ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীর ব্যাপকতা
" إن أحق ما أخذتم عليه أجراً كتاب الله ."
“তোমরা যেই যেই কাজের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহণ করে থাকো, এর মধ্যে আল্লাহর কিতাবই সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত”[সহিহ বুখারী-২২৭৬ ও সহিহ মুসলিম-]
এছাড়া যেহেতু এর প্রয়োজন রয়েছে।এবং এ শিক্ষা দিতে গিয়ে এক্ষেত্রে শিক্ষকের সময়ও আটকে যাচ্ছে, যে কারণে শিক্ষক নিজ ভরণপোষণের ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না।তাই বিনিময়ে কুরআন শিক্ষা প্রদান করা জায়েয হবে।
যেহেতু পূর্ববর্তী যুগে সকল আলেমদের জন্য সরকার কর্তৃক ভাতা নির্ধারিত ছিলো,তাই তখনকার যুগের উলামায়ে কেরাম শিক্ষার বিনিময় গ্রহণকে নাজায়েয বলেছেন।কেননা সরকারের পক্ষ্য থেকে যে পরিমাণ ভাতা আসত তা দ্বারা অনায়াসে তাদের জীবন চলে যেতো। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/993
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যেই ছাত্রীকে কুরআন পড়িয়েছেন, সেই ছাত্রীর মায়ের কাছ থেকে হাদিয়া নিতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।