শরীয়তের বিধান হলো মৃতের ছেলে না থাকলে এবং কন্যা একজন থাকলে পুরো সম্পত্তির অর্ধেক পাবে, আর একাধিক কন্যা থাকলে দুই-তৃতীয়াংশ সম্পত্তি পাবে।
মৃতের ছেলে না থাকলে তার ভাই আসাবা হবে।
এমতাবস্থায় যদি তার ভাই নেই,তবে ভাইয়ের ছেলে থাকে,তাহলে সেই আসাবা হবে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :
يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ
অর্থ : আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে আদেশ দিচ্ছেন যে, এক ছেলের অংশ দুই মেয়ের অংশের সমান। কিন্তু যদি কেবল (দুই) বা দুই-এর অধিক মেয়েই থাকে তবে মৃত ব্যক্তি যা কিছু রেখে গেছে, তারা এর দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। আর যদি শুধু একজন মেয়ে থাকে তবে সে অর্ধেক পাবে। (সূরা নিসা ৪ : ১১)
হাদীস শরীফে আছে
عن ابن عباس رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : الحقوا الفرائض بأهلها، فما بقي فهو لأولى رجل ذكر.
অর্থ : ‘‘আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কুরআনে কারীমের নির্ধারিত অংশ তার হকদারকে দিয়ে দাও। অতপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা অধিক নিকটবর্তী পুরুষকে দিবে।’’
সহীহ বুখারী হাদীস নং : ৬৭৩২
সহীহ মুসলিম- ১৬১৫
জামে তিরমিযী- ২০৮৯
সুনানে ইবনে মাজাহ- ২৭৪০
সুনানে কুবরা নাসায়ী- ৬৩৩১
মুসনাদে আহমদ- ২৬৫৭, ২৯৯৩
আল আওসাত- ৬৮৩৬
সুনানে দারকুতনী- ৪/৭১-৭২
মুসনাদে আবু ইয়ালা- ২৩৬৭
,
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার নিজের টাকায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি হোক,বা বাবার শরীকানা সম্পত্তি হোক,বন্টন পদ্ধতিঃ
মৃত ব্যাক্তির যদি শুধু দুই মেয়ে আর নিজ ভাইয়ের ছেলে জীবিত থাকে,(যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখিত রয়েছে) অন্য কেউ আর না থাকে,তাহলে তার পুরো সমত্তি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে এক ভাগ এক ভাগ করে দুই মেয়ে (আপনারা দুই বোন ১+১) পাবে,আর বাকি এক ভাগ মৃত ব্যাক্তির ভাইয়ের ছেলে (আপনার চাচাতো ভাই) পাবে।
★ব্যক্তি জীবিত এবং সুস্থ্য থাকা অবস্থায় তার মালিকানাধীন সম্পদ যাকে ইচ্ছে দান করতে পারে। যেখানে ইচ্ছে খরচ করতে পারে। এতে তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তার অর্জিত সম্পদের একক মালিকানা তার হাতেই থাকে। তাতে যাচ্ছেতাই হস্তক্ষেপের অধিকার তার রয়েছে। এতে কেউ হক দাবী করার অধিকার রাখে না। হ্যা, মৃত্যুর পরের কথা ভিন্ন। তখন শরয়ী নীতিমালা অনুপাতে সম্পদ বন্টন করতে হয়।
কোনো ওয়ারিশকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে এমনটি করে থাকলে গুনাহগার হবে।
,
আরো জানুনঃ