আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারামের কাছে অনুরোধ আমার নীচের লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। এবং ক্ষমা চাচ্ছি লেখাটা বেশি বড় হয়ে যাওয়ার জন্য। আমি দুইটি প্রশ্ন করেছি স্বপ্ন বিষয়ক এবং দুইটিই একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত। এবং স্বপ্নের পটভূমি বোঝাতে আমার বিস্তারিত কিছু বিষয় আলোচনা করতে হয়েছে যা প্রশ্ন বা স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে সহায়ক হবে।

১। আমার মা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি নিয়মিত উনাকে স্বপ্ন দেখছি।( উনার জন্য আমি বিশেষভাবে নিয়মিত কিছু আমল জারি রেখেছি।)
স্বপ্নে উনাকে আমি প্রায় প্রতিবার গাম্ভীর্যপুর্ণ, চিন্তাশীল, এবং দুনিয়াবিমুখ হিসেবে দেখতে পাই। উনাকে স্বপ্নে হাসতে দেখিনা। মনে হয়, উনি অনেক কিছু জানেন যা আমি জানিনা, তাই তাঁর এই গাম্ভীর্যপূর্ণ রুপ।
উনাকে নিয়ে দেখা প্রতিটা স্বপ্নই আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ এবং ব্যাখ্যাযোগ্য মনে হয়৷ কিন্তু আমি কারো কাছ থেকে ব্যাখ্যা জানতে চাইনি দেখে সঠিক ব্যাখ্যাও আমার কাছে অজানা।
উনাকে নিয়ে দেখা একটি স্বপ্নে আমি দেখি উনি গাম্ভীর্যরুপে আসন গ্রহণ করেছেন, এবং উনি চলে যাওয়ার পর পরিবারের কিছু মানুষের আচরণ আমাকে কষ্ট দিলে সেগুলো উনার কাছে ব্যাখ্যা করতে গেলে উনি আমাকে থামিয়ে দেন। স্পষ্ট মানা করেন, এসব বিষয়ে কথা না বলতে। অনেকটা গীবত করিসনা, বাদ দে এমন।
★আরেকবার একই ধরনের একটি স্বপ্ন যেখানে পরিবারের একজন মানুষ এমন কিছু করছেন উনার সামনে ( দুনিয়াবি কাজ) যা উনি বেঁচে থাকলে পছন্দ করতেন না, আমি খুব করে চাচ্ছিলাম উনি এটি দেখে সে ব্যক্তিকে কিছু বলুক৷ কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে উনি সেটি দেখলেন, কিন্তু কিছু বললেন না৷ এড়িয়ে গেলেন। এই স্বপ্ন দেখাকালীন সময়ে আমি একটা বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় ভুগছিলাম৷ অনেকটা দুনিয়া এবং আখিরাত বেছে নেয়ার মতো।  সিদ্ধান্ত এখনো নিইনি। এটা কি কোনো ইংগিত?

*আরো একবার দেখি আমার এক আত্মীয়া মারা যায় এবং উনি, আমি আরো কয়েকজন মিলে মৃতাকে দেখতে যাচ্ছি। বাস্তবে যে মারা যায় তাঁর রিয়েকশনে আম্মুর কান্নাকাটি করার কথা। অবাক করা বিষয় তিনি কাঁদলেননা, কোনো কিছু প্রকাশ করলেন না, যেনো আত্মীয়ার মারা যাওয়াই স্বাভাবিক। এবং দেখলাম সেখানেও একই রকম ভীষণ গম্ভীর রুপ।
এবং কদিন পর শুনি সে আত্মীয়া উমরাহতে যাচ্ছেন!
এর ব্যাখ্যা কি? মারা যাওয়ার সাথে উমরাহতে যাওয়ার সম্পর্ক আছে কি?
*আরো একবার দেখলাম আমি ভীষণ কাঁদছি৷ ভীষণ কষ্টের কান্না। সেখানে তিনি আছেন। তবে এবার তাঁকে সামান্য ব্যতিক্রম দেখতে পাই। গম্ভীরতা ধরে রেখেছেন, তবে স্নেহশীল আচরণ করছেন আমার প্রতি গম্ভীরতা ধরে রেখে৷ সেবার আমি জীবনে ভীষণ কষ্টের সময় পার করছিলাম। আমার কারো সাপোর্টের প্রয়োজন ছিল। যারা সাপোর্ট করছিলো তা যথেষ্ট ছিলো না, তাদের সাপোর্টের চেয়েও গভীর সাপোর্ট চাচ্ছিলাম। স্বপ্নে কিছুক্ষণের জন্য আম্মুর থেকে এই সাপোর্ট পেয়েছিলাম)

