ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/50998/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো সরকারী চাকুরী করা জায়েয। তবে কুরআন হাদীস
বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে, বা
এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না। তাহলে এমন
চাকুরী কখনো বৈধ হবে না। (কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪)
বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী, সেনা
বাহিনী, নৌ বাহিনী,
বিমান বাহিনীর অধিকাংশই যদি ইসলামপন্থি হয়ে যায়, তাহলে দেশের অবস্থায় আমূল পরিবর্তন চলে আসবে।
সুতরাং দ্বীনদ্বার ব্যক্তিবর্গর জন্য এসব বাহিনীতে যোগ দেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। বিশেষকরে যাদের ইসলাম
নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে। যারা ইসলামের স্বার্থকে সর্বদা মাথায় রাখেন, তাদের জন্য এসব বাহিনী তে যোগ দেওয়া সময়ের দাবী।
পূর্বের কিছু ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে সরকারী নিরাপত্তা
বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব এ চাকরি করা জায়েজ আছে। তবে
চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী
কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন
চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-
لا
طاعة لمخلوق في معصية الخالق
'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما
الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।'
(সহিহ বুখারী: ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম: ১৮৪০,
সুনানে তিরমিজি)
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/3623/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জ্বী হ্যাঁ, খেতে পারবেন।
২. না, মানুষের আকৃতির কার্টুন দেখা জায়েজ হবে না। আপনি অন্য
কোনো এ্যাপ ব্যবহার করবেন। যেখানে এ রকম নেই।
৩. পরিপূর্ণ পর্দার সাথে আপনার মাহরামের অনুমতি নিয়ে যেতে পারবেন।
৪. জ্বী হ্যাঁ, তাদের থেকে হাদিয়া নিয়ে নিজেদের কাজে ব্যয় করতে
পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।