আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (56 points)

১/ আসসালামু আলাইকুম। ওস্তাদ আমার জন্মের আগেই আমার বাবা-মায়ের তালাক হয়ে যায়।আমার বাবার বড় ভাইয়ের কোনো সন্তান ছিলোনা তাই তারা আমাকে নিজের সন্তানের পরচিয়ে লালন-পালন করেন। আমাকে কখনো তারা বলেও নি যে তারা আমার আপন বাবা-মা না।সব সময় তারা বলে এসেছে তারাই আমার আপন মা-বাবা।এবং আমার সার্টিফিকেট সহ সব কিছুতেই বাবা-মায়ের জায়গায় তাদের নাম দেয়া।আমি ছাড়া তাদের আর কোনো সন্তানও নেই।তারা যে আমার আপন বাবা-মা না সেটা আমি জানতে পারি অন্য একজনের মাধ্যমে।আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য সে আমাকে কথাটা বলে ফেলে এবং তারই একবছর পরে আমার নিজের জন্মদাতা বাবা যাকে চাচা হিসেবে জানতাম তিনি ওনার স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাকে বলে ফেলে আমি তার সন্তান তার ভাইকে দত্তক দিয়ে দিয়েছে।এবং এটাও আমাকে বলেছে যে উনি আমাকে কখনই নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিবেন না।দিতে চান ও না।আমার কোনো দায়িত্ব বা অধিকার ও তিনি রাখবেন না।জন্মের পর পরই তার আপন বড় ভাই-ভাবির হাতে আমাকে তুলে দিয়েছে।ছোট থেকে জানি তারা আমার বাবা-মা তার মানে তারাই আমার মা-বাবা।এটাই বলেছিলেন তিনি আমায়।আর আমার নিজের বাবাই আমাকে জাদু করেছে এটার প্রমাণ আমার সৎ মা-বোন।অনেক কথা ওস্তাদ।এক কথায় আমি মাজলুম।অনেক কষ্টে ধৈর্য ধরে আছি।দোয়া করবেন যাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চাচ্ছি আল্লাহ যেনো তা উত্তম এবং সহজ করেন।বিস্তারিত এখানে বলা সম্ভব হচ্ছেনা।আগে বলেছিলাম তাই আর বলছিনা।তবে,জানিয়ে রাখি আমি কোনো ধরনের হারাম রিলেশনে নেই আলহামদুলিল্লাহ!আমি খাস পর্রদা করি।এই বিয়েটা প্রস্তাবের মাধ্যমেই।তবে আমি চাচ্ছি যেনো এখানেই হয়।আল্লাহ যেনো সহজ করেন।তাই দোয়া চাই। এখানে দুইটা প্রশ্ন আছে আমার তাই এতকিছু বলা,,

(ক) আমার যখন বিয়ে হবে।বিয়েতে তো বলা হয় "ওমুকের মেয়ে ওমুককে এত টাকা দেনমোহরে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম"। এখন এখানে আমার সমস্যা হচ্ছে যে,, আমার বিয়ে পড়ানোর সময় আমার বাবার নাম যে হুজুর উল্লেখ করবেন তিনি তো আমার আসল পিতা নন।আমার জন্মদাতা পিতার নাম তো এখানে উল্লেখ করবেনা।আর আমি তাদেরকে এটা বলতেও পারবোনা।তাদেরকে যদি বলি আমি সত্যি টা জানি অনেক সমস্যা হবে।তবে ইচ্ছে আছে আমি আমার বিয়ের পরে সুয বুঝে তাদেরকে বলব যে আমি সত্যটা জানি। আমার সার্টিফিকেট ঠিক করে দেও।কিন্তু বিয়ের আগে বলতে পারবোনা।আমি তো মাজলুম আবার আমার বাবা আমার পরিচয় ই দিতে চায়না।কি করবো সেক্ষেত্রে? বিয়েতে আমার জন্মদাতা বাবার জায়গায় পিতার নাম হিসেবে অন্য কারো নাম উল্লেখ করলে কি আমার বিবাহ হবে? আর আমার বিবাহ যদি এতে না হয় তাহলে করনীয় কি হবে? অন্রক বড় একটা চিন্তায় পড়ে গেলাম! ওস্তাদ সমাধান টা বলে দেন। 

 

