আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম উস্তয।
" নিজের ক্ষতি করে অন্যকে হেল্প করা যাবে না।" এরকম একটি হাদিস সম্পর্কে জেনেছি কিছুদিন পূর্বে।কিন্তু এর ব্যাখ্যা, প্রয়োগ সম্পর্কে কিছুই জানতে পারিনি। আমি জানতে চাচ্ছি এই হাদিস দ্বারা ঠিক কেন ক্ষেত্রেরর কথা বলা হয়েছে?

১. ধরুন আমার দুইটি নতুন জামা রয়েছে।এমতাবস্থায় আমি জানতে পারলাম না অনুভব করলাম আমার এক আত্নীয় দৈনিক জামা পড়তেই হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু আমার রেগুলার জামা তিনটা এবং নতুন দুইটি রয়েছে।আমি তাকে নতুন একটি থ্রিপিস এই বলে দিলাম যে, দেখো তো এটা একটু কমিয়ে পড়া যায় কী না!! আমার পরনে ফিট হচ্ছে না!উনাকে উক্ত জামাটি দেওয়ার কারনে পরবর্তীতে কিছুদিন পুরাতম জামা নষ্ট হওয়ায় আমার জামা পড়তে কষ্ট হয়েছে যদিও।

(A)এখন এক্ষেত্রে কী উক্ত হাদিসটি প্রজোয্য? যদি হ্যা হয়, তবে কেন? (বিবি ফাতিমা,মা আয়িশা রাঃ তো নিজের নতুন জামা দিয়ে দিয়েছেন,খেজুর না খেয়ে গরীবকে দিয়ে দিয়েছেন এরকম হাদিস আমরা পেয়েছি)

(B) [দেখো তো এটা একটু কমিয়ে পড়া যায় কী না!! আমার পরনে ফিট হচ্ছে না!] এই কথা বলতে হয় কারন, সে ব্যক্তি আত্মসম্মানী,না খেয়ে মরে যাবে তাও বলবে না।তাকে হাদিয়া দিলেও ইতস্ত বোধ করবে(কারন আমার জন্য বানানো জামা) আবার একদম ফ্রেশ কিনে দেওয়ার মতোও সামর্থ্য আমার নেই।উকৃত কথা বলে দেওয়ার কারনে কী সাদাকাহ সমপরিমান সওয়াব পাব না?যদিও উক্ত কথাটি মিথ্যে নয়

২. মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতিতে পরি যখন আমি সত্য বলে দিলে পাশের লোকজন অনেক বকা শুনবে,তাদের বৈবাহিক জীবন হয়ত কিছুটা সময় খারাপ যাবে।তাই আমি ভুল না করা স্বত্বেও মুখে বলি না যে এটা আমি করিনি 'ও' করেছে।আবার কেও ভালো (সুশীল)সাজার জন্য মিথ্যা বলে,যা অন্যরা করেনি,সেগুলো বলে দিলেও তার বৈবাহিক জীবন ভালো যাবে না।বলা হয় না এজন্য যে, তার বৈবাহিক জীবন ভালো কাটুক  ।এক্ষেত্রে কী উক্ত হাদিস প্রজোয্য? এক্ষেত্রে আসলে কী করা উচিত, বলে দেওয়াই উচিত নাকি চুপ(সবর করাই) থাকাই উচিত?

বিস্তারিত জানতে চাই জাযাকুমুল্লহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (597,990 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/669


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে হাদীসের কথা বলেছেন? কমেন্টে এই হাদীসের রেফারেন্স দিবেন।তারপর আমরা যাচাই-বাছাই করে জবাব ইডিট করে দিবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
reshown by
এটা Abdullah al masud ebong Saifuddin Gazi এই দুইজনের পোস্টে দেখেছি উস্তায। হাদিস রেফারেন্স দেওয়া ছিল না।যতোটুকু মনে পড়ে 'উসুলূল হায়াত' লিখা ছিল।এটার মানেও বুঝিনি উসূসুল আয়াত কী!
প্রশ্নে উল্লেখিত কারনগুলোর সাথে কেও যদি এ কথাটির ' নিজের ক্ষতি করে অন্যের উপকার না করা' প্রযোজ্য বলে সেটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত বলে বিবেচিত হবে?
by (597,990 points)
আপনি লিংক দেন। জাযাকুমুল্লাহ। 
by (597,990 points)
আপনি যে রেফারেন্স দিলেন, তাতে তো হাদীসের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বরং বাণী চিরন্তন, বা উসূলুল হায়াত উল্লেখ করা হয়েছে। 
by (597,990 points)
উসূলুল হায়াত মানে জীবন পরিচালনার এমন কিছু মূলনীতি যা বিজ্ঞজন দ্বার নির্ধারণ করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...