আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
আসসালামুআলাইকুম, আমাদের জুয়েলারী দোকানে বন্ধক রাখে। আমি দোকানে যাইনা। সেদিন আব্বা দোকানের অনেকগুলো বন্ধকি জিনিসের দুটো কাগজ বাড়িতে এনে বলছে, সবগুলোতে কোনটা কতদিন কতটাকা হয়ছে হিসেব করে দিতে। আগে অন্যজন হিসাব করেছে, এখন আমাকে করতে বলছে, ঠিক আছে কিনা।
আব্বার সাথে অন্য একটা বিষয়ে নিয়ে অনেকদিন মৌনমালিন্য। আমি তৎক্ষনাৎ কিছু বুঝে উঠতে পারিনি কি করবো, মানা না করে হিসাব করে দিছি। এখন মন অশান্ত হয়ে থাকে মনে উঠলে।

সুদের লেখক বা সাক্ষী হিসাবে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
ago by (586,710 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।

বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ. 
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(بِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
রেহেন (বন্ধক) এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা। পারিভাষায় রেহেন বলা হয়, কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা। যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-   4958

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বন্ধক রাখা নাজায়েয বা হারাম নয়। তবে বন্ধকি জিনিষকে নিজের জন্য ব্যবহার করা নাজায়েয ও হারাম। পর্যায়ক্রমে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আপনার বাবা যদি বন্ধক রেখে নিজ প্রয়োজনে ঐ জিনিষ ব্যবহার না করেন, তাহলে আপনার জন্য হিসেব করা দেয়া নাজায়েয হয়নি। হ্যা, আপনার বাবা যদি ঐ জিনিষকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তখন হিসেব করে দেয়া জায়েয হয়নি। এজন্য আপনাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...