*আরেকবার দেখতে পাই একই গম্ভীরতা নিয়ে তিনি বসে আছেন। আমি পরিবারের একজনের দুর্ঘটনার সংবাদ পাই। এবং এবারো তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না৷ যেনো এই ই হওয়ার ছিলো। যেনো তিনি অনেক জ্ঞানের অধিকারী। সবকিছু আগে থেকে জানেন। আমি অবাক হই।

পরবর্তীতে যাদের স্বপ্নে দেখি তাদের কেন্দ্র করে আমার জীবনে এমন ঝড় বয়ে যায় যা ভাবলে আমি এখনো কেঁপে উঠি। আলহামদুলিল্লাহ, সামলে নিয়েছি।

এই স্বপ্ন গুলো আমি বিশেষভাবে তুলে ধরেছি৷ এছাড়াও প্রতিনিয়ত, মাঝামাঝে টানা প্রতিদিন আমি উনাকে নিয়ে এমন স্বপ্ন দেখতে থাকি।
প্রশ্নসমূহ-

১.উনাকে নিয়ে এত বেশি, প্রায় একই গম্ভীর রুপে এমন স্বপ্ন দেখার কারণ কি? এই স্বপ্নগুলোর ব্যাখ্যা কি?
২.প্রায়ই তিনি আমাকে হয় কিছু ইংগিত দিচ্ছেন, না হয় নিষেধ করছেন ইশারায়, না হয় কোনো দুর্ঘটনার পূর্বাভাস দিচ্ছেন অথবা আমাকে সাপোর্ট করছেন দুঃসময়ে৷
৩.আমি যেহেতু আলেমা নই,এবং কোনো আলেমের কাছে বারবার ব্যাখ্যা চাওয়া সম্ভব নয় তাহলে এই স্বপ্ন গুলোর ব্যাখ্যা বুঝবো কিভাবে এবং ব্যাখ্যা বুঝে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি কিনা।
৪.আম্মুকে গম্ভীর রুপে দেখার অর্থ কি?

২য় প্রশ্ন______

২. বিগত দুইবছর যাবত আমি কুরআনের দুয়া গুলো দিয়ে নেক সন্তানের জন্য দুয়া করে যাচ্ছি অনবরত। পাশাপাশি নতুন করে বিগত কিছুদিন যাবত যাদের সন্তান হচ্ছে, কন্সিভ করছে তাদের জন্য বরকতের দুয়া করে যাচ্ছি।
একইসাথে আমি ভীষণভাবে রিজিকের পেরেশানি, স্বামীর ইনকাম, নিজেদের ভবিষ্যতের পেরেশানি নিয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছি৷ এমনিতে আল্লাহ ভাল রাখলেও আমার অন্তর্জগত খুবই অস্থির।এবং আমি খুব করে চেষ্টা সাধনা চালিয়ে যাচ্ছি রিজিকের পেরেশানি দূর করার জন্য যতটুকু সম্ভব  কিছু করা যায় কিনা।