(খ) আমি এখন যাকে বাবা-মা বলে জানি উনি আমার নিজেরই বড় চাচা।আমার মাহরাম আলহামদুলিল্লাহ! উনি ব্যাংক এ জব করেন। এটা তো জায়েজ নেই। বুঝালেও বুঝে কিন্তু ছাড়েনা জব টা।অবশ্য ওনার ব্যবসা ও আছে কিন্তু বেশি বড় না। এখন, তিনি আমাকে তার সম্পত্তি যদি দেয় আমি নিতে পারবো? যেহেতু এনার ইনকাম হারাম।আর আমি তো তাদের যদি বলি ইনকাম হারাম তাই নিবোনা সেক্ষেত্রে অনেক কথা শুনাবে তারা।আমি নিজেও ইনকাম করি এবং নিজের টাকা দিয়ে টুকটাক চলার চেষ্টা করি।হারাম খাবার থেকে বেচে থাকতে।তাও ওনার ইনকামেই খেতে হয় উপায় নেই আমার ইনকাম ১৫০০/২০০০ বেশিনা।এক্ষেত্রে আমি কি করবো?

 

আর আমার নিজের বাবা ও তো আমাকে সম্পত্তি দিবেনা যেহেতু পরিচয় ই দেয়না সেক্ষেত্রে কি ওনার গুনাহ হবে? আমার কোনো দাবি নাই।আমার এত টাকার লোভ নেই।দুই বাবার এক বাবার সম্পত্তিও আমি চাইনা।

 

আমার এই বাবা-মায়ের কোনো সন্তান নেই।বিশেষ করে আমার এই চাচি মানে পালিত মায়ের কেউ নেই। আর ওনার হাসবেন্ড ওনাকে হাত খরচ ও দেয়না অনেক কষ্ট দেয়।আমি আমার টাকা ওনাকে দেই। দোয়া করবেন যেনো আমার ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে পারি এবং তাদের দেখতে পারি হালাল ইনকাম দিয়ে। আমার এই জায়গায় বিয়ে হলে ব্যবসাটা চালিয়ে যেতে পারবো নিজের হাসবেন্ডের সাথেই তাই আরও বেশি করে দোয়া করছি।এছাড়াও পাত্র দ্বিনদার।দোয়া করবেন ওস্তাদ। 

(গ) আমার যার সাথে বিয়ের কথা চলছে এবং দোয়া করছি ওনারা যখন প্রস্তাব দেন আমি ছেলেকে সবই বলেছি কারন বিয়ের পরে ঝামেলা হতে পারে। সে বলেছে যে আপনি মাজলুম আপনাকে আমি সাহায্য করতে চাই। এই কষ্টের জীবন থেকে মুক্তি দিতে চাই তাই বিয়ে করতে চাই।আর আমার একজন দ্বিনদার মেয়ে দরকার ।এবং বলেছিলো বিয়ের পরে আপনার আসল মায়ের খোঁজ আমরা বের করবো। এখন আমার জন্য আমার নিজের মা কে খুজে বের করা কি জরুরি? আর তাকে খুজে পেলে কি তার খরচ আমি বহন করবো? তার সাথে আমার সম্পর্ক কিরুপ হবে? এবং পালিত মা-বাবার সাথে সম্পর্ক কিরুপ হবে? আমার শ্বশুর বাড়ির লোক যদি জানে আমি তাদের পালিত মেয়ে হয়ত সমস্যা করতে পারে সেক্ষেত্রে করনীয় কি? 

 

২/ আরও কিছু প্রশ্ন

 

১/ হায়েজের রক্ত যদি একদম সামান্য পরিমানে দেখা দেয় এবং তার পর ৩/৪ দিন একেবারে রক্ত দেখা না দেয় তাহলে কী এই দিন গুলোতে নামাজ পড়তে হবে

Ayesha Nuzaifa

২/ আসসালামুয়ালাইকুম আপু। আমার স্বামীর সাথে আমার যখন মনমালিন্য হয় তখন আমার স্বামী আমার সাথে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। কথা বলা বা খোঁজ খবর নেয়া সবকিছু। আমার ঠিক তখনই খুব খারাপ লাগে।মনে হয় এই বুঝি সম্পর্ক ভেঙ্গে গেল। আমার স্বামী কে হারানোর ভয়ে থাকি। অনেক সময় দেখা গিয়েছে আমার মনে যা আসত তা সত্যি হয়েছে।তাই ভয়টা আরো বেশি বেড়ে যায়।এমন কোন আমল আছে কি যে যখন মনে কোন খারাপ চিন্তা ভাবনা আসবে তখন ঐ আমলটা করব এবং আল্লাহ বিপদ দুর করবেন।বা আল্লাহর কাছে কিভাবে চাইব যে আমার মন থেকে এসব চিন্তা ভাবনা দুর হোক বা ভয়টা কাটুকআরেকটা কথা আপু আমার মনে অটোমেটিক যা আসত তা কেন এবং কিভাবে সত্যি হয়েছে?
Rubina

