আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাজ। এর আগে আমি আইফোতোয়াতেই কিছু ফতোয়া দেখেছিলাম, যেখানে আপনারা বলেছিলেন, "কোনো প্রসাধনী ব্যাবহার জায়েজ হওয়ার জন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের সার্টিফিকেট থাকা লাগবে যে, সেইটা স্কিনে ক্ষতিকর নয়"।

কিন্তু, বর্তমানে কিছু অনলাইনে পেইজে কেমিস্ট দিয়ে ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ইত্যাদি বানানো হয়। এমনই একটা পেইজে(পেইজ মালিককে সবাই দ্বীনি বোন হিসেবেই চেনে) যখন আমি অভিজ্ঞ ডাক্তারের বিষয়টা বললাম, তখন তারা আমাকে তাদের ইনগ্রেডিয়েন্ট লিস্ট দিল (স্যাফরন,গ্রেপসিড অয়েল, লিনসেড অয়েল, ডিসটিল ওয়াটার,জোজোবা অয়েল, টি ট্রি অয়েল, আমন্ড অয়েল)।
কিন্তু তারা কোনো অভিজ্ঞ ডক্টরের সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি। কেবল দাবি করেছে, দক্ষ কেমিস্ট(যারা ল্যাব টেস্ট করে) দিয়ে বানানো এবং উনি নিজে ব্যবহার করেছেন, তাই উনাকে যারা চেনেন তারা উনাকে বিশ্বাস করতে পারেন।

আবার, আমার দেওয়া আপনাদের পূর্ববর্তী ফতোয়ার বিষয়ে উনারা কোনো উত্তন দেননি। আমি উনাদের অনুরোধ করেছি যেন নিজের ভুল শুধরে ডক্টরের সার্টিফিকেট নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু এই কথাকেও উনারা আমলে নেননি। অন্য একজন ফলোয়ার আমাকে বলেছেন যে, ওই ফতোয়াটা অন্য ক্রিমের, এই ক্রিমের জন্য আলাদা করে যেন আমি আপনাদের প্রশ্ন করি।

এক্ষেত্রে, আমার দুইটা প্রশ্ন,

১. এরকম ক্রিম কেনা-বেচা/ ব্যবহার করা জায়েজ কিনা?

২. কেবল অনলাইনে চেনা মানুষকে বিশ্বাসের বশে, ডাক্তারের অথেনটিসিটি যাচাই না করেই কেনা-বেচা কি ঠিক হবে?

প্লিজ জানাবেন। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
by (1 point)
আপু কি রুমি আপুর পেজের কথা বলছেন?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামীর জন্য সাজগোছ জায়েয হলেও বিউটি পার্লারে সাজা কখনো কোনো মুসলমানের জন্য কাম্য হতে পারেনা।" তোহফায়ে খাওয়াতিন-৮৫৫;মুফতী আশেকে এলাহী বুলন্দশরী-মাকতাবু মা'রিফুল কোরআন করাচী কর্তৃক ১৪৩০মুতাবেক২০০৯সালে প্রকাশিত)
"ইনজেকশনের মাধ্যমে চুল কালো করাও হারাম।" লিভিস্টিক দেয়া স্বামীর জন্য জায়েয,অন্যথায় হারাম।তবে তা ফাসিকাহ মহিলাদের নিদর্শন। ক্রিম,লোশন,আতর,আরো অন্যান্য হালাল সামগ্রী মহিলাদের জন্য ব্যবহার জায়েয। (খাওয়াতিনকে যেব ও জিনত-৮৬-১০৬-১০৭- মুফতী জিয়াউর রহমান-মাকতাবাতুস সাঈদ, করাচী কর্তৃক ২০০৯সালে প্রকাশিত) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/466


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
لا ضرر ولا ضرار
ইসলামে নিজেকে ক্ষতি পৌছানো নেই এবং অন্যকেও ক্ষতি পৌছানো যাবে না।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৩৪০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) এরকম ক্রিম কেনা-বেচা/ ব্যবহার করা তখনই জায়েয হবে যখন নিশ্চিতরূপে জানা যাবে যে, এগুলো ক্ষতিকর হবে না। এটা তখনই জানা যাবে, যখন এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞগণ সার্টিফাইড করবে। চায় ডাক্তার হোক বা কেমিষ্টি পার্সন হোক।মোটকথা, বিশেষজ্ঞ হতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তারই বেশ গ্রহণযোগ্য হবে।

(২) কেবলমাত্র অনলাইনে চেনা মানুষকে বিশ্বাসের বশে, ডাক্তারের অথেনটিসিটি যাচাই না করেই কেনা-বেচা ঠিক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...