আসসালামু আলাইকুম উস্তয।
" নিজের ক্ষতি করে অন্যকে হেল্প করা যাবে না।" এরকম একটি হাদিস সম্পর্কে জেনেছি কিছুদিন পূর্বে।কিন্তু এর ব্যাখ্যা, প্রয়োগ সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনি। আমি জানতে চাচ্ছি এই হাদিস দ্বারা ঠিক কেন ক্ষেত্রেরর কথা বলা হয়েছে?
১. ধরুন আমার দুইটি নতুন জামা রয়েছে।এমতাবস্থায় আমি জানতে পারলাম না অনুভব করলাম আমার এক আত্নীয় দৈনিক জামা পড়তেই হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু আমার রেগুলার জামা তিনটা এবং নতুন দুইটি রয়েছে।আমি তাকে নতুন একটি থ্রিপিস এই বলে দিলাম যে, দেখো তো এটা একটু কমিয়ে পড়া যায় কী না!! আমার পরনে ফিট হচ্ছে না!উনাকে উক্ত জামাটি দেওয়ার কারনে পরবর্তীতে কিছুদিন পুরাতম জামা নষ্ট হওয়ায় আমার জামা পড়তে কষ্ট হয়েছে যদিও।
(A)এখন এক্ষেত্রে কী উক্ত হাদিসটি প্রজোয্য? যদি হ্যা হয়, তবে কেন? (বিবি ফাতিমা,মা আয়িশা রাঃ তো নিজের নতুন জামা দিয়ে দিয়েছেন,খেজুর না খেয়ে গরীবকে দিয়ে দিয়েছেন এরকম হাদিস আমরা পেয়েছি)
(B) [দেখো তো এটা একটু কমিয়ে পড়া যায় কী না!! আমার পরনে ফিট হচ্ছে না!] এই কথা বলতে হয় কারন, সে ব্যক্তি আত্মসম্মানী,না খেয়ে মরে যাবে তাও বলবে না।তাকে হাদিয়া দিলেও ইতস্ত বোধ করবে(কারন আমার জন্য বানানো জামা) আবার একদম ফ্রেশ কিনে দেওয়ার মতোও সামর্থ্য আমার নেই।উকৃত কথা বলে দেওয়ার কারনে কী সাদাকাহ সমপরিমান সওয়াব পাব না?যদিও উক্ত কথাটি মিথ্যে নয়
২. মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতিতে পরি যখন আমি সত্য বলে দিলে পাশের লোকজন অনেক বকা শুনবে,তাদের বৈবাহিক জীবন হয়ত কিছুটা সময় খারাপ যাবে।তাই আমি ভুল না করা স্বত্বেও মুখে বলি না যে এটা আমি করিনি 'ও' করেছে।আবার কেও ভালো (সুশীল)সাজার জন্য মিথ্যা বলে,যা অন্যরা করেনি,সেগুলো বলে দিলেও তার বৈবাহিক জীবন ভালো যাবে না।বলা হয় না এজন্য যে, তার বৈবাহিক জীবন ভালো কাটুক ।এক্ষেত্রে কী উক্ত হাদিস প্রজোয্য? এক্ষেত্রে আসলে কী করা উচিত, বলে দেওয়াই উচিত নাকি চুপ(সবর করাই) থাকাই উচিত?
বিস্তারিত জানতে চাই জাযাকুমুল্লহু খইরন।