৩/ Assalamu alaikum
Sami jodi nesha kore mane sigaret khai r sei nesa charanor jonno ami jodi take boli je sigaret na chra prjonto se amk touch korte parbe naa mne ami take touch krte debo naa tahole ki amr ete gunha hobe????
২ îtz

৪/ Assalamu alaikum
আমার একটা প্রশ্ন
আমার আম্মু ভাইয়ের সাথে রাগ করে বলছে  যে যদি সে ভাইয়াকে কারো কাছ থেকে টাকা ধার এনে দেয় তাহলে তাকে রাসুল শাফায়াত করবে না,

এখন রাগ ভাঙার পর সে আবার তাকে টাকা এনে দিছে,
এখন এতে কি মহান আল্লাহ মায়ের কসম কবুল করে ফেলেছেন??
আর করলে করনীয় কি?
কারন রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত ছাড়া তো জান্নাতে যাওয়া সম্ভব না
সৈয়দা তন্নী তামান্না ২

আপু আমার মেয়ে হওয়ার সময় আমার মা মসজিদে কিছু টাকা দান ও এতিমদের খাবারের নিয়ত করে।এখন আমার প্রশ্ন হলো এই টাকাটা যদি মসজিদে না দিয়ে মাদরাসার ওয়াজে দান করা হয় তাহলে কি আদায় হবে??
jannatul bakia 1<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_241117_080236_664.sdocx-->

 

৫/ এক নারী তার হাসবেন্ড কে তালাক দিয়েছে তার হাসবেন্ড নাকি তালাক পেপারে সাইন করার পরে অভিশাপ দিয়েছে তুই জান্নাত পাবিনা।মেয়েটার কি অভিশাপ লাগবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/68501/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

★শরীয়তের বিধান হলো,বিবাহের ইজাব কবুলের সময় কাজি সাহেব যদি ছেলে/মেয়ের বাবার নামের ক্ষেত্রে ভুল বলে অর্থাৎ ছেলে/মেয়ের বাবার নামের ক্ষেত্রে অন্য নাম বা সৎ বাবার নাম বলে,এবং তার দিকে ছেলে/মেয়েকে নিসবত করে,তাহলে সেই ছেলে/মেয়ের বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

অবশ্য যদি ছেলে/মেয়ে নিজেই সেই বিবাহের মজলিসে উপস্থিত থাকে,এবং উকিলের পরিবর্তে নিজেই ইজাব কবুল করে বা তার দিকে ইশারা করে ইজাব কবুল করা হয়,তাহলে ছেলে/মেয়ের বাবার নামে ভুল হওয়া সত্ত্বেও উক্ত বিবাহ হয়ে যাবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (3/ 26)
'' (غلط وكيلها بالنكاح في اسم أبيها بغير حضورها لم يصح)؛ للجهالة وكذا لو غلط في اسم بنته إلا إذا كانت حاضرةً وأشار إليها فيصح۔
(قوله: لم يصح)؛ لأن الغائبة يشترط ذكر اسمها واسم أبيها وجدها، وتقدم أنه إذا عرفها الشهود يكفي ذكر اسمها فقط خلافاً لابن الفضل، وعند الخصاف يكفي مطلقاً، والظاهر أنه في مسألتنا لا يصح عند الكل؛ لأن ذكر الاسم وحده لا يصرفها عن المراد إلى غيره، بخلاف ذكر الاسم منسوباً إلى أب آخر، فإن فاطمة بنت أحمد لا تصدق على فاطمة بنت محمد، تأمل، وكذا يقال فيما لو غلط في اسمها، (قوله: إلا إذا كانت حاضرةً إلخ) راجع إلى المسألتين: أي فإنها لو كانت مشاراً إليها وغلط في اسم أبيها أو اسمها لا يضر؛ لأن تعريف الإشارة الحسية أقوى من التسمية، لما في التسمية من الاشتراك لعارض فتلغو التسمية عندها، كما لو قال: اقتديت بزيد هذا، فإذا هو عمرو، فإنه يصح''
সারমর্মঃ-
যদি উকিল মেয়ের অনুপস্থিতিতে মেয়ের বাবার নামে ভুল করে,তাহলে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
হ্যাঁ যদি মেয়ে সেই মজলিসে উপস্থিত থাকে,এবং তার দিকে ইশারা করা হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত বিবাহ হয়ে যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ক,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহের ইজাব কবুলের বলার সময় আপনি নিজেই যদি সেখানে উপস্থিত থাকেন,ইজাব/কবুল করেন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। 

খ, 
আপনি তো নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সুতরাং শরীয়তের দৃষ্টিকোন হতে আপনি দরিদ্র।

