আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম

সম্মানিত হুজুর,

হোস্টিং ব্যবসার বিষয়ে আমার একটি প্রশ্ন ছিল।

আমি ওয়েবসাইটের ডোমেইন বিক্রির ব্যবসা করতে চাই।

ধরুন, আমি নেমচিপ কোম্পানি ১০০০ টাকায় ডোমেইন বিক্রি করে। আমি তাদের কাছ থেকে এই ১০০০ টাকা দিয়ে কিনে আমি আমার কাস্টমারের কাছে ১১০০ টাকায় বিক্রি করব। আমি শুনেছি মাল ক্রয় না করা পর্যন্ত তা বিক্রি করা জায়েজ নয়। কিন্তু ওয়েবসাইটের ডোমেইন তো আগে থেকেই ক্রয় করা যায় না। এটি কাস্টমারের উপর নির্ভর করে তারা কোন ডোমেইন কিনবে।

এখন এই ওয়েবসাইটের ডোমেইন বিক্রির ব্যবসা কি জায়েজ হবে?

ধন্যবাদ।

1 Answer

0 votes
by (59,730 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/17011/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

Web Hosting কি?

ইন্টারনেট এর সাহায্যে আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তা হলোঃ


ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট টি দিনে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন অন থাকবে । সেই সাথে ওয়েবসাইট টি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রদর্শন করতে পারবেন।


উদাহরণস্বরূপ, আপনার একটি ব্যবসায়িক দোকান আছে এবং সেই দোকানটির শুধু ট্রেড লাইছেন্স রেজিস্টার করিয়েছেন। তাহলে কি আপনার দোকানে কোন মানুষ-জন আসবে ? যখন না কিনা আপনি দোকানে নানান ধরনের জিনিসপত্র রাখবেন ঠিক তখনই ক্রেতারা আপনার দোকানে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য আসবে। সেই সাথে আপনার দোকান যত বড় হবে আপনি তত বেশি জিনিসপত্র রাখতে পারবেন এবুং ক্রেতা্দের কাছে সেগুলো জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন।

অনুরূপভাবে, আপনি যদি শুধুমাত্র ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে বা কিনে রেখে দেওয়ার পর, আপনার পছন্দ মতো ডিজাইন করে সেটা যদি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রদর্শন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপানার কম্পিউটার যতক্ষণ অন বা চালু থাকবে ঠিক ততক্ষনই এটি প্রদর্শন হবে। কারন আপনার ওয়েবসাইটটির জন্য সার্বক্ষণিক চালু রাখা কোন হোস্টিং প্যাকেজ কিনে রাখা হয়নি।

,

মূলত, আপনার ওয়েবসাইটের Content, Images, Videos, এবং বিভিন্ন File সার্বক্ষণিক তথা দিনে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন চালু রাখার জন্য একটি স্পেস বা জায়গা প্রয়োজন। আর সেই নির্ধারিত স্পেস বা জায়গা কেই বলা হয় ওয়েবসাইটের হোস্টিং বা ওয়েব হোস্টিং (Web Hosting) আবার হোস্টিং কে সাধারনত সার্ভার (Server) বলা হয় এবং কখনও এটিকে ওয়েব সার্ভার ( Web Server) ও বলা হয়ে থাকে।

এক কথায় বলতে ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে একটি জায়গা যেখানে ওয়েবসাইট টি রাখা হয়। আরেকটু যদি বলি ওয়েব হোস্টিং এর ধারণা আপনি জিনিষ ধাপে ধাপে নিতে হলে বুঝতে সহজ হয়. একটি ওয়েবসাইট একটি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়, যে প্রায় একই ভাবে আপনার ব্যক্তিগত ফাইল আপনার বাড়িতে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়; কেবল বড় বড় পার্থক্য হল, একটি “ওয়েবসাইট স্টোরেজ কম্পিউটার” এটি দ্রুত এবং সহজে দর্শকদের ওয়েবসাইট প্রদর্শন করতে পারেন, যাতে একটি অত্যন্ত দ্রুত নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করা হয়. ঘর ওয়েবসাইট “সার্ভার হিসাবে পরিচিত হয়, যা কম্পিউটার” (তারা দর্শকদের তথ্য পরিবেশন কারণ), এবং যারা বজায় রাখে সার্ভার, যা কোম্পানির একটি “হোস্ট বলা হয়”


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


শরীয়তের বিধান হলো অন্যায় কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই, কাহারো সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি জানেন যে সে কাস্টমার আপনার কাছ থেকে হোস্টিং ক্রয় করে খারাপ বা অশ্লীল হোস্ট করবে, বা অন্য কোনো নাজায়েজ কাজ করবে, সেক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকে তার এই বিষয় জানেন, তাহলে এক্ষেত্রে তার কাছে হোস্টিং বিক্রয় জায়েজ হবেনা। এথেকে উপার্জনও জায়েজ হবেনা।

,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


তবে আপনি যদি সেটি না জেনেই তার কাছে বিক্রয় করেন, তাহলে আপনি গুনাহগার হবেন না, কারন আপনি না জেনেই তার কাছে বিক্রয় করেছেন। এথেকে উপার্জন হালাল হবে।

তবে মুমিনদের জন্য সতর্কতামূলক এহেন কাজ না করে অন্য কোনো ভালো পন্থায় হালাল টাকা উপার্জন করা উচিত।

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/9053/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কারোর কাছ থেকে কম দামে কিনে অন্য কারোর কাছে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার কাস্টমারের কাছ থেকে প্রথমে অর্ডার নিবেন। তারপর কারোর কাছ থেকে কম দামে কিনে কাস্টমারের কাছে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...