বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
আল্লাহ পাক সৃষ্টিকাল থেকেই প্রত্যেক মানুষকে তার ব্যক্তিগত নিজস্ব কিছু অধিকার দান করেছেন।স্ত্রীর উপর স্বামীর কিছু অধিকারও হক্ব দান করেছেন যেমনঃ-চাহিবামাত্র স্বামীকে সঙ্গ দেয়া ও স্বামীর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা এবং লালন-পালন করা ইত্যদি স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার ও হক্ব। তদরূপ স্বামীর উপর স্ত্রীরও কিছু অধিকার ও হক্ব রয়েছে যেমন, বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার ওহক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে,স্ত্রীর চিকিৎসা করানো স্বামীর উপর ওয়াজিব নয় এবং ঘরের রান্নাবান্না স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়।তবে উভয়টা একটি ভালো ও উত্তম এবং প্রশংসনীয় কাজ ।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/430
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণপোষণ এবং বাসস্থান ওয়াজিব।চিকিৎসা খরচ ভরণপোষণ বা বাসস্থানের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বামীর নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেভাবে স্বামীর উপর স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ ওয়াজিব নয় ঠিক সেভাবে স্ত্রীর উপর স্বামীকে রান্নাবান্না করে খাওয়ানোরও দায়িত্ব নেই। অন্যদিকে স্ত্রীকে রান্না করা খাবার পাঠিয়ে দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সুতরাং যেহেতু আমাদের সমাজের স্ত্রীরা স্বামীকে বা স্বামীর বাড়ীর লোকজনকে রান্না করে খাওয়ান, তাই স্বামীরাও তাদের স্ত্রীদের চিকিৎসা খরচ বহন করবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্ত্রীদের উপর যদিও রান্না বান্না করার দায়িত্ব নেই, তথাপি তাদের উচিত স্বামীর কাজে সহযোগিতা মূলক রান্না বান্নার কাজ করা।
(২) সম্ভব হলে রান্না করা খাবার স্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করবেন। নতুবা স্ত্রীকে মানিয়ে নিবেন।
(৩)সন্তান হলে সন্তানের জন্য বাইরে থেকে বুকের দুধ নিয়ে আসতে হবে না। বরং স্ত্রীকে মানিয়ে নিতে হবে।
কোনো কারণ ছাড়া স্ত্রী অস্বীকার করতে পারবে না।