সুতরাং আপনার চাচার দেয়া খাবার,তার দেয়া সম্পদ আপনার নেয়া জায়েজ হবে।

গ, 
এই মুহূর্তে আপনার জন্য আপনার নিজের মা কে খুজে বের করা জরুরি নয়।

আর তাকে খুজে পেলে তার খরচ আপনি বহন করবেননা। বরং আপনার মায়ের এই মুহূর্তের স্বামী তার খরচ বহন করবে।

তার সাথে আপনার সম্পর্ক নিজের মায়ের মতো হবে।

পালিত মা-বাবার সাথেও ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলবেন। তারাও যেনো কষ্ট না পায়,সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

আপনার শ্বশুর বাড়ির লোক যদি জানে আপনি তাদের পালিত মেয়ে হয়ত সমস্যা করতে পারে, সেক্ষেত্রে আগে থেকেই স্বামীকে জানিয়ে রাখলে স্বামীর মাধ্যমেই বিষয়টি ম্যানেজ করবেন।

(০২)

০১. 
দশ দিনের মধ্যে অল্প রক্ত আসলেও সেটাকে হায়েজ হিসেবেই ধরতে হবে।
তবে রক্ত আসা বন্ধ হলেই বা সারা স্রাব আসলেই ফরজ গোসল করে নামাজ শুরু করতে হবে।

০২, 
বিষয়টি আপনার স্বামীকে বুঝাতে হবে,যাতে মনমালিন্য হয়ে গেলেও কথা বলা,যোগাযোগ বন্ধ না রাখে।

প্রয়োজনে নিজের অভিভাবকদের মাধ্যমে বুঝাতে পারেন।
অতিরিক্ত চিন্তা না করার পরামর্শ থাকবে।

(০৩)
এটা আপনার কাছে অসহ্যকর হলে সেক্ষেত্রে 
আপনি এরকম বলতে পারেন।
,
তবে সহবাসের জন্য ডাকলে সেক্ষেত্রে তার ডাকে সাড়া না দিলে আপনার গুনাহ হবে।

এক্ষেত্রে আপনি তাকে মুখ পরিস্কার করে দুর্গন্ধ দূর করে আসতে বলতে পারবেন।

(০৪)
এতে কোনো কসম হয়নি।
কোনো সমস্যা নেই।

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত নসিব হবে,ইনশাআল্লাহ। 

★আপনার মা যদি শুধু মনে মনে নিয়ত করে থাকে,সেক্ষেত্রে সেই টাকা ওয়াজ মাহফিলেও দিতে পারবে,আবার কোথাও না দিলেও সমস্যা নেই।

কেননা সেটা মান্নতই হয়নি।

তবে যদি তিনি মুখে উচ্চারণ করে মান্নত করে থাকেন,সেক্ষেত্রে ওয়াজ মাহফিলে সেই টাকা দিলে মান্নত আদায় হবেনা।

সেই টাকা মসজিদ ও গরিবদেরকেই দিতে হবে।
এক্ষেত্রে তিনি চাইলে মসজিদে না দিয়ে সব টাকা গরিবদেরকেও দিতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।

(০৫)
মেয়েটি যদি সারাজীবন আল্লাহর বিধান অনুসারে চলে,শয়তানের পথ গ্রহণ না করে,ঈমানী হালতে যদি তার মৃত্যু হয়,তাহলে আল্লাহ তায়ালা চাইলে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।

এক্ষেত্রে স্বামীর অভিশাপ লাগবেনা,ইনশাআল্লাহ ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (56 points)
ওস্তাদ নিজেই উপস্থিত থাকার ব্যাপার টা একটু বুঝিয়ে বলবেন? কাজি আমার থেকে কবুল শুনবে এটা? ওস্তাদ আমাদের ফুপুদের বিয়ের ক্ষেত্রে দেখেছি আমার ফুপু এক রুমে থাকে আর আমার ফুপা, কাজি সহ সবাই অন্য রুমে ছিলো।আমার আব্বু ফুপুর থেকে অনুমতি নিছিল কিন্তু ফুপি শুনছিলো এভাবে যদি আমার হয় তাহলে কি হবে? ওস্তাদ আমরা তো পর্দা করি।এখন ইসলামের মোতাবেক বিয়ে বা যদি মসজিদে বিয়ে হয় তবে কিভাবে কি করবো? ওস্তাদ সমাধান দেন। বুঝতে পারছিনা কিছু মাথা ঘুরছে আমার।কিভাবে আমার বিয়ে শুদ্ধ হবে তাহলে।
by (574,260 points)
এখানে পাত্র ও পাত্রী একই মজলিসে উপস্থিত থাকবে।

এটাই বুঝানো হয়েছে।

আপনার ফুপির বিবাহের ন্যায় হলে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...