ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নাবালকের সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হয় না।
ﻭﻣﻦ ﺟﻤﻠﺔ ﺍﻟﻤﻮﺍﻧﻊ ﺍﻟﺼﺒﻲ ﻭﺍﻟﺠﻨﻮﻥ، ﺣﺘﻰ ﻻ ﺗﺠﺐ ﺍﻟﺰﻛﺎﺓ ﻓﻲ ﻣﺎﻝ ﺍﻟﺼﺒﻲ ﻭﺍﻟﻤﺠﻨﻮﻥ ﻋﻨﺪﻧﺎ ( ﺍﻟﻤﺤﻴﻂ ﺍﻟﺒﺮﻫﺎﻧﻰ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺰﻛﺎﺓ،ﻟﻔﺼﻞ ﺍﻟﻌﺎﺷﺮ ﻓﻲ ﺑﻴﺎﻥ ﻣﺎ ﻳﻤﻨﻊ ﻭﺟﻮﺏ ﺍﻟﺰﻛﺎﺓ - 3/233 ، 2/297 ، ﻃﺤﻄﺎﻭﻯ ﻋﻠﻰ ﻣﺮﺍﻗﻰ ﺍﻟﻔﻼﺡ 587- ، ﺍﻟﻨﻬﺮ ﺍﻟﻔﺎﺋﻖ - 2/202
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার শুধুমাত্র গহেনা রয়েছে।আর্থিক অবস্থা তেমন উন্নত নয়।এবং আপনার স্বামীর অার্থিক অবস্থাও তেমন উন্নত নয়।তাই আপনার প্রতি পরামর্শ হচ্ছে যে,আপনি উক্ত গহেনা বিক্রি করে,এর মূল্য দ্বারা আপনি স্থাবর সম্পত্তি তথা জায়গা জমি ক্রয় করে নিবেন।জায়গা জমির উপর যাকাত আসে না।সুতরাং আপনার উপরও যাকাত আসবে না।হ্যা আপনি এই বিশ ভড়ি স্বর্ণ থেকে যদি এই পরিমাণ স্বর্ণ আপনার মেয়েকে দান করেন যে,আপনার নিকট আর নেসাব পরিমাণ স্বর্ণ বাকী থাকবে না,তাহলে আপনার উপরও যাকাত আসবে না।এবং আপনার মেয়ে সাবালক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মেয়ের উপরও যাকাত আসবে না।
তবে আপনি মেয়েকে চিরস্থায়ী মালিক বানিয়ে দিবেন।এমন করা যাবে না যে,বৎসরের প্রথমে দিবেন আবার মধ্যখানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন।মেয়েকে দান করার পর উক্ত স্বর্ণকে আর নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।
যাকাত শুধুমাত্র মালে নামী তথা ক্রমবর্ধমান মালের উপর ওয়াজিব হয়।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার নাবালক মেয়েকে মালিক বানিয়ে দিতে পারবেন।পরিস্থিতি অনুযায়ী এটাই আপনার জন্য উচিৎ ও কাম্য।