পাশাপাশি বগত এক বছর যাবত আমি রিজিকের প্রাচুর্য চেয়ে আল্লাহর কাছে দুয়া করে যাচ্ছি। বিশেষ করে সূরা মায়েদার ১১৪ নাম্বার আয়াত।
সন্তান এবং রিজিক নিয়ে আমি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল হারাইনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস বিগত দুই বছরে করা আমার এত এত দুয়া বিফলে যেতে পারেনা, কক্ষনোই না, কোনোদিন ও না। আল্লাহ আমাকে এই দুয়ার বিনিময় দেবেনই৷ তবে উনার সময়মত্। আমি সবর করে আল্লাহর সে সময়ের অপেক্ষা করে যাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস মিসক্যারিজের পরে আমি যেভাবে দাঁতে দাঁত চেপে সবর করেছি তার বিনিময়ে নেক সন্তান দিয়ে আল্লাহ আমার কোল ভরে দেবেন৷ তেমনিভাবে একসময় রিজিকের সমস্ত বন্ধ দরজা আল্লাহ দ্রুতই খুলে দেবেন আমার জন্য৷
উল্লেখ্য, সন্তানের জন্য দুয়া করার সময় আমি প্রায়ই জমজ সন্তান চেয়েও দুয়া করি।
এবার আসি স্বপ্নে। গতরাত স্বপ্নে দেখি আমার দুইটা জমজ বাচ্চা হয়েছে। এবারও আম্মু উপস্থিত৷ যথারীতি উনার ভাবগাম্ভীর্য ধরে রেখেছেন। তবে এবার উনাকে একটু খুশি, প্রাণবন্ত, আমার প্রতি কোমল, উষ্ণ মনোভাবের দেখি৷ বেঁচে থাকলে যেমন উচ্ছ্বাস দেখতাম তেমন নেই৷ যেনো  আগে থেকে সব জানেন ন ই সন্তান হবে!
আমার ডেলিভারি এত সহজ, এত সহজ, এত সহজ হয়েছে যে আমি কোনো ব্যাথাই অনুভব করিনি। আমার মানসিক অবস্থা এত ভালো ছিল যে আমি প্রফুল্ল হয়ে হাসছি। (আমার প্রথম ডেলিভারি অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং মানসিক অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। আমার খুব বাজেভাবে পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন হয় যার জন্য ভুগেছি ২ টা বছর)।

এবং প্রথম ডেলিভারির মত কষ্ট না পাওয়াতে দুইবার আলহামদুলিল্লাহ পড়ি৷ আমি ডেলিভারির পরপরই ঘরে এসে গোসল করে ফ্রেশ হতে যাই৷ একদম স্বাভাবিক, ব্যাথাহীন, মেয়েলি স্বাভাবিক কোনো প্রক্রিয়া (নিফাস) ছাড়াও৷ নিফাস দেখিনি।

এরপর যে গাড়িতে এসেছি তার ভাড়া আমি দিয়ে দিই৷ ভাড়া দেয়ার পরে আমার কাছে কেবল পাঁচশো টাকা ছিলো। এদিকে ড্রাইভার আরো ২৫০০ টাকা চাচ্ছিলো। আমি লজ্জায় পড়ে যাই৷ কিভাবে দিবো টাকা? মনে মনে চাচ্ছিলাম আম্মু যাতে দিয়ে দেয়৷ দেখি উনি উনার পার্স থেকে টাকা বের করে ভাইকে দেন।

এরপর বড় সন্তানকে বলি দেখো তোমার বোন "মারয়াম" এসেছে।
আম্মুকে বলি আমার এক ঘনিষ্ট মানুষকে ফোনে জানিয়েছেন কিনা।
আমার হাজবেন্ডকে দেখিনি। আমার পরিবারের নতুন আসা সদস্যদের দেখিনি। দেখেছি আমার বিয়ের আগে, ভাইদের বিয়ের আগের সে পরিবার৷ খালি ঘর। এক ভাইয়ের বউর এক ঝলক দেখেছি।
আম্মুর স্নেহের,যত্নের অনুভূতি পেয়েছিলাম। যদিও তাকে বস্তুগত কোনো স্নেহ বা যত্ন করতে দেখিনি, তবে অনুভূতি টা পেয়েছি। খুব ভালো লাগছিলো সপ্নে।
স্বপ্নে আম্মু মারা গিয়েছেন বা মৃত এটা জানি। তবে মারা যাওয়ার পরে এসেছেন এটাও বুঝছি। দুই সন্তান একজন ছোট, এখন বড় আকারে। বড় ছোটোর পার্থক্য টা চোখে পড়ছিলো।
বি:দ্র:
আমার স্বামী এখন দূরে আছেন। আগামী কয়েকমাস তার আসার সম্ভাবনা নেই৷
এরপর ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে ফজর পড়ি। ভাললাগার রেশ ছিলো অনেক্ষণ।
এই স্বপ্নের ব্যাখা কী? আমার বিশেষ কোনো আমলের দরকার আছে কিনা।

বিশেষভাবে মারয়াম নামটা সম্বোধনের কারণ কি? মারয়াম আ. প্রতি আমার অত্যন্ত দুর্বলতা আছে সেজন্যই কি নাকি অন্য কোনো ইংগিত?

