আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্ উস্তাদ ।আমি একটা বিষয় নিয়ে খুব দ্বিধাবোধ করছি।
আমি বাবার বাড়িতেই থাকি আমার মেয়ে সহ।আমি টিউশনি করে মাসে সামান্য কিছু উপার্জন করি আলহামদুলিল্লাহ।  যেহেতু মেয়ে নিয়ে থাকি তাই যা উপার্জন করি তার ৯০% আব্বুকে দিতে হয়।
আমার আব্বু ভিষণ রগচটা আর বদমেজাজি মানুষ। তিনি স্বাভাবিক ভরনপোষণ বলতে যতটুকু বোঝায় ততটুকুকেও বিলাসিতা মনে করেন।দেখা যায় আমার মায়ের পোশাক চিড়ে ত্যানাত্যানা হয়ে যাচ্ছে, সেলাই দিয়ে দিয়ে পরতেছে তবুও পোশাখ কিনতে বললেই ঝগড়া বাধিয়ে দেয় সংসার নাকি শেষ হয়ে যায়। আবার বাপে শীতের পোশাক পড়ে ২-৩ হাজার টাকা দামের আর আমার মাকে এনে দেয় ১০০-১৫০ টাকা দামের।
তো আমি তাকে না বলে তার পকেট থেকে ১-২ হাজার করে টাকা বের করে রেখে দি।এই টাকা আমি কয়েকটা কাজে লাগায়,আমার টাকা তাকে দি আর আমার প্রয়োজন ঐটাকা দিয়ে পুরন করি,মায়ের চাহিদা পুরন করি,নয়তো তিনি যখন পরে আমার কাছে টাকা চান ঐটাকা টায় ফেরত দি।এতে কোন ঝামেলা গন্ডগোল হয়না।
প্রশ্ন হচ্ছে এই কাজের জন্য আমার গুনাহ হচ্ছে কি?আমি শুধু ঝামেলা এড়িয়ে শান্তি বজায় রাখতেই এই কাজ করি।

1 Answer

0 votes
by (59,190 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

স্বামী যদি বিহিত কোনো কারণ ছাড়া স্ত্রী-সন্তানের তথা সাংসারিক জরুরি খরচ না দেয়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ছাড়াও স্বামীর সম্পদ থেকে প্রয়োজনমতো অপচয় না করে খরচ করতে পারবে।

হাদিস শরিফে এসেছে, ‘সাহাবিয়া হিন্দ বিনতে উতবা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (আমার স্বামী) আবু সুফিয়ান সংসারের খরচে সংকীর্ণতাকারী, সে আমার ও আমার সন্তানের প্রয়োজনীয় পরিমাণে খরচ দেয় না, তবে আমি তার অগোচরে তার থেকে কিছু নিয়ে থাকি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হ্যাঁ, তুমি তোমার ও তোমার সন্তানের প্রয়োজন পরিমাণ তার অগোচরে তার থেকে নিতে পারবে।’ (বুখারি : হাদিস ৫২৬৪, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৭)

তবে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মালিকানা ভিন্ন হওয়ায় অনুমতি ছাড়া একে অন্যের সম্পদ ব্যয় করা অবৈধ। স্বামী যদি নিয়মমাফিক ভরণপোষণ ও স্বাভাবিক হাতখরচের প্রয়োজন পূরণ করে থাকে, তাহলে তার কাছ থেকে তার অগোচরে টাকা-পয়সা নিয়ে নেওয়া এবং তাকে না জানিয়ে বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা বৈধ হবে না। (আল বাহরুর রায়েক : ৪/১৭৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার পিতা যদি স্বীয় স্ত্রী ও পরিবারের যাদের খরচ বহন করা তার উপর আবশ্যক তাদের ভরনপোষণ না দেয়, সেক্ষেত্রে তাদের যতটুকু ওয়াজিব হক, বাবার সম্পদ থেকে ততটুকু টাকা বাবাকে না বলে নিয়ে তাদের দেয়া যাবে বা তাদের জন্য খরচ করা যাবে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেওয়া কোন অবস্থাতেই জায়েয হবে না। এক্ষেত্রে পূর্বের কৃত কর্মের জন্য বাবার নিকটে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আরো জানুন: https://ifatwa.info/49741/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...