আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ
আমি একটি ২৯ নং পারা মাশক্ব কোর্সে ভর্তি হয়েছি। আইওএমে পড়ছি এর পাশাপাশি সেটাতে ইনরোল করেছিলাম,এই আশায় যে দুই জায়গায় নাজেরা শুনালে আমার পড়াটা ফ্লুয়েন্ট হবে।সেই কোর্সে লিখা ছিল ধীরস্থির,তারতিল এবং তাজউঈদের সূক্ষ্ম বিষয়গুলো ধরে ধরে পড়ানো হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সেখানে সেভাবে পড়ানো হয় না। আসলে অনাদের পেইজের পোস্ট টা স্পন্সর্ড করা ছিল,অনেক রিয়েক্ট ছিল+ কমেন্ট ছিল।তাই সবার আগ্রহ দেখে আমি বিশ্বস্ত কারোর রিভিউ না শুনেই কোর্স টাতে ইনরোল করেছিলাম। সেখানে অনেক দ্রুত তিলাওয়াত করে পড়িয়ে দেয়া হয়,তিলাওয়াত এতই দ্রুত যে ত্বলিবাহরা কোথায় মাদ্দ হচ্ছে কোথায় হচ্ছে না তা ধরতে হিমশিম খাবে।আমি সেখানের একজন ত্বলিবাহ,আর যিনি পড়ান তিনি উস্তাযা। উনার থেকে আমি আল কুরআন শিখছি তাই অনার সাথে কোনো বেয়াদবি কাম্য নয়,এটা আদবের খেলাফ।আমি চাই না আমার দ্বারা কোনো বেয়াদবি হোক,উস্তাযাদের সাথে বেয়াদবি ইলম থেকে মাহরুম করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই আমি বুঝতেও পারছি না সেখানে কি আমার কিছু বলা উচিত কিনা,আর কিভাবে বলা উচিত?
আমি সেখানে পড়ার কোনো আশ্বাসও পাচ্ছি না।কোনো ফায়দা হচ্ছে না আমার।উলটো অধিক সুর যুক্ত তিলাওয়াত আমার ধীরস্থির তাজউঈদ সহকারে পড়াকে প্রভাবিত করছে। বিগেইনার যারা তাদের তো অধিক সুর যুক্ত তিলাওয়াত শুনতেও নিষেধ করা হয়। আমি কোর্সে ভর্তি হওয়ার সময় ৪মাসের টাকা একসাথে দিয়েছিলাম(কোর্স্টাও ৪মাসেরই), এই নিয়্যাতে যে আমি সেখানে মেহনত করব।যেন মাঝ পথে ছেড়ে না দেই পড়া, তাই আমার জমানো সব টাকা দিয়ে কোর্সটায় ইনরোল করেছিলাম।কিন্তু এখন আমি কোন দিকে যাব বুঝতেসি না।ভর্তির সময় ক্লাস মিস না দেয়া,আর মাঝ পথে ছেড়ে না দেয়ার বিষয়টির ওয়াদা নেয়া হয়েছিল।এখন আমি যদি কোর্সটা ছেড়ে দি আমার কি গুনাহ হবে? আমি কি করতে পারি, আমি টাকা দিয়ে দিয়েছি এতে আমার কষ্ট নেই কিন্তু এখন যে সময়টা আমি সেখানে দিব তাতে কোনো ফায়দা হচ্ছে না, উলটো আমার তিলাওয়াতে সমস্যা হচ্ছে।আমি এই সময়টা অন্য খাতে ব্যবহার করতে চাই।এখন আমি কোর্সটা ছেড়ে দিলে কি গুনাহ হবে?