আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in সালাত(Prayer) by (3 points)
ক.ফরজ সালাতের প্রথম দুই রাকাত এবং সুন্নত, বিতির সালাতের প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ ওয়াজিব।
খ.ফরজ সালাতের প্রথম দুই রাকাত,আর বিতির, সুন্নত ও নফলের প্রত্যেক রাকাতে শুধু মাত্র এক বড় আয়াত পাঠ ফরজ।( মারাক্কিউল ফালাহ:২২৬)
গ.১৪ টি ওয়াজিব এর একটি হচ্ছে আলহামদুর সাথে সুরা মিলানো
ঘ.সালাতের রাকাত সমূহ সম্পূর্ণ করার পর তাশাহুদ পড়তে  যত সময় লাগে ততক্ষণ পর্যন্ত বসা ফরজ।
আবার বলা হচ্ছে, ৪  বা ৩ রাকাত বিশিষ্ট সালাতে ২ রাকাত শেষ করে তাশাহুদ পড়তে যত সময় লাগে ততক্ষণ পর্যন্ত বসা ওয়াজিব
ঙ.৪ রাকায়াত বিশিষ্ট ফরজ সালাতে চতুর্থ রাকায়াতের পর কেউ ভুলে শেষ বৈঠক না করে,  পঞ্চম রাকায়াতের সিজদা করে ফেলে অথবা ফজরের সালাতে দ্বিতীয় রাকায়াতে না বসে; তৃতীয় রাকায়াতের সিজদা করে নিলো, কিংবা মাগরিবের তৃতীয় রাকায়াতে না বসে; চতুর্থ রাকায়াতের সিজদা করে নিলো, তবে এসব অবস্থায় ফরজ বাতিল হয়ে যাবে। মাগরিব ব্যতীত অন্যান্য সালাতে আরো এক রাকায়াত মিলিয়ে সালাত শেষ করতে হবে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে:
১.৪ বা ৩ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ সালাতের ৩ এবং ৪ রাকাতে কি সুরা ফাতিহা ছাড়া অন্য যেকোন একটি সুরা পড়লে হবে?
২.সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো কি তাহলে ফরজ নাকি ওয়াজিব হবে?
৩.তাশাহুদ পড়তে যতক্ষন সময় লাগে ততক্ষণ বসে থাকা ফরজ নাকি ওয়াজিব?
৪.৫ বা ৩ রাকাত ভুলে পড়লে সেক্ষেত্রে কি ৪ রাকাত কিংবা ২ রাকাত সালাতের জায়গায় ৫ বা ৩ রাকাত পড়া লাগবে?

1 Answer

0 votes
by (589,740 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা নামাযে কুরআনে কারিম তেলাওয়াতের কথা বলেছেন। উসূলে ফিকহের নীতি অনুযায়ী যে কোনো আদেশকে একবার বাস্তবায়ন করে নিলে সেই আদেশকে পালন করা হয়ে যায়।সে হিসেবে নামাযে প্রথম রা'কাতে কুরআন তেলাওয়াত করে নিলেই আল্লাহ তা'আলার আদেশ-
ﻓَﺎﻗْﺮَﺅُﻭﺍ ﻣَﺎ ﺗَﻴَﺴَّﺮَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥِ 
কাজেই কোরআনের যতটুকু তোমাদের জন্যে সহজ, ততটুকু(নামাযে) আবৃত্তি কর। (সূরা মুযযাম্মিল-২০) -কে মান্য করা হয়ে যাবে। 

কিন্তু যেহেতু প্রথম বৈঠকের পূর্বের রা'কাত গুলো সাদৃশ্যপূর্ণ,তাই ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতে মতলকে তেলাওয়াত তথা কুরআনের যে কোনো অংশ থেকে শুধুমাত্র কিছু তেলাওয়াত করে নেয়া ফরয।এক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই।
হ্যা এ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহা তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।এবং সাথে আরও একটি সূরা মিলানো ওয়াজিব।
(বিঃদ্রঃ  ফরয ছেড়ে দিলে নামায হয় না কিন্তু ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহুর সাথে নামায আদায় হয়ে যাবে)

শেষ দুই রা'কাতে তেলাওয়াত করা সুন্নাত।চায় সূরায়ে ফাতেহা হোক বা কুরআনের অন্য কোনো সূরা হোক।কেউ ইচ্ছা করলে শেষ দুই রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য যেকোনো সূরাকেও মিলাতে পারে।এমনকি সারা কুরআনও পড়তে পারে।এতে কোনো সমস্যা নাই।তবে শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতেহা পড়া মুস্তাহাব।সূরায়ে ফাতেহা ব্যতীত অন্য সূরা পড়ে নিলেও এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া;৪/৫০ ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ;৭/৪১২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/855


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)৪ বা ৩ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ সালাতের ৩ এবং ৪ রাকাতে সুরা ফাতিহা ছাড়া অন্য যেকোন একটি সুরা পড়লে হবে। কেননা ৪ বা ৩ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ সালাতের ৩ এবং ৪ রাকাতে সুরা ফাতিহা পাঠ করা সুন্নত। 
(২) ফরজ নামাযের প্রথম দুই রাকাত এবং সুন্নত নফল নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব। 
(৩)তাশাহুদ পড়তে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ বসে থাকা ওয়াজিব।
(৪) প্রশ্নটি অস্পষ্ট। কমেন্টে স্পষ্ট করে লিখে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
৪ রাকায়াত বিশিষ্ট ফরজ সালাতে চতুর্থ রাকায়াতের পর কেউ ভুলে শেষ বৈঠক না করে,  পঞ্চম রাকায়াতের সিজদা করে ফেলে অথবা ফজরের সালাতে দ্বিতীয় রাকায়াতে না বসে; তৃতীয় রাকায়াতের সিজদা করে নিলো, কিংবা মাগরিবের তৃতীয় রাকায়াতে না বসে; চতুর্থ রাকায়াতের সিজদা করে নিলো, তবে এসব অবস্থায় ফরজ বাতিল হয়ে যাবে। মাগরিব ব্যতীত অন্যান্য সালাতে আরো এক রাকায়াত মিলিয়ে সালাত শেষ করতে হবে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে:
এক রাকাত সালাত মিলানোর ক্ষেত্রে,  ৪ রাকাত কিংবা ২ রাকাত সালাতের জায়গায় ৫ বা ৩ রাকাত পড়া লাগবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,218 views
0 votes
1 answer 158 views
...