জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যারা ঈমানদারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তারা নবীজি (সা.)-এর অভিশাপে অভিশপ্ত।
প্রিয় নবীজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষতিসাধন করে অথবা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে অভিশপ্ত। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪১)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু সিরমাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, কেউ অন্যের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। কেউ অযৌক্তিকভাবে কারো বিরোধিতা করলে আল্লাহ তার বিরোধী হবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)
আল্লাহর কিছু কিছু বান্দা এমন আছে, যাদের সঙ্গে শত্রুতা করা, তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করা, আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার নামান্তর। অর্থাৎ এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া মানে নিজের ওপর চূড়ান্ত বিপদ ডেকে আনা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।
(বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার বাপ-চাচাদের দূর সম্পর্কের মামা এবং তাদের ছেলেরা সম্ভবত কোনো সমস্যা করছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মনে হচ্ছে যে,তাদের সাথে বসে তাদের কথাবার্তা শুনে ঝামেলা মিটিয়ে ফেললেই আপনাদের জায়গা বিক্রয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।
হয়তোবা তাদের কোনো চাওয়া পাওয়া আছে,বা অন্য কোনো স্বার্থ আছে।
সুতরাং বিষয়টি মিটিয়ে ফেলাই ভালো হবে।