বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাব,
https://ifatwa.info/21564/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই।
হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই। (কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
ولا بأس لحائض وجنب بقراء ۃ أدعیۃ ومسہا وحملہا وذکر اللّٰہ عز وجل وتسبیح۔ (درمختار ۱؍۲۹۳ کراچی، ۱؍۴۸۸ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۱؍۴۸۱ زکریا)
হায়েজাহ মহিলার জন্য কুরআনের দোয়ার আয়াত তেলাওয়াত করা, সেটা স্পর্শ করা, উঠানো, আল্লাহর যিকির তাসবিহ জপা জায়েজ। এতে কোনো সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6062/
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দোয়ার নিয়তে বা শিফার উদ্দেশ্যে সূরা ফাতিহা বা সূরা নাস, ফালাক্ব ইত্যাদী পাঠ করা যাবে। তবে ছওয়াবের জন্য বা তেলাওয়াতের উদ্দেশ্যে কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করা হায়েজা মহিলার জন্য জায়েজ নেই। ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তে পারবে। এ সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/4435/
অনেক আলেমের মতে রুকইয়ার গোসলের জন্য যেহেতু বেশ ভালো পরিমাণেই তিলাওয়াত করতে হয়। তাই এসব সুরা নিজে না পড়ে, অন্য কারও সহায়তা নিতে হবে। অথবা শুধু দোয়াগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে গোসল করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, এতেই উপকার হবে।
আরো জানুন :-https://ifatwa.info/103577/?show=103577#q103577