আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
edited by
اســـلــــــــم عــــــــليكم ورحمةلله وبركَاته

১. আমি স্বপ্ন দেখি আমাকে আমার পরিবার এক লোকের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে।তো বিয়ের পর আমি লজ্জায় কথাই বলতে পারছিলাম না। তো স্বপ্নেই মনে মনে ভাবছিলাম শেষ পর্যন্ত এই লোকের সাথে বিয়ে হলো!যাইহোক এখন আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে আমার তাকানো উচিত, সুন্দর করে কথা বলা উচিত এরপরই তাকাতে যাব লোকটার দিকে আর ঘুম ভেঙে যায়।তখন রাত ২.২০ বাজে।

বি.দ্র. : উক্ত লোকটি বিবাহিত।পূর্বে আমাকে বিয়ে করার জন্য খুব পাগলামো করেছিল ২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত(শুধুমাত্র বদমেজাজ এবং বয়স আমার ডাবল হওয়ায় রিজেক্ট করা হয়েছিল) ,তবে স্বপ্নে মনে হয়নি যে সে বিবাহিত। এ ধরনের আজে বাজে স্বপ্ন দেখার কারন কী?

২. এরপর স্বপ্ন দেখি আইওএম এর একজন বড়ো বোন(সবার পরিচিত নাম বললে চিনবেন,আইওএমএর দায়িত্বরত) আমাদের বাসায় আসছেন কিছুদিন থাকবেন।আমাদের বাসায় থেকে পরীক্ষা দিবেন এমন অবস্থা। তো আমরা তো ঢাকায় চলে আসব উনাকে গ্রামের বাড়ি রাখা সম্ভব নয়।তাই আমার কাকিদের কোন বাসাটা আপুর জন্য নিরাপর সেটা খুজতেছিলাম।
এরমধ্যেই মায়ের রান্না শেষ হলে আপু খুব তৃপ্তি করে রাতের খাবার খায়।আমি বাহিরে যাই কী যেন কাজে।এরমধ্যেই আমার মা আমাকে দেখায় যে ২ টা বড়ো তেলাপোকা সেখানে।আমি দেখেই চিল্লাপাল্লা শুরু করি সম্ভবত মাটিতেও লুটিয়ে পড়ছিলাম ভয়ে।তখন আমার মা আর আপু খুব মজা পাচ্ছিলেন আর হাসতে ছিলেন।
[বি.দ্র.: আপুর সাথে আমার অনেক বেশি সখ্যতা নেই তবে দ্বীনি বোন হিসেবে প্রয়োজনীয় কথা হয় মাঝে মধ্যে তবে খুব কম। এবং স্বপ্নে ভেবেছিলাম আপু আমাকে চিনেও না ভালো করে তবুও আমাকে কত্তো বিশ্বাস করে এতোদূর চলে এসেছে এটা ভেবে খুশি হয়েছিলাম।আবার এটাও ভাবছিলাম আপুর আব্বু আম্মু এতো দূর আসতে কীভাবে অনুমতি দিলেন আর আমার মা বাবা একা কাকির বাসায় দিতেও ভয় পান,বাস্তবেও আমি তেলাপোকা দেখলে অনেক বেশি ভয় পাই]
৩. স্বপ্ন দেখি আমাদের প্রোজেক্ট শোয়িং চলতেছে লাস্ট সেমিস্টারে। তো আমি ভাইয়া আর মা হেলিকপ্টারে করে ভার্সিটিতে গিয়েছি।

৪. ভার্সিটিতে গিয়ে লিফটে আমি উঠবো ৭/৮ ফ্লোরে বাট লিফট ডাইরেক্ট করে দেয় উঠি একদম ১০ ফ্লোরে।ওখানে উঠে নিচে নামতে যাব এরমধ্যে একজন আপু বলতেছে উনার পর্দার সমস্যা হচ্ছে উনি খাবার খাবে আমি যেন আপুর সামনে দাড়িয়ে পাহারা দেই।এইদিকে ক্লাস টাইম শুরু হয়ে গেছে।প্রেশানি নিয়েই আপুকে সময় দিচ্ছিলাম যেন সেইফলি খেতে পারে।এরপর দেখি ওখানেই আমি ২ টা শাড়ি এবং খাবার(বিশেষ করে দামি অচেনা কোনো ফলসহ আমার পছন্দের খেজুর) হাদিয়া পেয়েছি। এরপর দেখি সেখানেই সাজতেছি দুজনে,শাড়ি পড়তেছি এরকম দেখেছি........তখনও ক্লাসের টেনশন হচ্ছিল কিন্তু আমি আসতে পারছিলাম না সে আপুর থেকে
এসব স্বপ্নের কোনো ব্যাখ্যা হয়? নাকি কল্পনা প্রসূত?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي ) 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩)শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।( সহীহ বুখারী-৭০১৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন এটা।
(২) মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন এটা।
(৩) স্বপ্নটা কল্যাণকর।
(৪) এটাও কল্যাণকর। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...