আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু ’আলাইকুম, উস্তাদ


কেউ যদি হারাম সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যায় নিজেদের ভূল বুঝতে পেরে ,তওবা করার মাধ্যমে কিন্তু হারাম সম্পর্কে  থাকাকালীন ক্ষণিকের তৃপ্তির জন্য নফসের প্ররোচনা/নিজ আকাঙ্খার দরুণ একাধিক বার যিনার অনেক নিকটবর্তী চলে যাওয়ার দরুণ উভয় পুরুষ ও মহিলার উপর গোসল ফরজ হওয়া বা বীর্যপাত/মযী নির্গত হওয়া,লজ্জাস্থান দেখে ফেলা (অর্থাৎ কিন্তু কোনোভাবেই শারীরিক মিলন হয়নি) , তাহলে সেটাও কি সম্পূর্ণরূপে যিনা বলে গণ্য হবে? আর যদি উভয়ের মধ্যে উক্ত সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর, উভয়ের মধ্যে পরবর্তীতে কোনো কারণে বিয়ে না হয় (যেমন- পারিবারিক বা নিজস্ব মন মানসিকতা পরিবর্তন) পরে উভয়ে যদি অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে, তাহলে উভয়ে তাদের জীবনসঙ্গী আর সন্তান-সন্ততির কাছে কি ঋণী বলে গণ্য হবে এবং হক্ব নষ্টকারী হবে?

যদি তাই হয়, তাহলে জীবনসঙ্গী এবং সন্তানদের কাছে অতীতের কথা বলা অসম্ভব !! এক্ষেত্রে কি করা উচিত হবে??


২. উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজন যদি অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে আরেকজনের মন ভেঙে, এখন যার মন ভেঙেছে সে যদি বলে তাকে কখনো ক্ষমা করবেনা/মাফ করবেনা তার চরিত্রে দাগ লাগানোর কারণে, এক্ষেত্রে কি করা উচিত হবে? (মাফ করতো যদি অন্যত্র বিয়ে না করে ঐ ব্যক্তিকে বিয়ে করতো, নতুবা কখনোই মাফ করবেনা)

1 Answer

0 votes
ago by (564,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,

إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.

...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে যেহেতু তাদের শারীরিক মিলন হয়নি ,সুতরাং সেটাও সম্পূর্ণরূপে যিনা বলে গণ্য হবেনা।

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র চোখের যেনা,হাতের যেনা,অন্তরের যেনার গুনাহ হবে। তাই খালেস দিলে তওবা আবশ্যক। 

এক্ষেত্রে খালেস দিলে তওবার পর পরবর্তীতে অন্যত্রে বিবাহ হলে পূর্বের সেই গুনাহ গোপন রাখা যাবে।
এক্ষেত্রে স্বামীর কাছে সন্তান-সন্ততির কাছে  ঋণী বলে গণ্য হবেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০২)
এক্ষেত্রে করনীয় হলো খালেস দিলে তওবা করে ফিরে আসা।

এক্ষেত্রে তারা পরস্পরে পূর্বে বিবাহের ওয়াদা করে থাকলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ওয়াদা ভঙ্গের গুনাহ হবেনা।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...