আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি সিলেট থেকে বলছি। আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের প্রায় ১৮ ডেসিমাল জায়গা আছে যা আমরা বিক্রি করবো। এটা আমার আব্বু এবং ৩ চাচা ও ১ ফুফুর জায়গা। এখন আমরা অনেক কাস্টমার দেখাই যারা কিনতে উদগ্রীব। অনেক সময় দেখা যায় কথাও শেষ অনেকের সাথে যে তারা জায়গা কিনবে। কিন্তু লাস্ট মমেন্টে এসে তারা না করে দেয়। এরকম অনেকবার হয়েছে। এমন নয় যে আমাদের জায়গায় কোনো সমস্যা। জায়গার দলিলসহ সব কিছুই একদম পারফেক্ট। এখন এটা কি স্বাভাবিক কোনকিছু না সন্দেহজনক কিছু আছে। কেউ একজন বলেছিলো যে, হয়তো জায়গা যাতে বিক্রি না হয় কাস্টমার এসে যাতে ফিরে যায় এজন্য কেউ কিছু করেছে। একটা কথা অ্যাড করতে চাই যে, আমাদের জায়গার ঠিক পাশেই আমার বাপ-চাচাদের দূর সম্পর্কের মামা এবং উনার ছেলেরা থাকে। আমার বাপ-চাচাদের আপন কোনো মামা নেই। তো তাদের এই মামাও যে জায়গায় থাকেন এইটা উনি ফ্রীতেই আমাদের জায়গার অংশ থেকে পেয়েছেন জাস্ট আমার দাদি বলে গিয়েছেন বলে যার পরিমাণ প্রায় ২৩ ডেসিমাল। ঐ এলাকার সবাই এই কথাটা জানে।  যেই জন্য কথাটা বললাম যে তারা চায় না যে আমরা এই জায়গা বিক্রি করি। কেন চায় না আমরা জানি না।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন এবং বিস্তারিত বললে ভালো হয়।
জাযাকাল্লাহু খয়রন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

যারা ঈমানদারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তারা নবীজি (সা.)-এর অভিশাপে অভিশপ্ত। 

প্রিয় নবীজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের ক্ষতিসাধন করে অথবা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে অভিশপ্ত। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৪১)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু সিরমাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, কেউ অন্যের ক্ষতি করলে আল্লাহ তার ক্ষতিসাধন করবেন। কেউ অযৌক্তিকভাবে কারো বিরোধিতা করলে আল্লাহ তার বিরোধী হবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৬৩৫)

আল্লাহর কিছু কিছু বান্দা এমন আছে, যাদের সঙ্গে শত্রুতা করা, তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করা, আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার নামান্তর। অর্থাৎ এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া মানে নিজের ওপর চূড়ান্ত বিপদ ডেকে আনা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোনো ওলির সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব।
(বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার বাপ-চাচাদের দূর সম্পর্কের মামা এবং তাদের ছেলেরা সম্ভবত কোনো সমস্যা করছে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মনে হচ্ছে যে,তাদের সাথে বসে তাদের কথাবার্তা শুনে ঝামেলা মিটিয়ে ফেললেই আপনাদের জায়গা বিক্রয়ে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।

হয়তোবা তাদের কোনো চাওয়া পাওয়া আছে,বা অন্য কোনো স্বার্থ আছে।
সুতরাং বিষয়টি মিটিয়ে ফেলাই ভালো হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...