন তিনরাত দূরত্বের জায়গা অথবা ৭৭(এক বর্ণনায় ৮২.৫) কিলোমিটারের চেয়ে কম) দূরত্ব মহিলার জন্য মাহরাম ব্যতীত সফর করা বৈধ রয়েছে। শায়খাইন রাহ তথা ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ থেকে বর্ণিত রয়েছে,একদিন একরাত দূরত্বের জায়গা থেকে কম হলে তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ জায়গা হলে মহিলা মাহরাম ব্যতীত সফর করতে পারবে।অন্যথায় পারবে না। বর্তমান এই ফিতনার যুগে  নিম্নোক্ত মতামত-ই ফাতাওয়া তথা শরয়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য।তবে এখানেও ফিতনার আশঙ্কা না থাকা চাই।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(কিতাবুন-নাওয়াযিল;১৫/৪১৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/212 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্ত্রী ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে একাকি রাস্তায হাটতে পারবে যদি রাস্তা নিরাপদ হয়। রাতের চেয়ে দিনেই সে হাটবে। সন্তান ছোট, তাই এই মুহুর্তে ঘরে ব্যায়াম করাই মুনাসিব। আপনার বিবরণ থেকে বুঝতে পারলাম যে, আপনি স্ত্রীর পুঙ্খানুপুঙ্খ হক আদায়ের চেষ্টা করছেন।আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুক। আপনাকে দমকানো স্ত্রীর জন্য কখনো জাযেয হচ্ছে না। বরং এতেকরে স্ত্রীর ভবিষ্যত অকল্যাণ ধেয়ে আসতে পারে।আল্লাহ তাকে বুঝার তাওফিক দান করুক।মাতাপিতার হক পরিপূর্ণ ভাবে আদায় করারও চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...