1 Answer

0 votes
by (573,930 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَانُ لَمْ تَكَدْ رُؤْيَا الْمُسْلِمِ تَكْذِبُ وَأَصْدَقُكُمْ رُؤْيَا أَصْدَقُكُمْ حَدِيثًا وَرُؤْيَا الْمُسْلِمِ جُزْءٌ مِنْ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ وَالرُّؤْيَا ثَلاَثَةٌ فَرُؤْيَا الصَّالِحَةِ بُشْرَى مِنَ اللَّهِ وَرُؤْيَا تَحْزِينٌ مِنَ الشَّيْطَانِ وَرُؤْيَا مِمَّا يُحَدِّثُ الْمَرْءُ نَفْسَهُ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ مَا يَكْرَهُ فَلْيَقُمْ فَلْيُصَلِّ وَلاَ يُحَدِّثْ بِهَا النَّاسَ "
মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমার আল-মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন যুগ ও সময় (কিয়ামাতের) সন্নিকটে হয়ে আসবে তখন প্রায়শ (খাঁটি) মুসলিমের স্বপ্ন মিথ্যা ও ভ্রান্ত হবে না। তোমাদের (মাঝে) অধিক সত্যভাষী লোক সর্বাধিক সত্য (ও বাস্তব) স্বপ্নদ্রষ্টা হবে। আর মুসলিমের স্বপ্ন নুবুওয়াতের পয়তাল্লিশ ভাগের এক ভাগ। আর স্বপ্ন তিন (প্রকার)- ভাল স্বপ্ন আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ (বাহক)। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন শাইতানের পক্ষ হতে দুর্ভাবনা তৈরি করে। আর (এক ধরনের) স্বপ্ন যা মানুষ তার মনের সাথে কথা বলে (এবং ভাবনা-চিন্তা করে) তা থেকে (উদ্ভূত)।

অতএব তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু (স্বপ্ন) দর্শন করে- যা সে পছন্দ করে না, তাহলে সে যেন (ঘুম থেকে) উঠে দাঁড়ায় এবং সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে আর মানুষের নিকট সে (স্বপ্নের) কথা গোপন রাখে।
(মুসলিম ৫৭৯৮, (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৭০৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৭৪০)

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
ومن رای انہ مات…………ان رای شیئا من ہیئۃ الاموات کالغسل والکفن فذالک زیادۃ فی نقص دینہ (تعطیر الانام ۲۹۱؍ج۲؍باب المیم،موت،مطبوعہ مصر)

যার সারমর্ম হলো কেহ স্বপ্নে দেখে যে সে মারা গিয়েছে,,বা মৃতদের হালত,কাফন গোসল ইত্যাদি  দেখে,তাহলে সেটি নিজের দ্বীনের কমতি মনে করতে হবে।
,
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ তে এসেছে যে স্বপ্নে মৃত মানুষ দেখা এটি কবরের কথা স্বরন করে দেওয়ার জন্য।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ২৯/১৬০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,পবিত্র হালতে থাকতে হবে,অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 
বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে। 
স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা।
.
চাইলে কিছু টাকা দান ছদকাহ করতে পারেন।

★কোনো আলেমের কাছে বারবার ব্যাখ্যা চাওয়ার প্রয়োজন নেই।

আপনি স্বপ্ন দেখলে রাসুল সাঃ এর হাদীসের উপর আমল করবেন।

ভালো স্বপ্ন দেখলে তা শুধুমাত্র প্রিয়জনকেই বলবেন এবং খারাপ/ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে শয়তান ও তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আশ্রয় চাবেন এবং তিন বার থুতু ফেলবেন। উপরন্তু তা কাউকে বলবেন না।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
https://ifatwa.info/85842/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
স্বপ্নে মায়ের বাচ্চা হতে দেখার অনেক অর্থ হতে পারে। এই অর্থ সমূহের মধ্যে সর্বেত্তম অর্থ হল, ঐ ঘরে আল্লাহর রহমত ও বরকত নাযিল হবে।

★সুতরাং আপনার ঘরে আল্লাহর রহমত ও বরকত নাযিল হবে,এবং অচিরেই আপনার গর্ভে আল্লাহর রহমত স্বরুপ সন্তান আসতে পারে,ইনশাআল্লাহ। 

মারয়াম আ. প্রতি আমার অত্যন্ত দুর্বলতা আছে সেজন্যই স্বপ্নে মারয়াম নামটা সম্বোধন করেছেন। এতে বিশেষ কোনো ইঙ্গিত আছে বলে মনে হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...