ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।
বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ.
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(بِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
রেহেন (বন্ধক) এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা। পারিভাষায় রেহেন বলা হয়, কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা। যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
4958
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বন্ধক রাখা নাজায়েয বা হারাম নয়। তবে বন্ধকি জিনিষকে নিজের জন্য ব্যবহার করা নাজায়েয ও হারাম। পর্যায়ক্রমে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আপনার বাবা যদি বন্ধক রেখে নিজ প্রয়োজনে ঐ জিনিষ ব্যবহার না করেন, তাহলে আপনার জন্য হিসেব করা দেয়া নাজায়েয হয়নি। হ্যা, আপনার বাবা যদি ঐ জিনিষকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তখন হিসেব করে দেয়া জায়েয হয়নি। এজন্য আপনাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।